জলপাইগুড়ি: একদিকে বিশ্ব উষ্ণায়ন অন্যদিকে নাগাড়ে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই দুইয়ের চাপে কি এবার নিজেদের অবস্থান পাল্টাতে শুরু করেছে বাঘ? জঙ্গলেও মানুষের দখলদারিতে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে কিনা প্রায় ১৪ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে শান্তির খোঁজ!
সম্প্রতি ক্যামেরায় ধরা পড়া বাঘেদের ছবি এমন প্রশ্নই উস্কে দিচ্ছে পরিবেশ বিজ্ঞানী মহলে। ক্রমশ জঙ্গলের পাশে জনবসতি বাড়ছে, এতেই সমস্যায় পড়ছে বন্যপ্রাণ। কখনও জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে খাবারের খোঁজে তো কখনও ঘরবাড়ি কৃষি-জমি নষ্ট করছে অজান্তেই। ফলত, হামেশাই ডুয়ার্সে লেগে রয়েছে মানুষ ও বন্যপ্রাণের সংঘর্ষ। প্রাণহানিও হচ্ছে বহু। কিন্তু এর সমাধান কী?
মনুষ্যসৃষ্ট সমাধান না হলেও মানুষের ভীড় ঠেলে একটু শান্তির খোঁজে তা হলে কি ‘বাঘমামা’রাই নাগালের বাইরে গিয়ে পাহাড়ের উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার মরিয়া চেষ্টায় ব্যস্ত? এবার তেমনই আভাস মিলতে শুরু করেছে সিকিমের পাহাড়ি জঙ্গলে।
সম্প্রতি সেখানে পেতে রাখা গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে কালো-হলুদ ডোরাকাটাদের ছবি। তাও এক্কেবারে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার ফুট উঁচু ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন সিকিমের পাকিয়ং জেলার পাঙ্গোলাখা অরণ্যে দেখা মিলেছে বাঘেদের। ফের বাঘের খোঁজ মেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ক্যামেরাবন্দি হওয়া বাঘের ছবির কথা বাদ দিলেও ২০১৮ সাল থেকে অনুসন্ধানে তিনটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের খোঁজ মিলেছে ওই পাহাড়ি জঙ্গলে।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বাঘেরা সেখানে কনকনে ঠান্ডায় নিজেদের মানিয়ে নিয়ে নিরিবিলি পরিবেশে বেশ সুখেই সংসার গুছিয়ে নিয়েছে। কখনও সিকিমে আবার কখনও ভুটানের জঙ্গলে স্বচ্ছন্দে ঘুরে শিকারও খুঁজে বেড়াচ্ছে। সিকিম রাজ্য সরকারের বন ও পরিবেশ দফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য মেলায় স্বভাবতই হতবাক পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
সুরজিৎ দে