পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তরা

গোপন ডেরায় চলছিল হাতবদল! পুলিশ ধরল তিনজনকে! এত টাকার নিষিদ্ধ জিনিস!

মালদহ: গোপন ডেরায় হস্তান্তর হচ্ছিল লক্ষাধিক টাকার মাদক। দুই পাচারকারী অপর এক পাচারকারীর হাতে তুলে দিচ্ছিল মাদকের প্যাকেট। ঠিক সেই সময় এলাকায় হানা দেয় পুলিশ।

মাদক হস্তান্তরের সময় হাতেনাতে তিন পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার। ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ঘটনা। এদিন গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ হানা দেয় সাউথ মালদহ কলেজ চত্বর এলাকায়। সেখানেই একটি গোপন ডেরায় জড়ো হয়েছিল তিন পাচারকারী। সঙ্গে ছিল লক্ষাধিক টাকার ব্রাউন সুগার।

আরও পড়ুন- ভারতের ফাঁড়া কাটল, যিনি থাকলে টিম ইন্ডিয়া হারে, তিনি সেমিফাইনালে নেই!

হস্তান্তরের পরেই ব্রাউন সুগারগুলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হত। এমনটাই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। কিন্তু তার আগেই সেগুলি উদ্ধার করে। ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে।

অভিযুক্তরা হল আবু সাইদ ওরফে বাদশা সামিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। তিন জনের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। চোরা বাজারে যেগুলো আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আবু সাঈদ ওরফে বাদশা ও সামিউল ইসলাম দুই জনে জাহাঙ্গীর আলমকে ব্রাউন সুগার হস্তান্তরের জন্য এসেছিল। সাউথ মালদহ কলেজ চত্বর থেকে অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এদিন অভিযুক্তদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, এছাড়াও কোথায় ব্রাউন সুগার বলি পাচার হত, এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য জানতে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন- বিরাট কোহলিকে নিয়ে বড় খবর! সেমিফাইনালে বদলে যাবে ভারতীয় দল, আসছে নতুন তারকা

মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেছেন, ব্রাউন সুগার-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

হরষিত সিংহ