রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Oath taking of TMC MLAs: শপথ-জট না কাটায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সায়ন্তিকার, সামনে আসবে ‘আনটোল্ড স্টোরি’?

কলকাতা: মঙ্গলবারও কাটল না বরানগর এবং ভগবানগোলার নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ জটিলতা। কবে কাটবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য আশাবাদী, শপথ জটিলতা কলকাতায় ফিরেই দ্রুত মেটাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আরও পড়ুন: কী করছে গোয়েন্দা, পুলিশ? পর পর গণপিটুনির ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা, কড়া নির্দেশ

অন্যদিকে দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শপথগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা ঘিরে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এ দিন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বলেন, “সাংবিধানিক প্রধান শব্দটি শুধুমাত্রই একটি পদ নয়, এর সাথে জুড়ে রয়েছে সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার দায়বদ্ধতা। আজ সাংবিধানিক প্রধানের হাতেই গণতন্ত্র বিপন্ন”৷

সেই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, “স্বাধীন ভারতবর্ষের বুকে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মানুষের স্বার্থে কাজ করার শপথগ্রহণের জন্য ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভ করতে হচ্ছে৷ এই চিত্র লজ্জার। আশাকরি দ্রুত সাংবিধানিক প্রধানের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান মেনে শপথগ্রহণ করবেন৷”

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, ২৬ জুন তাঁরা রাজভবনে গিয়ে শপথগ্রহণ করতে পারবেন৷ কিন্তু, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, তাঁরা চান প্রথা মেনে বিধানসভা ভবনেই শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক৷ এ নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই ২৮ জুন দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এ বিষয়ে টেলিফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন রাজ্যের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পরে শপথগ্রহণ না করালে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণালও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ হয়নি দুই বিধায়কের।