ডঃ উদয় চ্যাটার্জী বোঝাচ্ছেন গবেষণার বিষয়

Bankura News: গবেষণার পারদ চড়ছে প্রান্তিক বাঁকুড়ায়, ধারণা তৈরিতে তৎপরতা 

বাঁকুড়া: জেলা বাঁকুড়া পশ্চিমবঙ্গের “আন-অফিসিয়াল” “এডুকেশন হাব” বলে পরিচিত। প্রতি বছর কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের লাইন লেগে যায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায়। তবে যোগ্যতা কিংবা সামর্থ্য থাকলেও রিসার্চ কিংবা নিজের গবেষণা প্রকাশ করার সময় যথেষ্ট কনফিউশনের শিকার হন ছাত্র ছাত্রীরা। গবেষণা পত্র লেখা কিংবা প্রকাশ করার যে বিধি,সেই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকেনা সবার। আবার এই সব বিষয় শেখানো হয়না স্কুল – কলেজেও। তবে বাঁকুড়া শহরের বুকে বাঁকুড়া জিলা সারদামণি মহিলা মহাবিদ্যাপীঠে রিসার্চ পেপার লেখা এবং পাবলিশ করা নিয়ে একটি বিশেষ পাঠ এবং রাজ্যস্তরের একটি একদিনের কর্মশালা করা হয়।

হাতে কলমে সারদামনি কলেজের ভূগোল বিভাগের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাতনের ভট্টার কলেজের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডঃ উদয় চ্যাটার্জী ছাত্র ছাত্রীদের বুঝিয়ে দিলেন ঠিক কি কি করা উচিত রিসার্চ পেপার লেখার সময় এবং পাবলিশ করার সময়। তিনি বলেন, ” নতুন নিয়ম অনুযায়ী চার বছরের অনার্সের পরেই phd করতে পারবে এবং রিসার্চ করতে পারবে। গবেষণার মূল পদক্ষেপ হল “রিসার্চ পেপার তৈরি করা এবং সেটাকে সাবমিট করা অথবা জার্নাল করে পাবলিশ করা।”

আরও পড়ুন : গবেষণাই পাখির চোখ, কোচিং ছাড়া শুধু নিজে পড়াশোনা করে স্নায়ুবিজ্ঞানের প্রবেশিকায় প্রথম বাঁকুড়ার ছাত্রী

প্রান্তিক জেলা বাঁকুড়া! তবে মেধা বিপুল। সেই মেধার হাত ধরেই জেলা এগিয়ে যাবে। “রিসার্চ” অর্থাৎ গবেষণা করলে বহু সমস্যার সমাধান বেড়িয়ে আসে। মস্তিষ্ক প্রসূত একটি চিন্তা বা ভাবনাকে কার্যকরী ভাবে জার্নাল করে সেটার স্বীকৃতি অর্জন করাই হল শুরু। তার জন্য তৈরি করতে হবে “স্প্রিংগার” লিঙ্কে গিয়ে অর্কিড আইডি। এই আইডি হল একজন রিসার্চার এর পরিচয়। সেই কারণে এই একাউন্ট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ডঃ উদয় চ্যাটার্জী। লেখার ক্ষেত্রে রিসার্চ পেপার সবসময় সঠিক তথ্য সম্বলিত হতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণ মানানসই তথ্য দিয়ে লিখতে হবে রিসার্চ পেপার।

আরও পড়ুন : ‘খরচ কম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই’, হোমিওপ্যাথি নিয়ে সচেতনতা প্রসারে বললেন বাঁকুড়ার মেডিক্যাল অফিসার

একাধিক পরিচিত কিংবা অপরিচিত যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে পেপারটি মূল্যায়ন করিয়ে নিতে হবে। একে বলে “রিভিউ” করানো। রিসার্চ পেপার সাবমিট করার সময় রিভিউয়ার দের নাম, ডেজিগনেশন এবং ইমেইল আইডি যোগ করতে হবে।পুঁথিগত বিদ্যা এবং চাকরি করলে একটি জীবন তৈরি করা যায় কিন্তু গবেষণা করলে দেশ এবং দশের উন্নতি হয়, এমনই একটি চিন্তা ধারা নিয়ে বাঁকুড়ার ছাত্র ছাত্রীরা এগিয়ে আসছে গবেষণা করতে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার কৃতির দেশ বিদেশে গবেষণা করে করছেন কামাল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ইসরো থেকে ম্যাসাচুসেটস কিংবা “নিমহান্স”, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বাঁকুড়ার ছাপ। সারদামণি মহাবিদ্যালয়ের গবেষনা নিয়ে এমন একটি তৎপরতা যেন আরও এক বছর এগিয়ে দিল ভূগোল বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী