দই প্রায় সবাই নিয়মিত খান। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে এটি দুধের চেয়েও উন্নত। দই ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করা হয়। যদিও জানলে অবাক হবেন এমনকি দইয়ের মতো পুষ্টিকর খাবারও আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে যদি ভুল ভাবে খাওয়া হয়।

Curd: প্রতিদিন দই খেলে শরীরে কী হয় জানেন…? চমকে দেবে বিশেষজ্ঞের মত! দ্বিতীয়বার খাওয়ার আগে দশবার ভাবুন!

গরমকাল হোক বা বর্ষাকাল দই পাতে রাখার অভ্যাস কম বেশি সব বাড়িতেই রয়েছে। দইয়ের খাদ্যগুণ নিয়ে সবাই আমরা জানি। কিন্তু এই দই যদি প্রতিদিন খবর অভ্যাস করেন তা কী আদৌ উপকারী? নাকি হতে পারে উল্টো ফল? কী বলেন বিশেষজ্ঞরা?
গরমকাল হোক বা বর্ষাকাল দই পাতে রাখার অভ্যাস কম বেশি সব বাড়িতেই রয়েছে। দইয়ের খাদ্যগুণ নিয়ে সবাই আমরা জানি। কিন্তু এই দই যদি প্রতিদিন খবর অভ্যাস করেন তা কী আদৌ উপকারী? নাকি হতে পারে উল্টো ফল? কী বলেন বিশেষজ্ঞরা?
আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ডাঃ সরোজ গৌতম দই খাওয়ার আয়ুর্বেদিক দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেন, "দইতে আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করার বৈশিষ্ট্য থাকলেও, সাধারণ দই প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি আমাদের রক্তকে দূষিত করতে পারে এবং ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।"
আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ডাঃ সরোজ গৌতম দই খাওয়ার আয়ুর্বেদিক দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেন, “দইতে আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করার বৈশিষ্ট্য থাকলেও, সাধারণ দই প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি আমাদের রক্তকে দূষিত করতে পারে এবং ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।”
তাঁর কথায়, "আয়ুর্বেদে উল্লেখ আছে যে রাতে দই এড়ানো উচিত এবং প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। তবে মুগ ডাল, মধু, ঘি, চিনি এবং আমলা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন।"
তাঁর কথায়, “আয়ুর্বেদে উল্লেখ আছে যে রাতে দই এড়ানো উচিত এবং প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। তবে মুগ ডাল, মধু, ঘি, চিনি এবং আমলা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন।”
ডক্টর সরোজ তাঁর পরামর্শে বলেন, "কেউ সপ্তাহে কয়েকবার লবণ বা চিনি মিশিয়ে দই খেতে পারেন। তবে এটি প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয় কারণ দই আমাদের শরীরে তাপ তৈরি করে এবং এতে লবণ যোগ করে প্রায়শই এটি খেলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এটি চুলের অকালপক্কতা, ত্বকে ব্রণ এবং চুল পড়ার কারণও হতে পারে। এই কারণেই সাধারণত দইয়ে লবণ দেওয়া এড়ানো উচিত।
ডক্টর সরোজ তাঁর পরামর্শে বলেন, “কেউ সপ্তাহে কয়েকবার লবণ বা চিনি মিশিয়ে দই খেতে পারেন। তবে এটি প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয় কারণ দই আমাদের শরীরে তাপ তৈরি করে এবং এতে লবণ যোগ করে প্রায়শই এটি খেলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এটি চুলের অকালপক্কতা, ত্বকে ব্রণ এবং চুল পড়ার কারণও হতে পারে। এই কারণেই সাধারণত দইয়ে লবণ দেওয়া এড়ানো উচিত।
একইসঙ্গে আয়ুর্বেদ আরও পরামর্শ দেয় যে গরমকালে লস্যি পান করা উপকারী। দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে তা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে এবং সূর্যের প্রখর তাপ থেকে মুক্তি দেয়। এর পাশাপাশি লস্যি আমাদের শরীরকে শক্তি জোগায় এবং ফ্রেশ অনুভব করতে সাহায্য করে।
একইসঙ্গে আয়ুর্বেদ আরও পরামর্শ দেয় যে গরমকালে লস্যি পান করা উপকারী। দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে তা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে এবং সূর্যের প্রখর তাপ থেকে মুক্তি দেয়। এর পাশাপাশি লস্যি আমাদের শরীরকে শক্তি জোগায় এবং ফ্রেশ অনুভব করতে সাহায্য করে।
লস্যি পান করা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করতে পারে এবং তাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভাল। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে পান না করেন, কারণ অত্যধিক চিনিও স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
লস্যি পান করা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করতে পারে এবং তাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ভাল। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে পান না করেন, কারণ অত্যধিক চিনিও স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দইতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন এবং অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। আমাদের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দইতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন এবং অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। আমাদের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
দই সারা বিশ্বেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। বিভিন্ন দেশে এর স্বাদ আলাদা। ভারতীয় উপমহাদেশে দই সাধারণত ঘন এবং সাদা রঙের হয়। আমাদের দেশে গরু বা মহিষের দুধ থেকে দই তৈরি করা হয়।
