Tag Archives: TMC MLA

TMC Mla Sudipta Roy: একাধিক অভিযোগ, ডেকেছে ইডিও! সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে আরজি করে এবার বড় পদক্ষেপ

কলকাতা: শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়কে এবার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তাঁর সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইতিমধ্যেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে। আরজি কর-কাণ্ডে এ বার সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। তাঁর বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুদীপ্তকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই, ইডি। প্রসঙ্গত, আরজি কর ধর্ষণ-খুনের মামলার পাশাপাশি দুর্নীতি মামলারও তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন: ‘এই ধরনের ভুল করবেন না’, সিবিআই-কে বললেন বিচারক! হেফাজতেও পেল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত রায়ের বাজেয়াপ্ত করা তিনটি ফোনের সিডিআর খতিয়ে দেখছে ইডি। এর আগে, এই তিন ফোন বাজেয়াপ্ত ইস্যুতে সুদীপ্ত রায় বলেন,’আমরা সত্যের পথে রয়েছি, আমাদেরই জয় হবে। প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। রিপোর্ট বলছে, তিনি তৎকালীন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্তর কাছে অভিযোগ করলেও, লাভের লাভ হয়নি বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। এরপরই সুদীপ্তকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসে ইডি। এই সব বিতর্ক, অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হল।

RG Kar Case-TMC: সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কী যোগাযোগ? তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের উত্তর শুনে থ সকলে

আরজি কর মেডিক‍্যাল কলেজে চিকিত্‍সক তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করেছিল সিবিআই। নির্যাতিতার মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নির্মল ঘোষ। সিবিআই সূত্রে এমনই খবর।
আরজি কর মেডিক‍্যাল কলেজে চিকিত্‍সক তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করেছিল সিবিআই। নির্যাতিতার মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নির্মল ঘোষ। সিবিআই সূত্রে এমনই খবর।
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃতদেহ কেন এত দ্রুত দাহ করা হল? এ নিয়ে আগেও উঠেছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে যখন নির্যাতিতার মৃতদেহ সোদপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তা দাহ করা হয়। সেই নিয়ে এদিন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তৃণমূল বিধায়ক।
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃতদেহ কেন এত দ্রুত দাহ করা হল? এ নিয়ে আগেও উঠেছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে যখন নির্যাতিতার মৃতদেহ সোদপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তা দাহ করা হয়। সেই নিয়ে এদিন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তৃণমূল বিধায়ক।
দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে নির্মল ঘোষ বলেন, ''আমি স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে শ্মশানে গিয়েছিলাম। এত বড় ক্রাইম আমি প্রথম দেখেছি। আমি ফাঁসির দাবি করেছি। ওদের (সিবিআই) অনেক কথা ছিল, আমারও অনেক কথা ছিল। আমি বাইরে বলতে পারি না। যারা খুন করেছে, শাস্তি পাবে। আমার এলাকার ডাক্তার মেয়ে, আমি হাসপাতালে, শ্মশানে গিয়ে নৈতিক পালন করেছি।''
দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে নির্মল ঘোষ বলেন, ”আমি স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে শ্মশানে গিয়েছিলাম। এত বড় ক্রাইম আমি প্রথম দেখেছি। আমি ফাঁসির দাবি করেছি। ওদের (সিবিআই) অনেক কথা ছিল, আমারও অনেক কথা ছিল। আমি বাইরে বলতে পারি না। যারা খুন করেছে, শাস্তি পাবে। আমার এলাকার ডাক্তার মেয়ে, আমি হাসপাতালে, শ্মশানে গিয়ে নৈতিক পালন করেছি।”
এরপরই সন্দীপ ঘোষ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ''কে সন্দীপ ঘোষ? সন্দীপ ঘোষ আমার আলোচনার মধ্যে আসে না। আমার সঙ্গে এ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। আবার ডাকলে, আবার বলব। আইন আইনের পথ ধরে চলবে।''
এরপরই সন্দীপ ঘোষ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ”কে সন্দীপ ঘোষ? সন্দীপ ঘোষ আমার আলোচনার মধ্যে আসে না। আমার সঙ্গে এ নিয়ে কোনও কথা হয়নি। আবার ডাকলে, আবার বলব। আইন আইনের পথ ধরে চলবে।”
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে বারবার ঘোলা থানার আইসিকে তলব করা হয়। যদিও তিনি গরহাজির ছিলেন। এরপরই একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে বারবার ঘোলা থানার আইসিকে তলব করা হয়। যদিও তিনি গরহাজির ছিলেন। এরপরই একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এমনকি সেদিনের শ্মশানের ভিডিও ফুটেজ দেখে সিবিআই। এরপরই তলব করা হয় বিধায়ক নির্মল ঘোষকে।
এমনকি সেদিনের শ্মশানের ভিডিও ফুটেজ দেখে সিবিআই। এরপরই তলব করা হয় বিধায়ক নির্মল ঘোষকে।

West Bengal news: পুরসভার মহিলা কর্মীর চিঠিতে অস্বস্তিতে চুঁচুড়ার বিধায়ক! দুর্ব্যবহার, কুপ্রস্তাব-সহ একাধিক অভিযোগ

সোমনাথ ঘোষ, চুঁচুড়া: দলের মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে অস্বস্তিতে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক। জুলাই মাসের ৫ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিধায়কের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন চুঁচুড়ার এক মহিলা তৃণমূল কর্মী।

সেই অভিযোগে তোলাবাজি থেকে মহিলাদের সঙ্গে খারাপ আচরনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মহিলা তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কুপ্রস্তাব দেওয়া থেকে রাতে ভিডিও কল করতেন চুঁচুড়া তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। এমনই দাবি তুলেছেন সেই মহিলা।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ! প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ফালাফালা হবে একাধিক জেলা

পুরসভায় কাজ করলেও বিধায়ক তাঁকে পুরসভার কাজ না করিয়ে বাড়ির কাজ করাতেন বলে অভিযোগ। মহিলা তৃনমূল কর্মীর এই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। নিউজ১৮ বাংলা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। বিজেপি নেতা লকেট চট্টোপাধ্যায়, সজল ঘোষরা সেই ভিডিও তাদের সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিও শেয়ার করেন।

আরও পড়ুন: ১০ মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ধৃত এইট পাশ যুবক! কোন ছকে ফাঁদে ফেলতেন?

শুধু তাই নয়, চুঁচুড়ায় বিভিন্ন জায়গায় বিধায়ক অসিত মজুমদারের নামে পোস্টার পড়তে দেখা যায়। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘চুঁচুড়ার বিধায়ক দূর হাটো চুঁচুড়া নারীদের সম্মান বাঁচাও’। যদিও এই সব বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি বিধায়ক অসিত মজুমদার।

Lovely Maitra controversy: বেফাঁস মন্তব্যের জের, বিধায়ক লাভলি মৈত্রকে সতর্ক করল তৃণমূল

কলকাতা: লাভলি মৈত্রকে সতর্ক করল তৃণমূল কংগ্রেস। সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্রের করা একটি মন্তব্য নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়। সেই মন্তব্যের জেরেই লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে।

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে একটি অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। সেখানেই তিনি ‘বদলা-বদল’ প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “বদল তো ২০১১-এ হয়েছিল, ২০২৪-এ বদলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে যদি আঙুল কেউ তোলে, সেই আঙুল কী করে নামাতে হয়, আমরা খুব ভাল ভাবে জানি”।

আরও পড়ুন: ‘আগে নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগ করতে বলুন’, দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে বাংলা থেকে সোচ্চার মমতা

সেই সঙ্গে তিনি চিকিৎসকদের একাংশকে আক্রমণ করে বলেন, “কসাইতে পরিণত হচ্ছেন ডাক্তাররা”। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রকে। সেই সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা থেকে ভবিষ্য়তে বিরত থাকতে বলা হয় লাভলি মৈত্রকে।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় পাশ হল অপরাজিতা বিল, ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজা-সহ একাধিক সুপারিশ

আরজি কর কাণ্ডের পরে চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে এমনিতেই চাপে রাজ্য। দলের পক্ষ থেকে বারবার চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই এই ধরনের মন্তব্যে সমালোচনা শুরু হয়।

MLA oath taking: বিধানসভার স্পিকার বিমানই শপথবাক্য পাঠ করালেন নতুন দুই বিধায়ককে, কোন নিয়মে সম্ভব হল?

কলকাতা: সায়ন্তিকা এবং রেয়াতের শপথ-জট অবশেষে কাটল। রাজ্যপাল বা ডেপুটি স্পিকার নয়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়ই শপথবাক্য পাঠ করালেন নব নির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হুসেন সরকারকে।

লোকসভা নির্বাচনের সময়ই বরানগর এবং ভগবানগোলা বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই উপনির্বাচনের দুই আসনে জিতে বিধায়ক হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হুসেন সরকার। কিন্তু উপনির্বাচন জিতলেও শপথ নিয়ে টালবাহানা চলছিলই। অবশেষে শুক্রবার শপথ হল নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের, শপথবাক্য পাঠ করালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন নিয়মে এটা সম্ভব হল?

আরও পড়ুন: জুনে স্থগিত হয়ে যাওয়া নিট-পিজির নয়া দিনক্ষণ ঘোষণা, কবে হবে পরীক্ষা?

সূত্রের খবর, বিধানসভা রুলস এন্ড বিজনেসের দুই নম্বর চ্যাপ্টারের পাঁচ নম্বর ধারা অনুসারে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করালেন দুই বিধায়ককে।

জল্পনা চলছিল যে সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন ডেপুটি স্পিকার। তবে স্পিকার যেখানে উপস্থিত সেখানে ডেপুটি স্পিকারকে কোনও দায়িত্ব পালন করতে অতীতে কখনও দেখা যায়নি। সাধারণত যখন স্পিকার বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন তখন কোনও দায়িত্ব পালন করেন না ডেপুটি স্পিকার। যদি ডেপুটি স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাতেন সেটাও স্পিকারের জন্য অসম্মানের হত, একই সঙ্গে সেটা নজিরবিহীনও হত। সেই দিক থেকে ৫ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে যাবতীয় বিতর্ক এড়ালেন স্পিকার। বিধানসভার রুল বুকের পাঁচ নম্বর ধারার গুরুত্ব সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে বিধানসভা চলাকালীন অধ্যক্ষ পাঠ করাতে পারেন। এই ক্ষমতা রুল বুকে তাকে দেয়া হয়েছে। আর সেই জায়গা থেকে এই শপথ গ্রহণ নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন একে সংবিধান বিরোধী বলা যাবে না বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

West Bengal Assembly: অধ্যক্ষ থাকতে উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব কেন রাজ্যপালের? ‘পারব না’, সাফ জানালেন আশিস

কলকাতা: শপথ জট পিছু ছাড়ছে না দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির৷ রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে সকালেই কলকাতা ফিরে আসলেও, শপথ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাতের দিকে৷ যদিও দুপুরেই বিশেষ অধিবেশন ডেকে বসেছে রাজ্য বিধানসভা। তবে সেই অধিবেশনে শপথ নিয়েই কার্যবিবরণী হবে এমনটাও নয়৷ তবে আজ, শুক্রবার কার্যবিবরণী বৈঠকে যে এই নিয়ে আলোচনা হবে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করাতে বলে বিবৃতি দেয় রাজভবন। আর এরই প্রেক্ষিতে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়৷

রাজভবনের এই বিবৃতির বিষয়ে জানতে পেরে অবশ্য উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ‌্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ‌্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ‌্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম‌্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন: চিনকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সব দেশের! কারণ নাকি একটি মাইক্রোওয়েভ! ঘটনা শুনলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে

কিন্তু এখানে পরিস্থিতি তেমনটা নয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের  প্রতিক্রিয়া, “আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনের তরফে আমায় কিছু জানানো হয়নি। যেমন প্রস্তুতি আছে তেমনই ব‌্যবস্থা হবে।” আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন উপাধ্যক্ষও৷ আজ বিধানসভার অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেন৷ যদি সচিবালয়ে রাজ ভবনের তরফে কোনও চিঠি এসে থাকে, তাহলে তার জবাব তিনি দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে।

বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া নতুন নয়। এর আগে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পড়ানোর জন্য তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ডেপুটি স্পিকারের উপর ভার ন্যস্ত করেছিলেন। যদি সেসময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় উপস্থিত থাকায় উপাধ্যক্ষ তাঁকেই শপথ পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং অধ্যক্ষই সেই কাজ করেছিলেন।
তবে দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি শুক্রবারও বিধানসভা আসবেন৷ তবে শপথ না হওয়ায় তারা যোগ দিতে পারবেন না অধিবেশনে।

Kunal Ghosh: হঠাৎ দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলের ছবি শেয়ার! কারা ডোবাবে? রাজ্যপালকে ‘সতর্কবার্তা’ কুণাল ঘোষের

কলকাতা: শপথ জটিলতা অতিক্রান্ত একমাস। আর দু’দিন অপেক্ষা করবে বিধানসভা। বুধবার এমনটাই জানা গিয়েছিল বিধানসভা সূত্রে। রাজভবন শপথ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা না নিলে, সাংবিধানিক রীতিতেই বিকল্প ভাবে শপথ গ্রহণের পদক্ষেপ নেবে বিধানসভা। যদিও বিধানসভার সচিবালয় আশাবাদী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় শপথ জটিলতা কাটবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ৩টে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। সেই সময় অতিক্রান্ত। তবুও নীরবই ছিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। অবশেষে বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি হোটেলের ছবি দিয়ে কুণাল ঘোষ লিখলেন, ”হোটেল তাজ প্যালেস, নয়াদিল্লির অকথিত কাহিনির নায়ক ভুলে যাচ্ছেন, আইনত চলতি শপথ বিতর্কে তাঁর ভূমিকা নেই। তিনি ছাড়াও সব হতে পারে। সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবা ভুল। যাদের বুদ্ধিতে চলছেন, তারা আপনাকে আরও ডোবাবে। বিধানসভার অধ্যক্ষের সাংবাদিক বৈঠকে নজর রাখুন।”

আরও পড়ুন: রাজভবনের সামনে ধর্না ইস্যু, ‘কৃতজ্ঞ, আমার লড়াইয়ে সিলমোহর দিল আদালত…’ প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

এর আগেও রাজ্যপালকে হোটেল-হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল। তবে, মূল বিষয়টি খোলসা করেননি তিনি। বৃহস্পতিবারের ট্যুইটেও তিনি দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলের কথা উল্লেখ করলেও কোনও আভাস এখনও দেননি। তবে, বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানি মামলার শুনানি আগামী ১০ জুলাই হবে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি শুনানির তালিকায় না থাকায় রাজ্যপালের আইনজীবী বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরেই বিচারপতি মামলার শুনানির পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন।

লোকসভা ভোটের সঙ্গে বাংলার দুই বিধানসভা উপনির্বাচনে (বরাহনগর, ভগবানগোলা) জয়ী হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন। কিন্তু ফল ঘোষণার প্রায় ১ মাস হলেও শপথ নিতে পারছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত এই দুই প্রার্থী। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের জেদের জেরে তা থমকে আছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীদের। রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে শপথগ্রহণের বদলে স্পিকারের কাছে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করতে আগ্রহী সায়ন্তিকা-রেয়াতরা। এমনকী বিধানসভায় এসে রাজ্যপালও শপথ করাতে পারেন বলে মত তাঁদের। যা মানতে নারাজ আনন্দ বোস। এই পরিস্থিতিতে সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে।

Oath taking of TMC MLAs: শপথ-জট না কাটায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সায়ন্তিকার, সামনে আসবে ‘আনটোল্ড স্টোরি’?

কলকাতা: মঙ্গলবারও কাটল না বরানগর এবং ভগবানগোলার নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ জটিলতা। কবে কাটবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য আশাবাদী, শপথ জটিলতা কলকাতায় ফিরেই দ্রুত মেটাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আরও পড়ুন: কী করছে গোয়েন্দা, পুলিশ? পর পর গণপিটুনির ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা, কড়া নির্দেশ

অন্যদিকে দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শপথগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা ঘিরে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এ দিন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বলেন, “সাংবিধানিক প্রধান শব্দটি শুধুমাত্রই একটি পদ নয়, এর সাথে জুড়ে রয়েছে সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার দায়বদ্ধতা। আজ সাংবিধানিক প্রধানের হাতেই গণতন্ত্র বিপন্ন”৷

