ড্রোন তৈরির কাজে মগ্ন ছাত্ররা

Purulia News : অভিনব ড্রোন বানাল পুরুলিয়া সাইন্স মিউজিয়ামের প্রশিক্ষণরত ছাত্ররা

পুরুলিয়া : জঙ্গলমহলের অন্যতম ঐতিহ্যপূর্ণ জেলা পুরুলিয়া। এই জেলার মাটিতেই মিশে রয়েছে অভিনবত্ব। এই জেলার সাইন্স মিউজিয়াম তার মধ্যে অন্যতম। এই জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রে প্রশিক্ষণরত ছাত্ররা একের পর এক ক্রিয়েটিভ জিনিস তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি একটি অভিনব ড্রোন বানিয়ে রীতিমতসাড়াফেলে দিয়েছে পুরুলিয়ার সাইন্স মিউজিয়ামের ইনোভেশন হাবে প্রশিক্ষণরত ছাত্ররা। এই ড্রোন পুরুলিয়া সাইন্স মিউজিয়াম এর ইনোভেশন হাবে প্রশিক্ষণরত ছাত্ররা দু’বছর ধরে বানাচ্ছে। এই ড্রোন বানাতে প্রায় ১৭ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। এই ড্রোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির যে চিমনি গুলি রয়েছে সেগুলি থেকে পলিউশনের পলুউটেড হাব গুলি কালেক্ট করা যাবে এবং সেটি ড্রোনের ডিভাইসের রিয়েল টাইম মনিটরে শো করবে।

এর মাধ্যমে সেই ইন্ডাস্ট্রি পলিউশন কন্ট্রোল রয়েছে কিনা তা বোঝা যাবে। এরই পাশাপাশি এই ড্রোন পলিউশনের যে ধূলিকণার পরিমাপ কোন হাইটে কত আছে তার হিসাব রাখতে পারবে। যেখানে পলিউশনের পরিমাণ বেশি থাকবে তার লোকেশন ট্র্যাকারের মাধ্যমে এই ড্রোন পাঠাতে সক্ষম। ট্রায়াল হিসাবে এই ড্রোনকে বেশ কিছু জায়গায় ওড়ানো হয়েছে। বর্তমানে পেটেন্টের জন্য ফাইনাল ড্রোনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে বলে জানা গিয়েছে।‌

আরও পড়ুন : যোগাসনে উঠে আসছে পুরুলিয়া, নজর কাড়ল প্রতিযোগীরা

এ বিষয়ে জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের জুনিয়র সাইন্টিস্ট শুভ্রদীপ কর্মকার বলেন , এই ড্রোন পলিউশন কন্ট্রোলের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে।‌ ইতিমধ্যেই এর পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ‌এই ড্রোনের প্রজেক্ট এর সঙ্গে যুক্ত ছাত্ররা বলেন , পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের ছাত্র হতে পেরে তাদের ভীষণই ভালো লাগছে। আর এই ধরনের একটা অভিনব ড্রোন বানাতে পেরে তারা খুবই গর্বিত। ‌

আরও পড়ুন : এবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পৌরকর প্রদান , নয়া ব্যবস্থাপনা পৌরসভার!

ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সাইন্স মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধানে গত ১৫মার্চ ২০২৪- এ ইস্টান ইন্ডিয়া ইনোভেশন ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সেখানে এই ড্রোনকে রিপ্রেজেন্ট করে পুরুলিয়া সাইন্স মিউজিয়ামের প্রশিক্ষণরত ছাত্ররা। আর সেখানেই প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র। ‌

শমিষ্ঠা ব্যানার্জি