বাঁকুড়া সম্পর্কিত গবেষক

Bankura News: কলম থেমে গেল বাঁকুড়ার রাঙামাটির সন্তানের, চোখের জলে বিদায় বাঁকুড়া গবেষককে

বাঁকুড়া: রাঙামাটির বাঁকুড়াতে ফেরা হল না গৌতম খাঁড়ার। বাঁকুড়াকে স্তব্ধ করে চলে গেলেন বাঁকুড়ার কৃতি গৌতম খাঁড়া। কারণ, শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ ক্যান্সার। প্রচণ্ড শরীর খারাপ এবং উৎকণ্ঠা নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে। মে মাসের শেষে বাড়ি ছেড়ে, বাঁকুড়া ছেড়ে গৌতম বাবু মুম্বাই চিকিৎসার জন্য গেলেও দেরি হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এক প্রকার জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন ডাক্তারেরা। তবুও যেন কোথাও একটা ক্ষীণ আশায় বুক বেঁধেছিল গৌতম খাঁড়ার পরিবার । পেশায় তিনি ছিলেন বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শিক্ষক। তবে বাঁকুড়ার গবেষক হিসেবেই জেলা জুড়ে পরিচিতি ছিল তার। তার লিখা বেশ কিছু বাঁকুড়ার তথ্য সংকলিত বই বেশ জনপ্রয়িতা পেয়েছে।

প্রায় একমাস আগে মাত্র দিন কয়েকের জ্বর, আর তারপরেই তার শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকাল কলেজে তার চিকিৎসা হয়। পরে তাঁকে তার বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ীরা আর্থিক সহযোগিতা করে পাঠায় মুম্বাই এর টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয় শনিবার ভোর রাতে। এদিন বিমানযোগে তার মরদেহ মুম্বাই থেকে কলকাতা ও সেখান থেকে সড়কযোগে বাঁকুড়ায় তার পাঁচবাগার বাড়িতে আনা হয়। এদিন বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় তাকে বিদ্যালয়ের তরফে। এছাড়াও জেলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি মহল থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও শ্রদ্ধা জানান গৌতমবাবুকে। পরে তার মরদেহর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বাঁকুড়া লখ্যাতড়া মহাশশ্মানে।

আরও পড়ুন : হাতের বদলে তুলি ধরা মুখে! রঙের আঁচড়ে ৫ মিনিটে ফুটে উঠল কবিগুরুর প্রতিকৃতি, বাহবা শিল্পীর মুন্সিয়ানাকে

পরিবারে তার অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা ও মা ছাড়া রয়েছেন স্ত্রী ও বছর পাঁচেকের ছেলে।তার মৃত্যুতে একদিকে সমাজ মাধ্যম অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন শোক প্রকাশ করেন।বই লেখার পাশাপাশি করতেন ছোটদের নিয়ে করতেন বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান। গত মার্চ মাসে অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত করেন ‘বাঁকুড়া উৎসব’, একপ্রকার একক প্রচেষ্টায়। সরকারি সাহায্য ছাড়াই বাঁকুড়ার শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, পত্রিকা সম্পাদক সকলকে এক ছাদের তলায় এনেছিলেন সেই উৎসবের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন : আমেরিকায় মহাকাশ প্রোগ্রামে বাঁকুড়ার অয়ন! যাতায়াতের খরচ যোগাড় করতেই হিমশিম

এককথায় বাঁকুড়া নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। বাঁকুড়ার মাটির প্রতি তাঁর ভালোবাসা, গবেষণা এবং আগ্রহ ছিল দৃষ্টান্তমূলক। বাঁকুড়াকে নিয়ে লিখেছেন একাধিক বই।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাঁর বইগুলিতে ফুটে উঠেছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন অজানা কথা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী