মুখোশ সংগ্রহ বাহাদুর চিত্রকরের

West Medinipur News: হারিয়ে যাচ্ছে মুখোশ, বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা এক পট শিল্পীর, জানুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্তমান সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন দিনে ব্যবহৃত নানান জিনিস। কদর না বুঝে মানুষ সংগ্রহে রাখে না পুরানো দিনের ব্যবহৃত নানা জিনিস। তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায় প্রচলিত মুখোশও। কখনও নাচ, কোনও অভিনয়, অনুষ্ঠান কিংবা পশু শিকারে যাওয়ার সময় পুরানো দিনে ব্যবহৃত হতমুখোশ। কিন্তু বর্তমানে এই প্রজন্ম জানেই না মুখোশের ব্যবহার। কী কারণে মুখোশ ব্যবহার করা হত আজ সে সব ইতিহাস। তবে সেই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এক শিল্পী। বাড়িতেই শুধু জেলা কিংবা দেশের নয়, বিদেশেরও বহু মুখোশ রয়েছে তাঁর কাছে।

প্রসঙ্গত পুরানো দিনে পশু শিকার, কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হত মুখোশ। কখনও কাঠ দিয়ে, আবার কখনও কাপড়, মাটি দিয়ে তৈরি করা হত এই মুখোশগুলো। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়েছে মুখোশগুলো। কিন্তু বর্তমানে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন সেই লোকায়ত শিল্প। বর্তমান প্রজন্ম জানেই না মুখোশের ব্যবহার। তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়া গ্রামের পটশিল্পী বাহাদুর চিত্রকর তার সংগ্রহে রেখেছেন দেশ ও বিদেশের ব্যবহৃত একাধিক মুখোশ।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেলা কিংবা পরিচিতদের থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন এই মুখোশগুলো। কোনও মুখোশ গোল, কোনও মুখোশ লম্বা, কোনও মুখোশ প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরানো। কোনওটি আবার বিদেশিও। স্বাভাবিকভাবে এই সকল মুখোশ সংগ্রহ করে তিনি রেখেছেন তার নিজের কাছে। শুধু মুখোশ নয়, মুখোশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ-বিদেশের কয়েন, ডাক টিকিট সংগ্রহ করেছেন তিনি।

শিল্পচর্চার প্রতি ভালবাসার পাশাপাশি তাঁর শখ বিভিন্ন পুরনো জিনিস সংগ্রহ করা। তার বাড়ির সংগ্রহশালার সামনে সাজিয়ে রেখেছেন এই মুখোশগুলো। ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন পুরানো দিনের কালেকশন। নিতান্তই শখের বসে তাঁর এই সংগ্রহ। শিল্পকর্মের পাশাপাশি পট শিল্পী বাহাদুর চিত্রকরের এই ভাবনা চিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