সেই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, “স্বাধীন ভারতবর্ষের বুকে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মানুষের স্বার্থে কাজ করার শপথগ্রহণের জন্য ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভ করতে হচ্ছে৷ এই চিত্র লজ্জার। আশাকরি দ্রুত সাংবিধানিক প্রধানের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং জনগণের রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান মেনে শপথগ্রহণ করবেন৷”

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, ২৬ জুন তাঁরা রাজভবনে গিয়ে শপথগ্রহণ করতে পারবেন৷ কিন্তু, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, তাঁরা চান প্রথা মেনে বিধানসভা ভবনেই শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক৷ এ নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই ২৮ জুন দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এ বিষয়ে টেলিফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন রাজ্যের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পরে শপথগ্রহণ না করালে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণালও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ হয়নি দুই বিধায়কের।

TMC MLA oath taking ceremony: দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে কী করণীয়? বোসের উপর চাপ বাড়িয়ে ধনখড়কে ফোন বিমানের

কলকাতা: উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা কাটেনি। ২৬ জুন, অর্থাৎ বুধবার রাজভবনে গিয়ে দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ নিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি দুই বিধায়কের চেয়েছিলেন বিধানসভাতেই শপথ নিতে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের শপথ আর হয়নি। সেই নিয়েই শুক্রবার উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন স্পিকার।

আরও পড়ুন: ‘কাজ না করলে ভোটে জেতা যায় না!’ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাবধানবাণী মমতার

সূত্রের খবর, উপরষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে শুক্রবার বেশ কিছু ক্ষণ ফেনে কথা বলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বরানগর এবং ভগবানগোলার দুই নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেই পুরো বিষয়টি উপরাষ্ট্রপতিকে জানান। শুধু তাই নয় এই বিষয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর যাতে হস্তক্ষেপ করেন তারও আবেদন করেন। বিষয়টি শুনে পুরোটা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন উপরাষ্ট্রপতি। অন্য দিকে, শুক্রবারও বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে প্রতীকী অবস্থানে বসেন দুই উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়ক।

বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজ্যপালের উচিত ছিল পরিষদীয় রীতি নীতি মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী প্রটেম স্পিকারের কাছে শপথ নিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের কী অসুবিধা হল, সেটা বুঝতে পারছি না”। সেই সঙ্গে শপথগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন বিমান। এ দিন উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

TMC MLA oath taking: শপথ নিয়ে রেয়াত-সায়ন্তিকার পাশেই স্পিকার বিমান, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

কলকাতা: নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। এ বার সেই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেলেন দুই বিধায়ক।

দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বলেন, “রাজভবন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানিয়েছেন তাঁরা আজ বিধানসভায় থাকবে। তাঁরা এসেছেন”। সেই সঙ্গে রাজভবনে শপথ নেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন। শপথ গ্রহণের উপযুক্ত জায়গা বিধানসভা”।

আরও পড়ুন: বুধবারও হচ্ছে না সায়ন্তিকা এবং রেয়াত হোসেনের শপথগ্রহণ, কবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা

সেই সঙ্গে নব নির্বাচিত বিধায়কদের পাশে দাঁড়িয়ে বিধানসভার স্পিকার বলেন, “দেখি কতদূর যেতে পারেন। এর আগে বিধানসভায় বাম বিধায়করা অনেকদিন শপথ নেননি। আমি আজ সচিবকে এখানে বসিয়ে রেখেছি। অপেক্ষা করব যদি এখানে এসে শপথ করিয়ে দিয়ে যান। আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা করছি। আমরা সংবিধান মেনেই কাজ করছি”।

দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার শপথগ্রহণ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের উচিত ছিল পরিষদীয় রীতিনীতি মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী প্রটেম স্পিকারের কাছে শপথ নিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের কী অসুবিধা হল, সেটা বুঝতে পারছি না”। সেই সঙ্গে শপথগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে পারেন বলে জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার রাজভবনে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শপথ নিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল, কিন্তু রাজভবনে শপথ নিতে রাজি নয় কোনও বিধায়কই। তাঁরা বিধানসভাতেই শপথ নিতে চান। পাশাপাশি বুধবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তাই নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে হবে তাই বনিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।