পশ্চিম বর্ধমান: অজয় নদীর উপর এই অস্থায়ী সেতুটি বর্ষাকাল এলেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেতুটি অন্যতম ভরসা দুই জেলার। বীরভূমের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার যোগাযোগ স্থাপন করে এই অস্থায়ী সেতু। সারা বছর এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন যানবাহন। বীরভূম থেকে বহু ব্যবসায়ী এই সেতু ব্যবহার করে দুর্গাপুর, পানাগড়ে ব্যবসা করতে আসেন।
এই অস্থায়ী সেতুর উপর দিয়ে হয় বাস পর্যন্ত চলাচল করে। কিন্তু বর্ষা এলেই বাড়ে বিপদ। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হতেই এই অস্থায়ী সেতু নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। অজয়ে জল বাড়তেই অস্থায়ী সেতুর দু’পাশ ভাঙতে শুরু করেছে। প্রত্যেক বছরই অজয় নদীতে জলস্তর বেড়ে গেলে অস্থায়ী সেতুটি ভেসে যাওয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তখন দুই জেলার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। দুই জেলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে তখন একমাত্র ভরসা নৌকা।
আরও পড়ুন: বাম আমলে তৈরি জিম সেন্টারের বেহাল দশা, হাল ফেরানোর দাবি স্থানীয়দের
বর্ষাকালে সেতুটির এই বেহাল দশায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় বীরভূম থেকে বর্ধমানে আসা ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তেই সেই একই চিন্তা আবার ঘিরে ধরছে স্থানীয়দের। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সেতুটি যদি ভেসে যায় তাহলে ব্যাপক অসুবিধা পড়তে হবে। এটির মাধ্যমে বীরভূমের ইলামবাজারের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা এলাকার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। দুর্গাপুর থেকে বহু বাস এখানে আসে। জয়দেব যাওয়ার জন্য এই সেতুটি ব্যবহার করা হয়।
এদিকে বর্ষাকালে বাধ্য হয়ে নৌকার উপর ভরসা করে থাকতে হয়। তাতে বৃদ্ধি পায় খরচ। পাশাপাশি সময়ও বেশি লাগে। ফলে স্থানীয় মানুষজন তাকিয়ে আছেন অস্থায়ী সেতুটির পাশে তৈরি হওয়া স্থায়ী সেতুর দিকে। উল্লেখ্য, দুই জেলার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে অস্থায়ী সেতুর পাশে একটি স্থায়ী সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে বছর পাঁচেক আগে সেই কাজ শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি।
এই বিষয়ে অবশ্য পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার খুশির খবর শুনিয়েছেন। জানিয়েছেন, স্থায়ী সেতুটির ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে এই সেতুটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।
নয়ন ঘোষ