Eye Infection: চোখ দিয়ে জল পড়ছে, লালচে ভাব? হাত দেবেন না! এই রোগ হয়নি তো…   

কলকাতা: বর্ষা আসা মানেই ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসের মরশুম। বাতাসে আর্দ্রতা বাড়লেই শুরু হয় নানা রোগের উপদ্রব। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হল চোখের ইনফেকশন। কী কী ধরনের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? কী ভাবেই বা এড়িয়ে চলবেন?

বর্ষায় মূলত ৫ রকমের চোখের ইনফেকশনের কথা মনে করিয়ে দেন চিকিৎসকরা। সেগুলো হল-

ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিস-

চোখের মেমব্রেন হল সেই অংশ যেটি বাইরের দিক থেকে চোখের আকৃতি ধারণ করে। সেখানেই এই ভাইরাল সংক্রমণ হতে পারে বর্ষায়।

এই ধরনের ইনফেকশন হলে চোখ চুলকোতে থাকবে এবং লাল হয়ে যাবে। আলোর দিকে তাকাতেও সমস্যা হতে পারে। চোখ থেকে সমানে জল গড়াতে পারে।

আরও পড়ুন- পাইথনের এত বড় পেট! কাটতেই বেরোল হারানো স্ত্রীর দেহ

স্টাইল-

এটা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। চোখের কোণে লাল যন্ত্রণাদায়ক একটি মাংসপিন্ড গজিয়ে উঠতে পারে। অনেকটা ফুসকুড়ির মতো দেখাবে।

ড্রাই আইস-

অনেকক্ষণ ধরে চোখের পাতা না ফেললে এই সমস্যা হতে পারে। এতে চোখের জল শুকিয়ে যায়। চোখ শুষ্ক লাগে।

কর্নিল আলসার-

কর্নিয়ার ইনফেকশন যা হলে চোখ টকটকে রক্তবর্ণ হয়ে যায়। চোখে অসহ্য প্রদাহ হয়। ফেলে রাখলে অন্ধত্বের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

ট্র্যাকোমা-

বিশ্বে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই রোগের কারণে অন্ধ হয়ে গেছেন। ভীষণ ছোঁয়াচে এই রোগ চোখের ভিতরে বাইরে এমনকি নাক গলাতেও ছড়িয়ে যেতে পারে। অভ্যন্তরীণ ক্ষরণের কারণেই এই রোগ ছড়ায়।

সতর্কতা- 

  • এর মধ্যে যে কোনও একটির উপসর্গ হলেই চিকিৎসকের কাছে যান।
  • চোখে হাত দেবেন না। চুলকোবেন না।
  • গরম জলে তুলো বা পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে চোখে ভাপ দেবেন।

চোখ ভাল রাখতে কী কী করবেন?

  • বাড়িতে সাময়িক আরাম পেতে মহাত্রিফলা ঘি দুধে মিশিয়ে খান দিনে দুবার।
  • অ্যালোভেরা এবং আমলার রসও খেতে পারেন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে ২০ মিনিট অনুলোম বিলোম এবং ভ্রামরি প্রাণায়ামও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকরী।