Tag Archives: West Medinipur News

Lok Sabha Election 2024: ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘নমো’, জনসভা রেলশহরে 

পশ্চিম মেদিনীপুর : ২০২১ এর পর ২০২৪, খড়্গপুরে জনসভা করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯ মে, রবিবার বিকেলে তার জনসভা করার কথা রয়েছে খড়্গপুরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ স্কুলের মাঠে। এমনই বিজেপি সূত্রে খবর। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে খড়্গপুরে জনসভা করবেন তিনি। যদিও এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে। শনিবার মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় সভা করবেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পরের দিন সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।

মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র পরিচিত ছিল দিলীপ ঘোষের খাস তালুক হিসেবে। এবারের লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এ দিলীপ ঘোষের গড়ে বিজেপি, প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে। অন্যদিকে বিপক্ষ দলের তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়া। ইতিমধ্যে জুন মালিয়া সমর্থনে একাধিক জায়গায় সভা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার বিজেপির বড় চমক সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন : নেংটি ইঁদুর-বাঘের গল্প শোনালেন অভিষেক! ভোট প্রচারে অভিনব ভাবনা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

প্রসঙ্গত ২০১৬ এর পর ২০১৮ এবং ২০২১ এ হিরণ সহ একাধিক বিধানসভার প্রার্থীদের সমর্থনে খড়্গপুরের বিএনআর মাঠে সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে তিনি সভা করবেন নিমপুরাতে। ইতিমধ্যেই জোর প্রস্তুতি চলছে বিজেপির। প্রসঙ্গত মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, খড়গপুর, মেদিনীপুর, দাঁতন, মোহনপুর এবং এগরা ব্লক। লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরীশংকর অধিকারী বলেন, এবারে সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালই জিতবেন তবে তার আগে কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন : ভোট প্রচারে এসে বাংলায় কথা বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ

লক্ষাধিক মানুষের টার্গেট রয়েছে তবে তার থেকেও বেশি ভিড় হবে। শুধু নরেন্দ্র মোদির নয় ২১ তারিখ রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সভাও, এমনই বিজেপি সুত্রে খবর। দুই দলই হেভিওয়েট দের নিয়ে সভা করছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কোথাও চলছে রোড শো। তবে নির্বাচনে কে জয়লাভ করে তা বলবে সময়।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: কালের নিয়মে হারিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ আমলের আদালত, জানেন কোথায় আছে এমন উদাহরণ?

পশ্চিম মেদিনীপুর: কালের নিয়মে ক্রমে হারিয়ে যায় ইতিহাস। সংরক্ষণের অভাব এবং সদিচ্ছার অভাবে ক্রমে অবলুপ্তি ঘটে বড় বড় ইমারতের ও। এমনই এক ইতিহাসের নিদর্শন ধ্বংসের মুখে।এক সময় এখানেই চলতবিচার। সারাদিন হত মামলা মোকদ্দমার খুঁটিনাটি আলোচনা। তবে প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরে এই ইমারতে পা রাখেনি কোনও আইনজীবী থেকে বিচারপতি । বর্তমানে এক পরিত্যক্ত ভূত বাড়ি দাঁতনের ব্রিটিশ সময়ে নির্মিত এই আদালত।

ব্রিটিশ আমলে একসময় এখানে মামলা মোকদ্দমার জন্য আসতেন এলাকার মানুষ। গমগম করত। এখন যদিও তা খন্ডহর। পরিত্যক্ত ব্রিটিশ আমলে গড়ে তোলা মুন্সেফ কোর্ট। যা কালের নিয়মে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে কিছুদিনের মধ্যে। যার সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন দাঁতনবাসী। তৎকালীন বাংলা ওড়িশার বহু মামলা ও তার নিষ্পত্তি হয়েছে এই আদালতে যা চলেছে সত্তরের দশক পর্যন্ত। কিন্তু এখন সেই ইমারতে জরাজীর্ণ অবস্থা পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে দলিল, দস্তাবেজ ,রাখার তাক থেকে ঘর। ধ্বংসের মুখে উকিলদের ঘর ও।ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ওড়িশা সীমান্তবর্তী সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী দাঁতনে ব্রিটিশ আমলে গড়ে উঠেছিল মুন্সেফ কোর্ট।

আরও পড়ুন : ভোটে ফ্লেক্স-ব্যানারের প্রচার অনেক হল, এবার চোখ রাখুন এই মাধ্যমে

এলাকার দেওয়ানি মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তির জন্যেই গড়ে তোলা হয়েছিল এই আদালত। তবে দাঁতন মুন্সেফ কোর্টের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল এখনও পর্যন্ত অধরা দাঁতনবাসীর কাছে।দাঁতন থেকে এযাবৎ কাল অবধি লিখিত ও প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকেরা মনে করেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে দাঁতনে কোর্ট স্থাপিত হয়েছিল। যা সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের পরবর্তী কোনও সময়ে।

আরও পড়ুন : এই পেশায় চলছে না সংসার, ভোটের আগে কী কী দাবি কামারদের?

১৮০৩ সালে দেবগ্রামে মারাঠা-বর্গী ও ইংরেজদের মধ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে এবং সুবর্ণরেখা নদী ওড়িশা ও বাংলার মধ্যে সীমানা নির্ধারিত হওয়ার ফলে সীমান্তবর্তী দাঁতনের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এখান থেকে আদালত কিছুটা দূরে স্থানান্তরিত হলে তার নিজস্ব জৌলুস হারায় পুরানো এই আদালত ভবন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই ব্রিটিশ স্থাপত্যকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: চাকা ঘুরিয়ে চলে না সংসার, ভোটের আগে এ কী দাবি করছেন কুমোররা!

পশ্চিম মেদিনীপুর: চাকা ঘুরিয়ে মাটি দিয়ে ঘুরিয়ে কলসি, ঘট, ধুনুচি সহ একাধিক জিনিস তৈরি করেন কুমোরেরা। বংশ পরম্পরায় তাদের এই পেশা টিকিয়ে রেখেছেন তারা। তবে বর্তমানে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমছে কুমোরদের হাতে তৈরি মাটির জিনিসের। স্বাভাবিকভাবে ফাঁপরে পড়েছেন তারা। লোকসভা নির্বাচল ২০২৪ এর আগে তাদের একাধিক দাবি জোরালো হচ্ছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকেই রয়েছে কুমোর পরিবার।প্রথাগতভাবে চাকা ঘুরিয়ে তার ওপর মাটি দিয়ে হাতের নানা কারসাজিতে তৈরি করেন হাঁড়ি, কলসি, ঘট সহ নানান জিনিস। বিক্রি করেন স্থানীয় বাজার কিংবা হাটে। তবে বর্তমানে সেই বিক্রিও কম। অথচ তাদের মাটি, বালি কিনে বানাতে হচ্ছে সবকিছুই। পরিশ্রমের থেকে লাভ জুটছে যৎসামান্য। অন্যদিকে বিক্রি কম হওয়ায় সংসার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে তাদের। লোকসভা নির্বাচন এর আগে জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতার দাবি করছেন তারা।

আরও পড়ুন : নেংটি ইঁদুর-বাঘের গল্প শোনালেন অভিষেক! ভোট প্রচারে অভিনব ভাবনা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

এখন মাটির তৈরি জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদা কমছে। স্বাভাবিকভাবে জিনিস তৈরি হলেও বিক্রি হয় না। কুমোরদের দাবি, তাদের বিক্রির বন্দোবস্ত করা হলে সুবিধা হয়। অন্যদিকে সরকারি নানান সুযোগ-সুবিধা পেলে নিশ্চিন্তে সংসার চালাতে পারবেন তারা। স্থানীয় এলাকায় বাজারে স্থায়ীভাবে বিক্রির বন্দোবস্ত করা হলে তাদের তৈরি জিনিস বিক্রি করতে পারবেন তারা। যার ফলে কিছুটা হলেও ভালোভাবে চলবে সংসার।

আরও পড়ুন : মাসে মাসে কড়কড়ে ৩০০০ টাকা! অন্নপূর্ণা ভাতা মহিলাদের? বিরাট প্রতিশ্রুতি অগ্নিমিত্রার

মাত্র কয়েকদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে দিল্লিতে যাবেন যে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে ভোটে জয়লাভের পর কতটা দাবি মানা হয় এই কুমোরদের তা এখন দেখার।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: এই পেশায় চলছে না সংসার, ভোটের আগে কী কী দাবি কামারদের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: সারাদিন হাপর টেনে লোহাকে গরম করে, তা পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেন তারা। সারাদিন সামান্য কটা টাকা রোজগার করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় তাদের। তবে বর্তমানে তাদের ব্যবসা তথৈবচ অবস্থায়। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা পরিবারে। বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা বদল করে নিয়েছেন তাদের পেশাও। তবে এখনও বেশ কিছুজন তাদের পূর্বপুরুষের এই কামারের পেশাকে টিকিয়ে রেখেছেন। তবে সংসার চালাতে ভোটের আগে তাদের একাধিক দাবি রয়েছে লোকসভা নির্বাচল ২০২৪ এর প্রার্থীদের কাছে।

লোহাকে গরম করে তাকে পিটিয়ে কখনও কুড়ুল, কাস্তে, হাতুড়ি, ছেনি সহ একাধিক জিনিস তৈরি করেন কামারেরা। বেশ কিছু বছর পিছনে গেলে দেখা যাবে তাদের ব্যবসা বেশ ভালোই চলত। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সেভাবে বিক্রি নেই কাস্তে, হাতুড়ি, দা, কোদাল কিংবা বিভিন্ন লোহার তৈরি জিনিসের। স্বাভাবিকভাবে সংসার চালাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কামারদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ১ ব্লকের মানিকড়া এলাকায় রয়েছে একাধিক কামার পরিবার।

আরও পড়ুন : ট্রেনের স্টপেজের দাবি, আবেদন জমা পড়ল রেলমন্ত্রীর কাছে

বেশ কিছু জন তাদের পূর্বপুরুষের পেশা চালিয়ে রাখলেও সে অর্থে তাদের আয় নেই। হাপর টেনে সারাদিনের সংসার চালানোর অর্থ উপার্জন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। চাষবাস কিংবা গৃহস্থালির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিক্রিও প্রায় বন্ধ। গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে গিয়ে কোনও জিনিস বিক্রি, ততটা সম্ভব হচ্ছে না তাদের। সম্ভব হলেও আয় বেশ কম।

আরও পড়ুন : প্রকৃতির আজব লীলা! প্রতিবছর বসন্তকালে একইগাছে বাসা বোনে এই পাখি

স্বাভাবিকভাবে তাদের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দাবি, সরকারি নানা সুযোগ সুবিধার প্রদানের। কিংবা স্থানীয় এলাকায় বাজার তৈরি এবং সরকারি সুবিধা দিয়ে বিভিন্ন লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া।দিন কয়েক পরেই নির্বাচন। নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদে গিয়ে সাধারণ মানুষের নানান কথা তুলে ধরবেন জনপ্রতিনিধিরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে আদৌ কি দাবি মিটবে কামারদের সে প্রশ্ন এখন তাদের মনে।

রঞ্জন চন্দ

Annapurna Bhata: মাসে মাসে কড়কড়ে ৩০০০ টাকা! অন্নপূর্ণা ভাতা মহিলাদের? বিরাট প্রতিশ্রুতি অগ্নিমিত্রার

পশ্চিম মেদিনীপুর: রোদ যেন কিছুই না। সকাল থেকে কাঠফাটা রোদকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। সকাল থেকে উঠেই বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় প্রচার করছেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ।

দিলীপ ঘোষের জয়ী কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদিকে মেদিনীপুর লোকসভা আসন উপহার দেওয়া। সোমবার শিবরাজ সিং চৌহানের প্রচারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় হুডখোলা গাড়িতে চেপে প্রচার করলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘কতক্ষণ’ একটানা চালাবেন সিলিং ফ্যান? কতক্ষণ বিশ্রাম দিতে হবে Fan-কে? না জানলে হতে পারে বড় বিপদ

শুধু তাই নয়, পাড়ার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে মানুষের মধ্যে হাত মেলালেন অগ্নিমিত্রা পাল। শুনলেন তাদের নানা কথা। কালী, শিব সহ গ্রামের নানা মন্দিরে পুজো দিয়ে হাতে পদ্মফুল নিয়ে প্রচার চালান অগ্নিমিত্রা। গ্রামীণ এলাকায় মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে চান তিনি। কথা বলেন সকলের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে জয়লাভের পর গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল থেকে নানা উন্নয়নেরও আশ্বাস দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল।

মঙ্গলবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বরিদা ১ নং অঞ্চলের ষড়রং বাজার, বরিদা অফিস সংলগ্ন বাজার, খামারি বাজার,বর্তনা রাধামাধব মন্দির বাজার, বর্তনা গঙ্গাপুকুর বাজার ও কল্যাণপুরের বিস্তীৰ্ণ এলাকায় জনসংযোগ করেন বিজেপির এই প্রার্থী।

ভবিষ্যতেগ্রামীণ মহিলাদের তিন হাজার টাকা অন্নপূর্ণা ভাতা দেওয়া কথা বলেন অগ্নিমিত্রা পালে। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন এক অপরের বিপক্ষ দুই প্রার্থী। তবে নির্বাচনে কে জয় পায় তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

রঞ্জন চন্দ

Gardening Tips: বড় বড় বট অশ্বত্থ টবেই, কী ভাবে হবে জানুন? বনসাই করে তাক লাগিয়ে দিন পড়শিদের

বড় বড় গাছ তো আমরা দেখে থাকি। কিন্তু জানেন কি গাছের শোভা বাড়ায় এই ধরণের ছোট ছোট উদ্ভিদ। বাজারে কিনতে গেলে দামও পড়ে বেশ।
বড় বড় গাছ তো আমরা দেখে থাকি। কিন্তু জানেন কি গাছের শোভা বাড়ায় এই ধরণের ছোট ছোট উদ্ভিদ। বাজারে কিনতে গেলে দামও পড়ে বেশ।
সামান্য টবে মাটি দিয়ে নানা পদ্ধতিতে বানানো হয় বনসাই। যার ডালপালা কম বিস্তৃত। দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে।
সামান্য টবে মাটি দিয়ে নানা পদ্ধতিতে বানানো হয় বনসাই। যার ডালপালা কম বিস্তৃত। দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে।
বট, অশ্বত্থ কিংবা আম গাছের বনসাই তৈরি করেন বহু মানুষ। নানা পদ্ধতিতে এই বনসাই করেন তারা। যা ঘরের কিংবা বাগানের শোভা বৃদ্ধি করে।
বট অশ্বত্থ কিংবা আম গাছের বনসাই তৈরি করেন বহু মানুষ। নানা পদ্ধতিতে এই বনসাই করেন তারা। যা ঘরের কিংবা বাগানের শোভা বৃদ্ধি করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একবছর অন্তর মাটি পরিবর্তন করা জরুরি।যেখানে মানুষের যাতায়াত কম, ধুলো ময়লা কম সেই সব স্থানে রাখা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একবছর অন্তর মাটি পরিবর্তন করা জরুরি। যেখানে মানুষের যাতায়াত কম, ধুলো ময়লা কম সেই সব স্থানে রাখা উচিত।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা তথা বেলদা গঙ্গাধর একাডেমির অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অতুলচন্দ্র জানা নিজের বাড়িতেই স্বল্প পরিসরে তৈরি করছেন বট, বকুল, আমের মত একাধিক গাছের প্রায় ১৫ থেকে ২০টি বনসাই।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা তথা বেলদা গঙ্গাধর একাডেমির অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অতুলচন্দ্র জানা। নিজের বাড়িতেই স্বল্প পরিসরে তৈরি করেছেন বট, বকুল, আমের মত একাধিক গাছের প্রায় ১৫ থেকে ২০টি বনসাই।
অতুল বাবু বলেন, ছোট পাত্রে বড় আকারের গাছকে ছোট করে রাখা এবং তার পরিচর্যা করে রাখাকে বলা হয় বনসাই। মূলত গাছের স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি আটকে, শাসনের মধ্য দিয়ে একটি গাছকে বড় করে সুদৃশ্য করে তোলাকে বনসাই বলে ধরা হয়। তবে সেই কাজ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।
অতুল বাবু বলেন, ছোট পাত্রে বড় আকারের গাছকে ছোট করে রাখা এবং তার পরিচর্যা করে রাখাকে বলা হয় বনসাই। মূলত গাছের স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি আটকে, শাসনের মধ্য দিয়ে একটি গাছকে বড় করে সুদৃশ্য করে তোলাকে বনসাই বলে ধরা হয়। তবে সেই কাজ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।

