Tag Archives: Siliguri

Rabindranath Tagore Birth Anniversary: আরাধ্য দেবতার আসনে বিশ্বকবির বিগ্রহ, এই মন্দিরে পূজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে অবস্থিত ‘উত্তরের শান্তিনিকেতন’-এর মন্দিরে ঈশ্বর রূপে পূজিত হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। শিলিগুড়ি শহরের অদূরে ঠাকুরনগর এলাকায় অবস্থান মন্দিরের। লোকমুখে “উত্তরের শান্তিনিকেতন” বলেই পরিচিত এই জায়গাটি।শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা শংকর ঘোষ ২০০২ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

শংকর বাবুর কথায়, তাঁর গুরু শরৎচন্দ্র দাস মহাশয়ের ইচ্ছায় “শ্রী শ্রী গৌড় ভবামিত বিশ্ব কল্যাণকামী হরিগুরু সংঘ” শুরু করেছিলেন। এই সংঘের নামটিও রবি ঠাকুরের দেওয়া বলে তাঁদের দাবি। শংকর বাবুর গুরুদেব ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরম ভক্ত। গুরুর আদেশ মতোই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বের দরবারে পূজিত করার লক্ষ্যে মন্দির স্থাপনা করেছিলেন তিনি এবং পুজোও শুরু করেছিলেন এই মন্দিরে। মৃত্যুবার্ষিকী এবং জন্মবার্ষিকীতে সকলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে মনে করলেও, আজও তিন বেলা রবি ঠাকুরের পুজো করা হয়ে থাকে এই মন্দিরে। জন্মবার্ষিকীতে ভোগ দিয়ে, রীতিমতো ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে এখানে।

তিন বিঘা জমির উপর ঠাকুরনগরের “উত্তরের শান্তিনিকেতন” তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার কথা চিন্তা করে। তবে সাহায্যের অভাবে পরিকাঠামোগত অভাবে আজও সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে শংকরবাবুর।

আরও পড়ুন : গরমে বিউলির ডাল খাচ্ছেন? এঁরা ভুলেও কলাইয়ের ডাল খাবেন না! এই ডাল খেলেই চরম বিপদ এঁদের

মন্দিরের পূজো দিতে এসে শংকরবাবু বলেন, ” গোটা ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যে মন্দিরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজা দিয়ে থাকি আমরা। প্রতিদিন তিন বেলা পুজো দেওয়া হয়। এবং বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নিজের হতে পায়েস রান্না করে ভোগ দিই।” করোনা কালের পর থেকে যদিও সাড়ম্বরে অনুষ্ঠান পালন করা বন্ধ হয়েছে।

শংকর বাবু আরও জানান, “আমি আজও দুয়ারে দুয়ারে ছুটছি সাহায্যের জন্য, সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে এলেই এখানে গরিব অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয়ের জায়গা তৈরি করব।” বর্তমানে শংকর বাবু এবং মন্দিরের এক পূজারী রয়েছেন। তাঁরাই মন্দিরের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন।

Dotara Making: দোতারাকে সঙ্গী করে দিব্যি আছেন শিলিগুড়ির সুভাষ

শিলিগুড়ি: “ভাল কইরা বাজাও গো দোতারা / সুন্দরী কমলা নাচে…”
এই গান সকলেই শুনেছেন। দোতারার সুরে কমলারা আজকাল নাচে না। বর্তমানে দোতারার জায়গা করে নিয়েছে উকুলেলে। কালের বিবর্তনে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হারিয়ে গেছে এমন‌ই অনেক বাদ্যযন্ত্র। এসবের জায়গায় দখল করে আছে আধুনিক ঘরানার নানান বাদ্যযন্ত্র। বর্তমানে সঙ্গীতে পাশ্চাত্য যন্ত্রের বেশি ব্যবহার এবং দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের প্রতি অনান্তরিকতা ও উদাসীন মনোভাবের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র দোতারা। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রশিল্পীরা দীর্ঘদিন চর্চা করেও বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনার সুযোগ, পরিবেশের অভাবে চর্চার আগ্রহ হারাচ্ছেন।

এমনি পরিস্থিতিতে দোতারা চর্চার ধারাকে অব্যাহত রাখতে বিগত কয়েক বছর ধরে নিজের হাতে দোতারা তৈরি করছেন শিলিগুড়ির ক্ষুদিরাম কলোনির বাসিন্দা সুভাষ কর্মকার। ছোটবেলার বাবার কাছে দোতারায় গান শেখেন। দোতারা বাদক হিসেবে প্রচুর জায়গায় অনুষ্ঠান করেছেন। তবে মাঝে পেটের টানে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু দোতারাকে তিনি ভুলতে পারেননি সুভাষ। নিজের হাতে দোতারা বানিয়ে এখন তাঁর দিব্যি কাটছে। নাতিদের নিয়ে মাঝে মাঝে দোতারার পাঠও দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, এই দোতারাকে সম্বল করেই আমার বেঁচে থাকা। এখন সবাই দেশী বাদ্যযন্ত্র ভুলে পাশ্চাত্য বাদ্যের প্রেমে পড়েছে। তবে আমি আমার মাটির জিনিসকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে লবণ সহনশীল বিকল্প চাষ! প্রশিক্ষণ বাসন্তী ও কুলতলিতে

সুভাষবাবু আরও জানান, এখন ক্রেতাও সঠিকমূল্য না পাওয়ায় বাদ্যযন্ত্রের প্রস্তুতকারক ও মেরামতকারীরা পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন। ধীরে ধীরে এসব বাদ্যযন্ত্রের ক্রেতা কমে যাওয়ায় কারিগরদেরও এখন আর সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকেই পেটের দায়ে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য পেশায়। তবে তিনি কিন্তু হাল ছাড়েননি। শিলিগুড়িতে সুভাষবাবু একমাত্র দোতারা প্রস্তুতকারক হিসেবে পরিচিত। অর্ডার অনুযায়ী তিনি দোতারা তৈরি করে থাকেন। এক একটা দোতারা তৈরি করতে তাঁর তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। সকাল থেকেই ছেনি, হাতুড়ি, বাটালি নিয়ে বসে পড়েন দোতারা তৈরিতে। এর মাঝেই নাতি এসে গান শোনাতে বললে তাদের আবদার মেটাতে কিন্তু ভোলেন না সুভাষ

অনির্বাণ রায়

Bengal Safari: পর্যটকদের জন্য খবর! বেঙ্গল সাফারি পার্কের ৫ রয়্যাল বেঙ্গল শাবক চাক্ষুষ করার সুযোগ

পর্যটকদের জন্য দারুন খুশির খবর! অবশেষে নাইট শেল্টার থেকে বার করে আনা হল শীলার পাঁচ রয়্যাল শাবককে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা সম্প্রতি পঞ্চমবারের জন্য মা হয়।
পর্যটকদের জন্য দারুন খুশির খবর! অবশেষে নাইট শেল্টার থেকে বার করে আনা হল শীলার পাঁচ রয়্যাল শাবককে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা সম্প্রতি পঞ্চমবারের জন্য মা হয়।
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেয় সে। সেই থেকে মা এবং সন্তানদের নাইট শেল্টারের মধ্যেই রাখা হয়েছিল। এই পাঁচটি শাবকের মধ্যে চারটি স্ত্রী এবং একটি পুরুষ বাঘ রয়েছে।
এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেয় সে। সেই থেকে মা এবং সন্তানদের নাইট শেল্টারের মধ্যেই রাখা হয়েছিল। এই পাঁচটি শাবকের মধ্যে চারটি স্ত্রী এবং একটি পুরুষ বাঘ রয়েছে।
তবে এখনই খোলা এনক্লোজারে সাফারির জন্য ছাড়া হবে না ওই শাবকদের। কিন্তু পর্যটকদের সেই শাবকদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
তবে এখনই খোলা এনক্লোজারে সাফারির জন্য ছাড়া হবে না ওই শাবকদের। কিন্তু পর্যটকদের সেই শাবকদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বন দফতর ও জু অথরিটির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাদের "ক্রালে" ছাড়া হয়। সাফারি পার্ক সূত্রে জন্য যায় শীলার পাঁচটি শাবকই সুস্থ রয়েছে। প্রত্যেকেই ভালো রয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে এখনই তাদের এনক্লোজারে ছাড়া হবে না। কারণ ওরা খুবই ছোট।
বন দফতর ও জু অথরিটির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাদের “ক্রালে” ছাড়া হয়। সাফারি পার্ক সূত্রে জন্য যায় শীলার পাঁচটি শাবকই সুস্থ রয়েছে। প্রত্যেকেই ভালো রয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে এখনই তাদের এনক্লোজারে ছাড়া হবে না। কারণ ওরা খুবই ছোট।
তবে ক্রালে ওই পাঁচ শাবকদের চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। আর শাবকগুলো আগামীতে পর্যটকদের বেঙ্গল সাফারির অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে বলে মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
তবে ক্রালে ওই পাঁচ শাবকদের চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। আর শাবকগুলো আগামীতে পর্যটকদের বেঙ্গল সাফারির অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে বলে মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী বলেন, "সব ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে এই শাবকদের জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে।"
রাজ্য জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী বলেন, “সব ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে এই শাবকদের জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে।”

Food News: সোনালি ফুচকা খেয়েছেন কখনও? কোথায় মিলছে জানেন, দাম কত! রইল ঠিকানা

শিলিগুড়ি: সোনালি ফুচকা খেয়েছেন কোনওদিন? ভাবছেন এটা আবার কী করে সম্ভব? এই অসম্ভব কেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন শিলিগুড়ির এক ব্যবসায়ী। ফুচকা খেতে সকলেরই ভাল লাগে। ফুচকার প্রতি বাঙালির অন্য রকম একটা মোহ রয়েছে। রাস্তায় বেরলে অধিকাংশ মানুষই আর কিছু খান না খান, ফুচকা অবশ্যই খাবেন। আর সেই ভাললাগাটাকেই হাতিয়ার করে ফুচকাপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদের ফুচকা তৈরি করেছেন শিলিগুড়ির এক ব্যবসায়ী। যার নাম নবাবী ফুচকা।

চিকেন ফুচকা, মোমো ফুচকা, ম্যাগী ফুচকা-সহ এমন অনেক ফুচকা হয়তো খেয়েছেন। কিন্তু সোনায় মোড়ানো ফুচকা? এই ফুচকার নাম যেমন নবাবী আন্দাজ। ঠিক তৈরিও হয় নবাবী কায়দায়। বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুট, দই, সহ আরও অনেক কিছু দেওয়া হয় এই ফুচকাতে। আর এর বিশেষত্ব হল সোনালি ফয়েল দিয়ে সাজিয়ে এটি পরিবেশন করা হয়। দামটাও একেবারেই সামান্য। তাই এই স্বাদ উপভোগ করতে আসতেই হবে ‘ওউন পানিপুরি’।

আরও পড়ুন: এখনই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন! বিদ্যুৎ দফতরে ‌যা করলেন বাসিন্দারা!

শিলিগুড়ি শহরে তাঁদের আমতলা ক্লাব এবং ভুটিয়া মার্কেটের কাছে দু’টি আউটলেট রয়েছে। আর প্রতিদিন মজা লুটতে ফুচকা খেতে দিন দিন ভিড় উপচে পড়ছে তাঁর দোকানে। ফুচকার দোকানে এমনিতেই ভিড় লেগে থাকে তার ওপর আবার ফুচকার রেস্তরাঁ। বসে আরাম করে খাওয়া যাবে সেখানে ভেবেই লোকজন ছুটে আসছে। দোকানের কর্মরত নীতিশা চক্রবর্তী বলেন, “শিলিগুড়িতে তথা উত্তরবঙ্গে ফুচকার প্রথম কোম্পানি আমাদের। আমরা ফুচকা প্রেমীদের জন্য নিজেরা অনেক নতুন নতুন ফুচকার তৈরি করেছি। তার মধ্যে এই নবাবি আন্দাজ ফুচকা নতুন ইনভেনশন তাদের। দাম মাত্র ৬৯ টাকা। তাই একটু ভিন্ন স্বাদের ফুচকা খেতে হলে আমাদের এখানে ঘুরে যেতে পারেন সকলে।”

অনির্বাণ রায়

Lok Sabha Election 2024 : এ কী অবস্থা! ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে জানতে পারলেন তিনি মৃত! বেঁচে থেকেও দেওয়া হলনা ভোট

শিলিগুড়ি: বেজে গেল লোকসভা ভোটের দামামা। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার প্রথম দফায় ভোটের লাইনে দাঁড়াল বাংলার তিন কেন্দ্র—কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের ভোটাররা। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ প্রথম দফা। তবে যে কটি ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়, তারমধ্যে অন্যতম হল শিলিগুড়ির ৩৪নং ওয়ার্ডের বাল্মীকি বিদ্যাপীঠ স্কুলে ঘটে যাওয়া অবাক করা কাণ্ড।

জানা গিয়েছে ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ রায় নির্ধারিত সময়ে বাল্মীকি বিদ্যাপীঠ স্কুলে ২৩৬নং বুথে ভোট দিতে আসেন। লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি যখন বুথে ঢোকেন তখন জানতে পারেন তালিকায় তার নাম নেই। গোবিন্দকে জানানো হয় লিস্টে তার নাম নেই, তাকে মৃত বলে দেখানো হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে যে ব্যক্তি নিজের পায়ে হেঁটে ভোটার লাইনে আসেন। সেক্ষেত্রে তিনি কী করে মৃত হতে পারেন।

গোবিন্দ রায় বলেন,”সকাল সকাল এসে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বুথে পৌঁছাতেই জানতে পারি তালিকা অনুযায়ী আমি মৃত। আমার পরিবারের ১৪ জন সদস্য রয়েছে। পরিবারের দাদা ,বৌদি, আমার স্ত্রী, ছেলে সহ অন্যান্য সদস্যরা ভোট দিয়েছে। কিন্তু আমি যখন দিতে গেলাম তখন বলেন যে আমি মৃত। ভোট দিতে পারলাম না। জানি না কি হবে।”

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে একটি জায়গা নিয়ে ৬ জনের লড়াই! দল গঠনে মহাচমক! জানুন বিস্তারিত

এই ঘটনায় সাময়ীকবালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিমল তফাদার বলেন,”এটা প্রশাসনের চূড়ান্ত গাফিলতি। বিএলওরা সঠিকভাবে কাজ না করায় এই সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে। আমি ওপর মহলে এর তদারকির কথা বলব।” কিন্তু ভোটের দিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে না পারাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না গোবিন্দ রায়।

অনির্বাণ রায়

Lok Sabha elections 2024: বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতারের চেষ্টা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি! শিলিগুড়িতে বুথের বাইরে তুলকালাম

বিশ্বজিৎ মিশ্র, শিলিগুড়ি: ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের চেষ্টা পুলিশের৷ নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে গাড়ি নিয়ে রীতিমতো বিজেপি বিধায়কের গাড়িকে ধাওয়া করল পুলিশ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম দফার ভোটে শিলিগুড়িতে তুলকালাম৷ পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপি বিধায়কের অনুগামীরা৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে বিজেপি বিধায়ককে কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে যান দলের কর্মীরা৷

ঘটনার সূত্রপাত এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে৷ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রাক্তন মন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব৷ ওই এলাকাটি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে৷ পুলিশের অভিযোগ, নিজের বুথ এলাকার বাইরে এসে এ দিন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ঢোকার চেষ্টা করেন শিখা চট্টোপাধ্যায়৷ তখনই পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়৷ বিজেপি বিধায়ককে আটকেরও চেষ্টা করে পুলিশ৷

আরও পড়ুন: ভোট দিলেন বিশ্বের সবথেকে খর্বকায় মহিলা জ্যোতি, ছোট থেকেই কেন উচ্চতা বাড়েনি তাঁর?

এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ পুলিশ বিজেপি বিধায়ককে আটক করার চেষ্টা করতেই বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা৷ পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসা, ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়ক এবং তাঁর অনুগামীরা৷ বিজেপি বিধায়ককে জোর করে গাড়িতে তুলে ওই জায়গা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ পুলিশ পাল্টা বিজেপি বিধায়কের গাড়ি আটকানোরও চেষ্টা করে৷ শেষ পর্যন্ত নিজের বিধায়ক কার্যালয়ে পৌঁছন বিজেপি বিধায়ক৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য রণে ভঙ্গ দেয় পুলিশ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়৷ বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে রীতিমতো দু পক্ষের মধ্যে টানাহ্যাঁচড়া চলতে থাকে৷

বিজেপি বিধায়ক অবশ্য দাবি করেন, এলাকার বিধায়ক হিসেবে তিনি বিভিন্ন বুথে ঘুরে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া দেখতেই পারেন৷ তাঁর অভিযোগ, গৌতম দেবই পুলিশকে দিয়ে তাঁকে হেনস্থা করিয়েছেন৷ যদিও বিজেপি বিধায়কের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌতম দেব৷ এই ঘটনায় তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশনও৷ ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন৷

Magic Umbrella: এ এক ম্যাজিক-বোতল! খুললেই ‌যা বেরিয়ে আসছে চমকে ‌যাবেন! কোথায় মিলছে জানুন

অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : বিধান মার্কেট গেলেই দেখা মিলছে দোকানে সারি সারি বোতল ঝুলছে। কিন্তু কেন সব দোকানে হঠাৎ বোতল ঝুলছে? আসলে এই বোতলের ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। ভাবছেন হয়ত হেঁয়ালি করছি। কিন্তু না আসলে এটাই সত্যি। বোতল খুললেই বোতল হয়ে যাচ্ছে ছাতা। একদিকে চাঁদিফাটা রোদ্দুর, অন্যদিকে আবার বৃষ্টি। রোদ হোক কিংবা বৃষ্টি ছাতা কিন্তু সবসময়ই দরকার।এবার এই ছাতার মধ্যেই দেখা গেল অভিনবত্বের ছোঁয়া। শিলিগুড়ির বাজারে বোতল ছাতা কিন্তু দারুণ ট্রেন্ডিং। এই বোতল ছাতা কিনতেই দোকানে ভিড় পড়ছে প্রতিদিন। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানিদের।

এই বোতল ছাতা নিয়ে দোকানিদের জিজ্ঞেস করতে জানা গেল যে এমন ছাতা বাজারে নতুন এসেছে। এ বছর দারুণ বিক্রি রয়েছে ছাতার। ছাতা ব্যবসায়ী, রাহুল সরকার বলেন, ‘‘এই ছাতার মূল বিশেষত্ব হল। এই প্লাস্টিকের কভার। বোতলের ঢাকনা হল ছাতার হ্যান্ডেল আর বোতলটি হল ছাতার কভার। একটা হালকা প্যাঁচ রয়েছে বোতলের মুখে। বোতল খুললেই ছাতা বেরিয়ে আসবে। ব্যবহার করে সেটিকে আবার বোতলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে খুব সহজেই বহন করা যাবে এই বোতল ছাতা।’’

আরও পড়ুন : আগামিকাল রামনবমী, এই রঙের সিঁদুর, কলাইয়ের ডাল ও ১১ টি অশ্বত্থের পাতা দিয়ে করুন এই ছোট্ট কাজ! ধনসম্পদ সৌভাগ্যে ভরে উঠবে জীবন

বিশেষত বৃষ্টির দিনে ভিজে ছাতা রাখার জায়গা পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে কিন্তু এই ছাতা কিনলে রাখার জায়গার অভাব হবে না। বোতলে ঢুকিয়ে দিব্যি ব্যাগের মধ্যে রেখে দিতে পারবেন এই বোতল-ছাতা। ছাতা কিনতে এসে পদ্মপর্ণা রায় বলেন, ‘‘বাজারে ছাতা কিনতে এসেছিলাম। ছাতার দোকানে এসে দেখি সারি সারি বোতল ঝুলছে। জিজ্ঞেস করতেই দোকানিরা বলেন যে এটা আসলে ছাতা। দারুণ লাগল জিনিসটা । বৃষ্টির দিনে উপকারী জিনিস। বাচ্চারা ব্যবহার করতে পারবে। বোতলের জন্য জল ব্যাগের মধ্যেও পড়বে না। আজ আমি বাড়ির জন্য দুটো ছাতা নিয়ে গেলাম।’’

তবে শুধু বোতল আকারের ছাতা নয়। ক্যাপসুল, কলা আকারের ছাতাও রয়েছে সেই দোকানগুলিতে। চাহিদাবেশি বোতল-ছাতার। দামটাও মাত্র ২৫০টাকা। তাই ছাতা কিনতে হলে এই বোতল ছাতা কিনে দেখাই যেতে পারে ।

Book Fair: অবাক বইমেলা! বই কিনলে দিতে হবেনা দাম! কোথায় হচ্ছে জানেন

শিলিগুড়ির শহরে কসমস মলে বসেছে এমনই এক মজার বইমেলা। যেখানে ফাঁকা বাক্স কিনে নিজের ইচ্ছেমতো সাজানো বই থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দসই বই। ‘বুক টেল’ সংস্থার পক্ষ থেকেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সাফারি পার্কে খুশির হাওয়া! ‘শীলা’র ঘরে নতুন অতিথি, তাও আবার ৫ জন!