দই সারা বিশ্বেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। বিভিন্ন দেশে এর স্বাদ আলাদা। ভারতীয় উপমহাদেশে দই সাধারণত ঘন এবং সাদা রঙের হয়। আমাদের দেশে গরু বা মহিষের দুধ থেকে দই তৈরি করা হয়।
দুধে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়ার কারণে আমরা দুধকে গাঁজিয়ে তা থেকে দই তৈরি করতে পারি। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। দুধকে গাঁজালে তাতে থাকা ল্যাকটোজ ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়।
দুধে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়ার কারণে আমরা দুধকে গাঁজিয়ে তা থেকে দই তৈরি করতে পারি। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। দুধকে গাঁজালে তাতে থাকা ল্যাকটোজ ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়।
ক্যালসিয়াম: দই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়াও, দই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণের প্রধান কারণ। ফল বা শণের বীজ এবং সূর্যমুখী বীজের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলে প্রয়োজনীয় ফাইবার পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম: দই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়াও, দই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণের প্রধান কারণ। ফল বা শণের বীজ এবং সূর্যমুখী বীজের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলে প্রয়োজনীয় ফাইবার পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিক আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। দইয়ে থাকা জিঙ্ক এবং খনিজ পদার্থ আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং শরীরের উপকার করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিক আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। দইয়ে থাকা জিঙ্ক এবং খনিজ পদার্থ আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং শরীরের উপকার করে।
উজ্জ্বল ত্বক: দইয়ের ব্যাকটেরিয়া আমাদের ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা দেয় এবং এটি ত্বককে ফর্সা রঙ দেয়। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলকানি ও প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। দই থেকে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে মুখের দাগ, ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, ছিদ্র ইত্যাদি নিরাময় হয়।
উজ্জ্বল ত্বক: দইয়ের ব্যাকটেরিয়া আমাদের ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা দেয় এবং এটি ত্বককে ফর্সা রঙ দেয়। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলকানি ও প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। দই থেকে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে মুখের দাগ, ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, ছিদ্র ইত্যাদি নিরাময় হয়।
যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য: দইয়ে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া শরীরে পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং নারী যৌনাঙ্গকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও সংক্রমণ ছাড়াই মহিলাদের শরীরকে পুষ্ট রাখে।
যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য: দইয়ে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া শরীরে পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং নারী যৌনাঙ্গকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও সংক্রমণ ছাড়াই মহিলাদের শরীরকে পুষ্ট রাখে।
যদিও কিছু গ্রীক দই বা ফ্লেভারড দই স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করা হয়, অনেকগুলি ক্ষেত্রে দই ঘন করার জন্য কিছু অতিরিক্ত সংযোজন, রঙ, শর্করা এবং আঠা জাতীয় পদার্থ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
যদিও কিছু গ্রীক দই বা ফ্লেভারড দই স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করা হয়, অনেকগুলি ক্ষেত্রে দই ঘন করার জন্য কিছু অতিরিক্ত সংযোজন, রঙ, শর্করা এবং আঠা জাতীয় পদার্থ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
হজম হয় না: এটা একেবারেই ভুল। দইয়ের প্রোবায়োটিক আমাদের হজমে অনেক সাহায্য করে।
হজম হয় না: এটা একেবারেই ভুল। দইয়ের প্রোবায়োটিক আমাদের হজমে অনেক সাহায্য করে।
ল্যাকটোজ অ্যালার্জি: ল্যাকটোজ অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের দই না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটাও ভুল তথ্য। দইয়ে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোজকে ভেঙে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে ক্যালসিয়াম পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় দই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
ল্যাকটোজ অ্যালার্জি: ল্যাকটোজ অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের দই না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটাও ভুল তথ্য। দইয়ে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোজকে ভেঙে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে ক্যালসিয়াম পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় দই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।