Tag Archives: stampede

Stampede: বিহারের সিদ্ধনাথ মন্দিরে বিপুল পুণ্যার্থী সমাগম, পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু, জখম বহু মানুষ

পটনা: বিহারের জেহানাবাদ জেলার মখদুমপুরে বাবা সিদ্ধনাথ মন্দিরে রবিবার রাতে পদপিষ্ট হয়ে হয়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু পূর্ণার্থী। জানা যাচ্ছে, রাতে পুজো উপলক্ষে ওই মন্দিরে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তখনই আচমকা হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাঁদের মধ্যে। সকলেই পুজো দিয়ে দ্রুত মন্দির থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন। সেইসময় ধাক্কাধাক্কি হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এইসময় অনেকে ভিড়ের ধাক্কায় পড়ে যান।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সোমবার সকালে জেহানাবাদের জেলাশাসক অলংকৃতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাঁর কথায়, “আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি এবং এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। জেহানাবাদের এসডিও বিকাশ কুমার বলেন, “সমস্ত ব্যবস্থা কঠোর ছিল তা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি…”।

বিহারের জেহনাবাদ জেলার বাবা সিদ্ধনাথ মন্দির রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিবমন্দির। শ্রাবণ মাসে সেখানে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিড় বেশি থাকে। রবিবার রাতে শিবপুজো উপলক্ষেই অনেক ভক্তের সমাগম হয়েছিল মন্দিরটিতে। আর সেখানেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।

যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভাল ছিল না। অনেকে ভলান্টিয়ার হিসাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। একসময় ভিড় বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা পুণ্যার্থীদের তাড়া দেন। এমনকি অভিযোগ, লাঠিও চালানো হয় ভিড়ের উপর। তার পরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মন্দির থেকে বেরোনোর জন্য। এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই গত ২ জুলাই, হাতরাসের সিকান্দারারু এলাকায় ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালীনও পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।

Stampede Tragedies in India: কুম্ভ থেকে হাথরস, তীর্থস্থানে বারবার পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল, দেখে নিন এক নজরে

উত্তর প্রদেশের হাথরসে মৃত্যুমিছিল। সৎসঙ্গে যোগ দিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০০-র বেশি। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। সিকান্দারাউ থানার ইনচার্জ আশিস কুমার জানান, ফুলরাই গ্রামে ভোলেবাবার সৎসঙ্গ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত আরও অনেক।
উত্তর প্রদেশের হাথরসে মৃত্যুমিছিল। সৎসঙ্গে যোগ দিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০০-র বেশি। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। সিকান্দারাউ থানার ইনচার্জ আশিস কুমার জানান, ফুলরাই গ্রামে ভোলেবাবার সৎসঙ্গ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত আরও অনেক।
হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আহতদের অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশে এমন দুর্ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও ধর্মস্থানে ভিড় বা অন্য কারণে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক এমনই ৬টি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আহতদের অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশে এমন দুর্ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও ধর্মস্থানে ভিড় বা অন্য কারণে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক এমনই ৬টি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
১৯৫৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি: স্বাধীন ভারতের প্রথম কুম্ভ মেলা। ভিড় জমিয়েছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। কিন্তু মেলা বদলে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। মৌনি অমাবস্যার দিনে কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০০ জন। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৩০০-র বেশি। ২০০ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

১৯৫৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি: স্বাধীন ভারতের প্রথম কুম্ভ মেলা। ভিড় জমিয়েছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। কিন্তু মেলা বদলে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। মৌনি অমাবস্যার দিনে কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০০ জন। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৩০০-র বেশি। ২০০ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগের কুম্ভ মেলার ঘটনা
২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগের কুম্ভ মেলার ঘটনা
২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি: মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার মান্ধারদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫০ ভক্তের। নারকেল তুলতে তুলতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন একদল পুণ্যার্থী। সেই সময়ই উপর থেকে কিছু ভক্ত পা পিছলে পরে যান। তারপরই পরিস্থিতি বদলে যায় দুর্ঘটনায়।
২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি: মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার মান্ধারদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৫০ ভক্তের। নারকেল তুলতে তুলতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন একদল পুণ্যার্থী। সেই সময়ই উপর থেকে কিছু ভক্ত পা পিছলে পরে যান। তারপরই পরিস্থিতি বদলে যায় দুর্ঘটনায়।
২০০৮ সালের ৩ অগাস্ট: প্রতি বছর হিমাচল প্রদেশের নয়না দেবী মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। সেদিনও মাতৃদেবীর দর্শন পেতে হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন। কয়েক দিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। আচমকাই ভূমিধ্বস নামে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০ জনের।
২০০৮ সালের ৩ অগাস্ট: প্রতি বছর হিমাচল প্রদেশের নয়না দেবী মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। সেদিনও মাতৃদেবীর দর্শন পেতে হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন। কয়েক দিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। আচমকাই ভূমিধ্বস নামে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০ জনের।
২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর: একইরকম ঘটনা ঘটে রাজস্থানের যোধপুরে চামুণ্ডা দেবীর মন্দিরে। শারদীয়া নবরাত্রির সময়। মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের ভিড়। আচমকাই বোমা বিস্ফোরণের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক ভুলে পালাতে শুরু করেন ভক্তরা। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫০ জন।
২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর: একইরকম ঘটনা ঘটে রাজস্থানের যোধপুরে চামুণ্ডা দেবীর মন্দিরে। শারদীয়া নবরাত্রির সময়। মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের ভিড়। আচমকাই বোমা বিস্ফোরণের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক ভুলে পালাতে শুরু করেন ভক্তরা। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫০ জন।
কেরলের পুলমেদুর ঘটনা
কেরলের পুলমেদুর ঘটনা

ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা! আতঙ্ক নয়, দুর্ঘটনা এড়াতে কী করবেন?

কলকাতা: বিপদ আসতেই পারে। আতঙ্কিত না হয়ে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তার মোকাবিলা করতে হবে। তীর্থস্থানে ভিড় খুব চেনা ছবি। কিন্তু বরাদ্দ স্থানের অনুপাতে বেশি মানুষের সমাগম হলে পদপিষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। প্রাণ সংশয় হতে পারে।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করল দেশ। এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গুরুকে দর্শনের আকুতিতে ৮০ হাজারের অনুমতি অগ্রাহ্য করে চলে এসেছিলেন আড়াই লক্ষ মানুষ। তাতে প্রাণ গিয়েছে শিশু সহ ১২১ জনের। হাথরসকান্ড যাতে বার বার না হয়, তার জন্য এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করুন। তীর্থে বা কোনও অনুষ্ঠানে গিয়ে অতিরিক্ত ভিড়ে বিপদে পরলে কী ভাবে আত্মরক্ষা করবেন? রইল ৭ সমাধান।

অনুষ্ঠানে বা তীর্থে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার খবর জেনে নিন। খোলা জায়গায় জমায়েত হলে বৃষ্টি আসার আগে সচেতন হতে হবে। হঠাৎ বৃষ্টি বা তুষারপাত শুরু হলে উপস্থিত সকলে হুড়মুড় করে শেডের নিচে আশ্রয় নিতে ছুটবেন সেটাই স্বাভাবিক। সেই ভিড়ে থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। আগেভাগেই ঢাকা জায়গার নিচে চলে যান।

আরও পড়ুন- জঙ্গল  পাহাড়ে ঘেরা এই রিসর্ট বর্ষায় মোহময়ী, বাঁকুড়ায় এমন জায়গা আছে জানতেন না নিশ্চিত! ঘুরে আসুন

একা না গিয়ে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে যান। যাতে বিপদে পড়লে একে অপরকে সাহায্য করতে পারেন। হারিয়ে গেলে খুঁজে বার করতে পারেন।

বেশি লম্বা ঝুলের পোশাক না পরাই ভাল। শাড়ি, লং স্কার্ট, লুঙ্গি জাতীয় পোশাক ভিড়ে পায়ে জড়িয়ে যেতে পারে। একের পোশাক অন্যের পায়ের নিচে গেলেও পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ছোট ঝুলের পোশাক পরাই নিরাপদ।

অনুস্থান স্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র কোন দিকে রয়েছে সেটা আগেই দেখে নিন। অসুস্থ বোধ করলে বা আহত হলে সেখানে গিয়ে শুশ্রূষা করান। এছাড়া যে কোনও বিপদে পড়লে নিরাপত্তাকর্মীদের স্মরনাপন্ন হন। তাঁরা কোথায় অবস্থান করছেন সেটাও আগেই দেখে নিন।

বেশি করে জল খান। ডিহাইড্রেশন হতে দেবেন না। শরীরে জলের ঘাটতি হলে অনুষ্ঠান স্থলে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। জলের বোতল সঙ্গে রাখুন।

যদি পড়ে যান, সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। সাহায্য চান। মাটিতে পড়ে থাকলে বিপদ বাড়বে।

Hathras FIR: ৮০ হাজারের জায়গায় আড়াই লক্ষের সমাগম! অভিযোগ স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে

হাথরস, উত্তরপ্রদেশ: হাথরসকান্ডে সৎসঙ্গ গোষ্ঠীর আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আয়োজকরা নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, তথ্য গোপন করেছেন এমনই অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে অবশ্য অভিযোগে উল্লেখ করা সত্ত্বেও সৎসঙ্গ-এর নেতা জগৎ গুরু সাকার বিশ্বহরির নাম নেই। তাঁকে এলাকায় খুঁজেও পাওয়া জাচ্ছে না।

সর্বাধিক ৮০ হাজার মানুষের জমায়েতের অনুমতি ছিল। এদিকে ভোলে বাবার দর্শনে সৎসঙ্গের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভিড় করেছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ ভক্ত। ফলাফল মর্মান্তিক। পদপিষ্ট হয়ে শিশু সহ ১২১ জনের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করল যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন- ভক্তদের কী দেওয়া হত বাবার সৎসঙ্গে, কীসের আশায় ভিড়? পলাতক হাথরসের ধর্মগুরু

এফআইআর অনুসারে,অনুমতি চাওয়ার সময় আয়োজকরা প্রত্যাশিত উপস্থিতি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। যানবাহনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অবহেলা করেছিলেন। পদপিষ্ট হওয়ার দুর্ঘটনার পরও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৬! যোগীকে ফোন করলেন মোদি

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপস্থিত ভক্তরা ভোলে বাবা ওরফে জগৎ গুরু সাকার বিশ্বহরির গাড়ির পথ থেকে ধুলো সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। পায়ের ধুলো নিতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ইতিমধ্যে, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্ট অনুসারে, জিটি রোডের ডিভাইডারের কাছে ভিড় বাড়ছিল। অনেকেই বাবাকে কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করছিলেন। নিরাপত্তা কর্মীরা তখন ভক্তদের আটকাতে যান। এতেই অনেকে পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার পর তাঁদের পদদলিত চলে যান অন্যান্যরা।

এই ঘটনায় অভিযোগের তির গুরু সাকার বিশ্বহরির নিরাপত্তা রক্ষী এবং সেবাদাসদের দিকেই। ঘটনার তদন্ত করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

 

যেন ‘মৃত্যুর উৎসব’! কেউ পদপিষ্ট, কারও হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত ১৫০-আহত ১৫০

#সিওল: হ্যালোউইন উৎসব নিমেষের মধ্যে হয়ে গেল মৃত্যুপুরী। দক্ষিণ কোরিয়ায় শনিবার অনুষ্ঠিত হ্যালোউইন উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনের। গুরুতর আহত আরও ১৫০ জন। রাজধানী সিওলের ইতায়ুনের একটি সরু গলিতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, উৎসবে ভিড়ের চাপেই এমন ঘটনা। উদ্ধারকাজ শুরুর পরও বহু মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটকে ছিলেন বহু সময়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।

ইতিমধ্যে ঘটনার পর জরুরি মিটিং ডেকেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় ইয়ুক সুক ইয়েওল৷ যে ক’জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই কার্ডিয়্যাক অ্যারেস্ট হয়েছে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে৷ বাকিরা পায়ের তলায় পিষে মারা গিয়েছেন। করোনার অতিমারির পরে প্রথমবার নো-মাস্ক হ্যালোইন পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ১ লক্ষ মানুষ৷

আরও পড়ুন: মাল নদীর ঘটনা ভুলে মহানন্দার বুকে ফের অস্থায়ী ছট-বেদী, ভাঙতেই তুমুল বিতর্ক শিলিগুড়িতে

৩১ অক্টোবর হ্যালোউইন। তা পালনের জন্য রাজধানী সিওলের প্রাণকেন্দ্রে একটি বাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন মানুষজন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, শনিবার রাতে সেখানকার আইটেওন জেলায় ওই বাজারে প্রায় লক্ষ লোকের ভিড় হয়েছিল। একটি সরু গলিতে কয়েকশো দোকানের ভিতর বহু ক্রেতা ছিলেন। রাস্তায়ও জমায়েত ছিল। সে সময়ই এই বিপর্যয় ঘটে। শনিবার মাঝরাতের কিছু আগে ওই বাজারে ভিড়ের চাপ বাড়তে থাকে। তার জেরে একটি হোটেলের কাছে অনেকে জ্ঞান হারান।

আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ওঠার পরই ক্লান্তি ঘিরে ধরে? সাবধান না হলে বড় বিপদ হতে পারে!

দুর্ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর ব্যাগে করে মরদেহ রাখা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসাসেবা দিয়ে আহত ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। রাস্তায় একজন আরেকজনের ওপর পড়ে আছেন, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। কী ভাবে এমন ঘটল, তার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।