শিলিগুড়ি: রামায়নের গল্পে লেজে আগুন লাগানোয় লঙ্কা পুড়িয়ে দিয়েছিল হনুমান৷ শিলিগুড়ির মাঝবাড়ি এলাকাতেও যে কাণ্ড ঘটল, তাতে অনেকের এই গল্পের কথাই মনে পড়তে পারে৷ শিলিগুড়ির মাঝেরহাটের একটি বাড়ির ছাদে বাসা বেঁধেছিল ভীমরুল৷ সেই চাক ভাঙতে গিয়েই উল্টে বিধ্বংসী আগুন ধরে গেল ওই বাড়িতে৷ দমকল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে বাড়ির ছাদের টিনের আচ্ছাদন সহ জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে৷
শিলিগুড়ির মাঝেরহাট এলাকায় বিমল দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আজ এই ঘটনা ঘটে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমলবাবুর বাড়ির ছাদে বেশ কিছু দিন ধরেই একটি ভীমরুণেলসৃর চাক বাসা বেঁধেছিল৷ আগুন দিয়ে চাক ভেঙে ভীমরুল তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিমলবাবু৷
আরও পড়ুন: বাংলার সবচেয়ে সুস্বাদু মাছ, কিন্তু কিনতে গিয়ে ঠকে যায় লোকে! কোন মাছ? খুব সহজে চিনুন আসল মাছ
সেই মতো এ দিন সকালে ভীমরুলের চাক ভাঙার চেষ্টা করা হয়৷ আগুন জ্বালিয়ে পুড়়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় চাকটিকে৷ এই প্রক্রিয়া যখন চলছলি তখন বৃষ্টি হচ্ছিল৷ সঙ্গে আবার জোরে হওয়া বইছিল৷ অসাবধনতা বশত তখন সেই আগুন তখন ছাদের একাংশে ছড়িয়ে পড়ে৷ কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়৷
আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্ক ছড়ায়৷ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন৷ প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, বিমলবাবু বিজেপি কর্মী৷ মাঝেমধ্যেই বাড়ির ছাদে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আড্ডা মারতেন তিনি৷ সেই কারণে ছাদের উপরে বেশ কিছু চেয়ার রাখা ছিল৷ এ ছাড়াও প্লাস্টিকের মতো সহজ দাহ্য কিছু জিনিসও ছিল বলে আগুন দ্রুত ছড়ায়৷ বাড়ির নীচে একটি আলমারির কারখানাও ছিল৷ ফলে সময় মতো আগুন না নেভালে আরও বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং দমকল৷