মিয়াজাকি আম

Bankura News: জাপানের ‘সূর্যের ডিম’ এবার রাঙামাটির দেশে, একবার হাতে নিলেই মন ভরে যাবে

বাঁকুড়া: জাপানের ভাষায় তাইয়ো নো তামাগো’র অর্থ হচ্ছে সূর্যের ডিম। এই ধরনের একটি আম উৎপাদন করা হয় জাপানে, অনেকটাই মুরগির ডিমের মত। সঙ্গে আমের রংটাও যেহেতু লাল, তাই এর এমন নামকরণ করা হয়েছে জাপানের তাইয়ো নো তামাগো আম। ঘটনাচক্রে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম এটি। জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে অনেকে একে মিয়াজাকি আম নামেও ডাকে। যদিও জাপানের সীমানা পার করে বাঁকুড়ার গ্রাম বাংলাতে উৎপাদন হচ্ছে লাল টুকটুকে জাপানিজ মিয়াজাকি। হ্যাঁ একদমই তাই সুদূর জাপান থেকে চারা নিয়ে এসে বাঁকুড়ার দামোদরপুরে বসানো হয়েছে এই বিদেশী ফল। ফলন দিয়েছে, কয়েকটা ফলের রংটাও বেশ লাল হয়েছে।

এক কিলো মিয়াজাকি আমের দাম আড়াই লক্ষ টাকা। শুনে তাক লেগে গেলেও বিষয়টা সত্যি। যেন গাছে ফলছে সোনা। এক পিস মিয়াজাকির ওজন ২০০ গ্রাম মত, অর্থাৎ দাম প্রায় ৫০০০০ টাকা। যদিও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে মিয়াজাকি উৎপাদন এবং সেই কারণেই সিজনে প্রতি পিস আমের বাজার মূল্য ৫০০০-১০০০০ টাকার মধ্যেও নেমেছে সাম্প্রতিক সময়। জাপানের ১০টি মিয়াজাকি আমের গাছ লাগানো রয়েছে বাঁকুড়ার পরশমণিতে। যদিও উৎপাদন খুব একটা চোখে লাগার মত নয়!

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

একটা গাছে এক ঋতুতে ২০ কিলোর মত আম হয়। সঙ্গে আকার হয় ২০০-৩০০ গ্রাম মত। এত টাকা দিয়ে কে কিনবে এই আম? যারা ইচ্ছুক হন তাঁরা ফোন করে বাগানে এসে নিজের পছন্দমত আম তুলে নিতে পারবেন, ওজন করে নির্ধারণ করা হবে মূল্য। আপনিও চাইলে একেবারে বাগান থেকে তুলে খেতে পারেন জাপানের লাল মিয়াজাকি আম।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

বাঙালিদের রয়েছে আমের প্রতি দুর্বলতা। শেষ পাতে মিষ্টি আম কিংবা আমের আচার অথবা আম তেল। আম পেলেই যেন বদলে যায় রসনা তৃপ্তি! সেরকমই এবার সব থেকে বেশি ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে লাল মিয়াজাকি। সেই আম এবার বাঁকুড়ার লাল মাটিতে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী