শাহজাহানপুর: মুদ্রা দেখিয়ে প্রতারণা ও লুঠপাটের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্তরা প্রথমে সোনার দোকানে গিয়ে স্বর্ণমুদ্রা দেখিয়ে দর কষাকষি করত। দোকান মালিকের বিশ্বাস অর্জনের পর আরও সোনার কয়েন দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসত নির্জন এলাকায়। তারপর চলত অবাধ লুঠপাট। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ী বিবেক আগরওয়ালকে এই ভাবে ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা-সহ একটি ব্যাগ হাতিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সোনার মুদ্রা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে একটি নির্জন এলাকায় ব্যবসায়ীকে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে অভিযুক্তরা। বিবেক আগরওয়াল সেখানেই পৌঁছতেই মারধর করে তাঁর থেকে সর্বস্ব লুটে নেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর একটা গাড়িতে চড়ে পালায়। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশকে খবর দেন নির্যাতিত ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন লখিমপুরের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এবং ৫০টি জাল হলুদ ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আগে টাকা দাও, তারপর স্বর্ণমুদ্রা দেব, বলেছিল দুষ্কৃতীরা: পুলিশ জানিয়েছে, পিলভিটের বিলাসপুর থানা এলাকার মহল্লা দুবে শহরের ব্যবসায়ী বিবেক আগরওয়াল সোনার মুদ্রার কথা শোনেন। অনুমান করেন এ থেকে বিপুল লাভ হতে পারে। এরপরই তিনি পুওয়ায়ান থানা এলাকার বাসিন্দা আজম ও মহসিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সোনার কয়েন বিক্রি করবে বলে পুওয়ানের আওয়ানা মোড়ে বিবেক আগরওয়ালকে ডাকে অভিযুক্তরা।
দুটো গাড়িতে করে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা: নির্ধারিত সময় আওয়ানা মোড়ে পৌঁছে যান বিবেক আগরওয়াল। তাঁর অপেক্ষায় তিনজন সেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল। কিছুক্ষণ পর একটা গাড়ি এসে থামে। একজন নেমে এসে বলে, আগে টাকা দাও। তারপর সোনার মুদ্রা দেওয়া হবে। ৩০ লাখ টাকা সেই ব্যক্তির হাতে তুলে দেন বিবেক। গাড়িতে চেপে উধাও হয়ে যায় সে। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটা গাড়ি আসে। তাতে বাকি ৩ জন উঠে পালায়। বিবেক বুঝতে পারেন, তাঁকে ঠকানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করেন তিনি। অভিযুক্তদের নামে দায়ের করেন এফআইআর।