Lok Sabha Elections 2024: মন রাখলেন ভক্তদের! কীর্তির প্রচারে শেষবেলায় ঝড় তুললেন আরও এক তারকা প্রার্থী

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : প্রচার শেষ হওয়ার আগে হাতে আর মাত্র একটা দিন। জমজমাট প্রচার চলছে জেলা জুড়ে। আর শেষ বেলার সেই প্রচারে দুর্গাপুরে চমক দিলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। কীর্তি আজাদের সমর্থনে মেগা রোড শো করলেন তৃণমূলের আরও এক তারকা প্রার্থী দীপক অধিকারী অর্থাৎ দেব। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কীর্তি আজাদের সমর্থনে ২ কিলোমিটার রোড শো করেছেন তিনি।

এদিন, দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের নিউটন জেসি বোস রোড থেকে শুরু হয় কীর্তি আজাদের সমর্থনে এই রোড শো। হুডখোলা গাড়িতে চেপে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন এই টলিউড তারকা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মতো নেতারা। স্টিল টাউনশিপ থেকে শুরু হওয়া এই রোড শো শেষ হয় রঘুনাথপুর সম্মিলনী ময়দানে।

আরও পড়ুন: আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা…! বৃষ্টি, বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি কাঁপাবে ৪ রাজ্য! ২ রাজ্যে হিটওয়েভ অ্যালার্ট! কী হবে বাংলায়? আইএমডি-র বিরাট সতর্কতা

আর এই দুই কিলোমিটার রাস্তায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি দেবকে দেখতে তার ভক্তদের ভিড়ও উপচে পড়েছিল। উল্লেখ্য, দেবের এই রোড শো কর্মসূচি ছিল গত বৃহস্পতিবার বিকেলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই জেলার আকাশ জুড়ে দেখা যায় কালো মেঘের ঘনঘটা। তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় জেলা জুড়ে। যার ফলে তৃণমূলের এই কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়।

কিন্তু দেবকে দেখতে সেখানে ঘণ্টা দুই-তিনেক আগে থেকেই তাঁর ভক্তরা অপেক্ষা করছিলেন। অপেক্ষা ছিলেন দলের কর্মী সমর্থকরা। তাই বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি বাতিল হলেও শুক্রবার সেই কর্মসূচি পুনরায় রাখা হয়।। আর সেই কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদের সমর্থনে মেগা রোড শো করেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব।

নয়ন ঘোষ

West Medinipur News: চরম দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর সাফল্যের কাহিনী চোখে জল আনবে

পশ্চিম মেদিনীপুর : ছোট থেকেই সে জানে না বাবার পরিচয়। মামা বাড়িতে থেকেই মানুষ। কখনও কীর্তন, আবার কখনও অন্যান্য কাজ করে মেয়েকে মানুষ করে তুলেছে তার মা। তবে সম্পূর্ণ নিজের জেদে ও পরিশ্রমে উচ্চমাধ্যমিকে তার ফল চমকে দিয়েছে সকলকে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার সামান্য দিন না দিন খাওয়া পরিবারে খুশির মেজাজ। মেয়েকে আরও এগিয়ে দিতে চায় তার মা ও মামা বাড়ি পরিবারের সকলে। আগামীতে আইন নিয়ে পড়তে চায় সে কিংবা ডব্লিউবিসিএস অফিসার হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখে এই কৃতি ছাত্রী। জন্মের পর থেকে বাবাকে দেখেনি। মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকে মেয়ে। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা।

সামান্য একচালা ছিটেবেড়া বাড়িতে থাকে। মামা-মামীদের আদর যত্ন, দাদু দিদিমা স্নেহ পেয়ে ১৭ টা বছর কাটিয়েছে। তবে তার লক্ষ্য বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের পাকুড়সেনী পঞ্চায়েতের কুরুমপুর এলাকার সোমা নায়েক। এবারে উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছে ৪৭২ নম্বর। নারায়ণগড় হৃষিকেশ লাহা উচ্চ শিক্ষা নিকেতনের ছাত্রী। অভাবকে জয় করে তার এই সাফল্যে খুশি সকলে। প্রতিদিন পড়াশোনার জন্য তার লড়াই চোখে জল আনবে। বাড়ি থেকে নারায়ণগড় বাজার এর দূরত্ব প্রায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার। প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে টিউশন পড়তে যাওয়া এমনকি স্কুল যাতায়াত করত সে।

