পাঁচমিশালি Stampede Tragedies in India: কুম্ভ থেকে হাথরস, তীর্থস্থানে বারবার পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল, দেখে নিন এক নজরে Gallery July 4, 2024 Bangla Digital Desk উত্তর প্রদেশের হাথরসে মৃত্যুমিছিল। সৎসঙ্গে যোগ দিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০০-র বেশি। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। সিকান্দারাউ থানার ইনচার্জ আশিস কুমার জানান, ফুলরাই গ্রামে ভোলেবাবার সৎসঙ্গ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত আরও অনেক। হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আহতদের অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশে এমন দুর্ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও ধর্মস্থানে ভিড় বা অন্য কারণে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক এমনই ৬টি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ১৯৫৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি: স্বাধীন ভারতের প্রথম কুম্ভ মেলা। ভিড় জমিয়েছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। কিন্তু মেলা বদলে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। মৌনি অমাবস্যার দিনে কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০০ জন। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৩০০-র বেশি। ২০০ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগের কুম্ভ মেলার ঘটনা ২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি: মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার মান্ধারদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫০ ভক্তের। নারকেল তুলতে তুলতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন একদল পুণ্যার্থী। সেই সময়ই উপর থেকে কিছু ভক্ত পা পিছলে পরে যান। তারপরই পরিস্থিতি বদলে যায় দুর্ঘটনায়। ২০০৮ সালের ৩ অগাস্ট: প্রতি বছর হিমাচল প্রদেশের নয়না দেবী মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। সেদিনও মাতৃদেবীর দর্শন পেতে হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন। কয়েক দিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। আচমকাই ভূমিধ্বস নামে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০ জনের। ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর: একইরকম ঘটনা ঘটে রাজস্থানের যোধপুরে চামুণ্ডা দেবীর মন্দিরে। শারদীয়া নবরাত্রির সময়। মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের ভিড়। আচমকাই বোমা বিস্ফোরণের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক ভুলে পালাতে শুরু করেন ভক্তরা। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫০ জন। কেরলের পুলমেদুর ঘটনা