শিলিগুড়ি : পর্যটকদের জন্য দারুন খবর । পয়লা বৈশাখের আগেই খুশির হওয়া সাফারি পার্কে । বেঙ্গল সাফারি পার্কে আগমণ হয়েছে নতুন রয়্যাল অতিথির। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে পাঁচটে রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের জন্ম দিয়েছে শিলা ।
শিলিগুড়ি : পর্যটকদের জন্য দারুন খবর । পয়লা বৈশাখের আগেই খুশির হওয়া সাফারি পার্কে । বেঙ্গল সাফারি পার্কে আগমণ হয়েছে নতুন রয়্যাল অতিথির। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে পাঁচটে রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের জন্ম দিয়েছে শীলা ।
এবার বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে হল ১৮ টি। তবে এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি বন দফতর থেকে সাফারি পার্কের আধিকারিকরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শীলা ও বিভান দম্পতি বাবা এবং মা ওই শাবকদের।
এবার বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে হল ১৮ টি। তবে এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি বন দফতর থেকে সাফারি পার্কের আধিকারিকরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শীলা ও বিভান দম্পতি বাবা এবং মা ওই শাবকদের।
এই নিয়ে চতুর্থবার মা হলো শীলা। এর আগে ১১ টি শাবকের জন্ম দিয়েছে শীলা। যার মধ্যে দশটি শাবক সুস্থসবল রয়েছে। তাদের দিয়ে সাফারিও শুরু হয়েছে। তারা এখন পার্কের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
এই নিয়ে চতুর্থবার মা হলো শীলা। এর আগে ১১ টি শাবকের জন্ম দিয়েছে শীলা। যার মধ্যে দশটি শাবক সুস্থসবল রয়েছে। তাদের দিয়ে সাফারিও শুরু হয়েছে। তারা এখন পার্কের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
জানা গিয়েছে, গত বছরের শেষে ফের গর্ভবতী হয় শীলা। এরপর তার খেয়াল রাখতে শুরু করে পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরই মাঝে এই নির্বাচনের আবহে মার্চ মাসের শেষে একসঙ্গে পাঁচ শাবকের জন্ম দেয় শীলা। বর্তমানে শীলা ও শাবকগুলো সুস্থই রয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত বছরের শেষে ফের গর্ভবতী হয় শীলা। এরপর তার খেয়াল রাখতে শুরু করে পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরই মাঝে এই নির্বাচনের আবহে মার্চ মাসের শেষে একসঙ্গে পাঁচ শাবকের জন্ম দেয় শীলা। বর্তমানে শীলা ও শাবকগুলো সুস্থই রয়েছে।
তাদের চব্বিশ ঘন্টা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নাইট শেল্টার এবং আলাদা এনক্লোজারে তাদের দেখভাল করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। আগামী তিনমাস শাবক গুলোকে আড়ালে রাখা হবে।
তাদের চব্বিশ ঘন্টা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নাইট শেল্টার এবং আলাদা এনক্লোজারে তাদের দেখভাল করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। আগামী তিনমাস শাবক গুলোকে আড়ালে রাখা হবে।

Crime: ‘দেখি, বেল্টে কী আছে!’ শিলিগুড়িতে ব্যক্তির বেল্ট থেকে যা বেরল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের!

শিলিগুড়ি: ফের সোনা উদ্ধার শিলিগুড়িতে। কোমরের বেল্টে স্পেশ্যাল চেম্বার বানিয়ে সোনার বিস্কুট পাচারের ছক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা DRI-এর। উদ্ধার কোটি টাকার সোনার বিস্কুট এবং সোনার অলঙ্কার। বাংলাদেশ থেকে সোনা বিহারে পাচারের ছক কষা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

সেই সোনা কিনতে এসে ধৃত ২! গাড়ির ডিকিতে স্পেশ্যাল চেম্বার বানিয়ে আনা হয়েছিল ৫০০ টাকার কয়েকটা বাণ্ডিল। বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই টাকাও। যার অঙ্ক সাড়ে ৮২ লাখ। নির্বাচনের আগে পুলিশের নজর এড়াতেই স্পেশ্যাল চেম্বার বানানো হয়েছিল। ধৃতদের আজ শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে জামিন খারিজ হয়।

আরও পড়ুন: ৫৮৩ জনের মৃত্যু, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা কিন্তু আকাশে নয়, ঘটে এয়ারপোর্টে! আত্মা কেঁপে যাবে জেনে

আর ঠিক ৮ দিন পর রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন৷ তার ঠিক আগে, গতকালই কলকাতার কাছেই উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ টাকা৷ বুধবার হাওড়া স্টেশনের কাছে পুলিশের নাকা তল্লাশিতে একটি ট্যাক্সি থেকে প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল৷ এই ঘটনায় ট্যাক্সিতে থাকা দুই ব্যক্তি এবং গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ৷

টাকা উদ্ধারের খবর দেওয়া হয় আয়কর দফতরে৷ আয়কর দফতরের আধিকারিকরাও থানায় পৌঁছে দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে৷