আরও পড়ুন : শহরের কাঁড়িকাঁড়ি সুবিধা পেয়েও কিছু হচ্ছে না? প্রত্যন্ত গ্রামে অভাবী এই মেয়েকে দেখুন, উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টে চমকে দিল

অভাবের সংসারে কষ্টকে মুখ বুজে সহ্য করে পড়াশোনা চালিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে চমকে দিয়েছে সকলকে। তবে তার এই সাফল্যে খুশি হলেও ততটা আনন্দ পাচ্ছে না পরিবার। মেয়ের ইচ্ছে আইন নিয়ে পড়ার। বাধ সাধছে দারিদ্র। সোমার মা সংসার চালাতে কঠিন পরিশ্রম করেন। মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। কখনও অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ, কখনও এলাকার কীর্তন দলে যোগ দিয়ে যতটুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই মা ও মেয়ের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে কীভাবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন তা নিয়ে কার্যত এখন দিশাহারা তিনি।

আরও পড়ুন : শরীরের নমনীয়তায় যোগাভ্যাসে বাজিমাত! প্রত্যন্ত গ্রামের বালিকার গলায় স্বর্ণপদক

অভাবকে জয় করার অদম্য ইচ্ছা সোমার। সে প্রতিদিন প্রায় সাত কিলোমিটার উজিয়ে বিদ্যালয়ে ও টিউশনে আসত। নারায়ণগড়ের চাতুরিভাড়া এলাকাতে একটি কোচিং সেন্টারে পড়ত সোমা। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে আসা-যাওয়া করত। সোমা ও তার পরিবার জানাচ্ছে, শিক্ষকেরা অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন। নইলে পড়াশোনা করতে পারত না সে। প্রায় পঁচানব্বই শতাংশ নম্বর পেয়েছে। বাংলা ও ভূগোলে ৯৪, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৮, পুষ্টিবিজ্ঞানে ৯৫ ও ইতিহাসে ৯১ পেয়েছে। সোমার জানাচ্ছে, ইংরেজিতে তার নম্বর কমেছে। সে পেয়েছে ৮০।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে আগামীতে সোমার স্বপ্ন কি সফল হবে, নাকি দারিদ্র্যের ভিড়ে অচিরে হারিয়ে যাবে মেধা, সেই প্রশ্ন এখন সকলের মধ্যে।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: প্রতিবছরই বন্যা! বানভাসি নদীতীরের মানুষরা চরম সঙ্কটে, ভোটের আগে কী দাবি তাদের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: দিন আসে দিন যায়, সময় এলে নির্বাচনও হয়। কিন্তু যে তিমিরে থাকেন নদীতীরের মানুষ, সেই তিমিরেই পড়ে থাকেন তারা। ভোট এলে মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু প্রতি বছর বন্যায় বানভাসি হতে হয় নারায়ণগড় এবং সবং-এর নদীতীরের মানুষজনকে। মাত্র কয়েকদিন পরেই নির্বাচন। নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার এবং শাখা খাল সংস্কার করা হোক, যে ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে রেহাই পাবেন সাধারণ মানুষ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লক, সবং ব্লক এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু ব্লকের মধ্য দিয়েই গিয়েছে কেলেঘাই নদী। নদীর পাড়েই রয়েছে একাধিক গ্রাম। বর্ষার সময় বৃষ্টি হলেই বানভাসি হয় নারায়ণগড় ব্লকের খুড়শি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। শুধু তাই নয়, সবং ব্লকের কেলেঘাই নদীর তীরে একাধিক গ্রামও প্লাবিত হয়। শুধু ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়া নয়, ক্ষয়ক্ষতি হয় চাষের জমিরও। বন্যায় বেশ কিছু জায়গায় গৃহপালিত পশু এমনকি মানুষেরও প্রাণহানি ঘটে।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, নদীর উপরের দিকে সংস্কার হলেও নদীর নিচে বরাবর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়নি। গ্রামের মধ্যে অবস্থিত নদী কেন্দ্রিক শাখা খাল গুলিও সংস্কার না হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয় এলাকা। তাদের দাবি দ্রুত এই কেলেঘাই নদী পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করতে হবে। যার ফলে রক্ষা করা যাবে বসত বাড়ি থেকে চাষযোগ্য জমিও।লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের দাবি ফের জোরাল হচ্ছে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে মুক্তি দিতে হবে নদী তীরের মানুষজনকে। তবে কতটা এই সমস্যার সমাধান হয় তা বলবে সময়। নাকি এই সামনের বৃষ্টিতেও প্লাবিত হবে এলাকা?

রঞ্জন চন্দ

Madhyamik Result 2024: নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা, মাধ্যমিকে দারুণ সাফল্য, কীভাবে এল সফলতা? জানলে অবাক হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাড়িতে মোট পাঁচজন। বাবা, মা, দিদি ঠাকুমা ও নিজে। রোজগার শুধুমাত্র বাবাই। রোজগারের উপায় বলতে সামান্য বিঘা দেড়েক চাষ জমি আর বাবার গোটা কতক টিউশুনি। এভাবে অভাবকে সঙ্গী করে তার দিদিকে স্নাতক পর্যন্ত পড়িয়েছেন বাবা মা। অভাব তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও, নিজের জেদে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বেশ সফলতা এসেছে তার। কখনও তাকে যেতে হয়েছে বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতে, বাড়িতে এসে অবসন্ন শরীরে সামান্য কয়েক ঘণ্টা পড়ে মাধ্যমিকে ৬২২ নম্বর পেয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে নারায়ণগড় ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামের এক ছেলে। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের হোসেনপুর এর কৃতি সন্তান প্রীতম দাস। বাখরাবাদ ভারতী বিদ্যাপীঠ থেকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে সে। প্রাপ্ত নম্বর ৬২২। সামান্য দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার থেকে বড় হয়ে ওঠা তার। মাথার উপর বড় দিদি। স্নাতক পড়ে আর অর্থাভাবে পড়াশোনা করেনি। বাবার সামান্য ক’টাকা রোজগারে চলে সংসার। সেভাবে জোটেনি প্রাইভেট টিউশন। স্কুল এবং নিজের প্রচেষ্টায় মাধ্যমিকে বেশ ভাল নম্বর পেয়েছে প্রীতম।

আরও পড়ুন-       শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

প্রীতমের বাবা মদন দাস। সামান্য মাটির বাড়িতে থাকে পাঁচজন। মদন বাবুর সামান্য দেড় বিঘা জমিতে চাষবাস করে যা রোজগার হয় তাতেই চলে সংসার। বাড়িতে বৃদ্ধ মায়ের ওষুধ আনতে গিয়ে সংসার এবং ছেলের পড়াশোনায় তেমন একটা অর্থ সাহায্য করতে পারেন না তিনি। কখনও কখনও আবার বাবাকে মাঠের কাজের সাহায্য করে প্রীতম। শরীরে ক্লান্তি নিয়ে সামান্য কয়েক ঘণ্টা পরে মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট তার।

আরও পড়ুন-    সদ্যোজাত শিশুর কি AC-তে ঘুমানো উচিত? ৯০% বাবা-মায়েরা এই ভুলটাই করে, এখনই সতর্ক না হলে ঘনঘন অসুস্থ হবে আপনার সন্তান

প্রতিদিন প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে লড়াই, অর্থ কষ্টের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে করতে ক্লান্ত হয়েও মাধ্যমিকে তারই সফলতার খবর আসতেই চোখে জল বাবা-মায়ের। ছোট থেকেই প্রীতম স্বপ্ন দেখে ডাক্তার হওয়ার। সম্প্রতি বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। তবে সামনে তার ভবিষ্যতে বাধা অর্থ।

আগামীতে ডাক্তার হয়ে গ্রামীণ এলাকায় সকলের জন্য চিকিৎসা করতে চায় প্রীতম। কিন্তু প্রীতমকে অদূর ভবিষ্যতে পৌঁছে দিতে চাই সকলের সাহায্য। আদৌ কি সফল হবে তার এই স্বপ্ন? গ্রামের মাটির বাড়ি থেকে লাল মোরামের রাস্তা ধরে এক এক করে পৌঁছতে পারবে স্বপ্নের চূড়ায়? সে প্রশ্ন এখন তাদের মনে।

রঞ্জন চন্দ