Tag Archives: Animal
Leopard Death: রাতের অন্ধকারে বেঘোরে প্রাণ গেল চিতাবাঘের
আলিপুরদুয়ার: আবারও বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল পূর্ণ বয়ষ্ক চিতাবাঘের। মাদারিহাটের ঘটনা। গভীর রাতে একটি গাড়ি নিয়ম না মেনে দ্রুতগতিতে চলছিল। এরফলে চিতাবাটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পরে ভোরবেলায় এলাকার মানুষ বাইরে বেরিয়ে দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে মাদারিহাট এলাকার প্রধান সড়ক ধরে চিতাবাঘটি রাস্তা পার হচ্ছিল। সেই সময় দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। গাড়িটিকে পাওয়া যায়নি। ভোর হলে স্থানীয়রা রোজের মত বাড়ির বাইরে বেরিয়ে চিতাবাঘটির দেহ দেখতে পান। এরপর তাঁরাই বনবিভাগে খবর দেন।
আরও পড়ুন: সভা থেকে ফেরার সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ২০ তৃণমূল সমর্থক
এরপর জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলদাপাড়া প্রকৃতিবিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠায়। ঘাতক গাড়ির সন্ধানে তল্লাশির শুরু করেছে বন দফতর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ। গাড়ির নম্বর দেখে তার মালিকের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এদিকে অজ্ঞাতপরিচয় ঘাতকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
অনন্যা দে
Locals Protest: দুপুর ২ টো বাজলেই ধাঁ হয়ে যায় চিকিৎসক, এসে ফিরে যেতে হয় অসহায় পশুদের
আলিপুরদুয়ার: বেলা দুটো বাজলেই বীরপাড়ায় পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে আর চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায় না। নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা কেন্দ্র। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকার একমাত্র পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বেলা দু’টোর পর চিকিৎসক বাড়ি চলে যান, ফলে প্রয়োজন থাকলেও বিকেলের দিকে পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তখন অসুস্থ পশুদের কোথায় নিয়ে যাবেন বুঝে পান না তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, এই এলাকায় অন্য কোনও প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাসিন্দাদের স্পষ্ট অভিযোগ, বিকেল চারটে অবধি খোলা থাকার কথা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির। সেখানে বেলা দুটোর পর প্রাণী চিকৎসা কেন্দ্রে এসে দেখা যায় তালা ঝুলছে।
আরও পড়ুন: একদা গনি গড়ের সব বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগের জবাবে বীরপাড়ার এই বিষয়ে প্রাণী চিকিৎসক সারাভানান ই জানান, দফতরের বিভিন্ন কাজের জন্য তাঁকে মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতে হয়। এছাড়া দফতরের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হয়, এছড়া বিভিন্ন রিপোর্ট পাঠাতে হয়। তাই দুপুর দুটোর পর তিনি আর পোষ্যদের চিকিৎসা করতে পারেন না বলে জানান।
অনন্যা দে
Bangla Video: পশু-পাখিদের হিট স্ট্রোক ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা
জলপাইগুড়ি: গ্রীষ্মের প্রখর তাপে নাকাল রাজ্যবাসী। ভয়াবহ পরিস্থিতি গোটা দক্ষিণবঙ্গে। সেখানে লাগাতার তাপপ্রবাহের জেরে মানুষ থেকে পশু সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্বস্তিতে নেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোও। তুলনায় উত্তরবঙ্গে তাপপ্রবাহ খানিক কম হলেও প্রখর রোদের তাপে টেকা দায়! এই অবস্থায় পরিবেশপ্রেমী ও বন দফতর অবলা পশুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। কারণ গরমে মানুষদের মত তাদেরও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এই গরমে ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোক থেকে অবলা প্রাণীরা নিজেদের বাঁচাতে অক্ষম। তাই ডুয়ার্সের গরুমারা, লাটাগুড়ি এবং আরও অন্যান্য বনাঞ্চলের প্রাণীদের খেয়াল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বনকর্মীরা। রাজ্য সরকারও কড়া নজর রেখেছে ডুয়ার্সের বন্যপ্রাণদের দিকে। প্রচন্ড গরমে যাতে তাদের কোনও অসুবিধা না হয় সে কারণেই কোমর বেঁধে প্রস্তুত বন দফতর। কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
আরও পড়ুন: গরম বাড়তেই দেদার বিক্রি বিহারে তৈরি মাটির মটকা ও বোতল
এই প্রসঙ্গে গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, গরম এবং অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে কাঠ জঙ্গলের জলাভূমি। গরমের তাপ থেকে হাতি, চিতাবাঘ, হরিণ, বুনো শুকোর, বাইসন, ময়ূর সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং পশুদের রক্ষা করতে জঙ্গলের ভেতর গভীর ঝোড়ার মাধ্যমে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে যাতে পশু-পাখিদের এই গরমে প্রতিদিন স্নান করানো যায় সেদিকে খেয়াল রাখছেন বনকর্মীরা। এছাড়াও জঙ্গলের ভেতর থাকা ঝোড়া গুলিকেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, জঙ্গলের ভেতরে বেশ কিছু জলাশয় নতুন করে সংস্কার করা হবে। সব মিলিয়ে প্রতি মুহূর্তে জঙ্গলের প্রাণীদের উপর নজরদারি চলছে।
সুরজিৎ দে
General knowledge: বলুন তো কোন প্রাণীর ৭৫০ টি পা রয়েছে? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন, আপনি জানেন কি?
Alternative Food: এই ঘাস গরুর খিদে মুহূর্তে মিটিয়ে দেয়, দুধ হয় প্রচুর
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়িতে রয়েছে গবাদি পশু। কিন্তু তার জন্য ঘাস পাচ্ছেন না? তাহলে বাড়ির আশেপাশে লাগাতে পারেন এই দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস। এর মাধ্যমে গবাদি পশুর বিকল্প খাদ্যের সন্ধান দিচ্ছে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর।
গবাদি পশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং পুষ্টির জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পশুখাদ্য। সেই পশুখাদ্যের চাহিদার অনেকটাই চাহিদা পূরণ করে এই ঘাস। যেহেতু গবাদি পশু একসঙ্গে অনেকটাই ঘাস খেয়ে ফেলে, তাই তাদের জন্য বিকল্প খাদ্য হিসাবে নতুন দ্রুত বর্ধনশীল ঘাসের খোঁজ দিচ্ছে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। নতুন এই ঘাসের খোঁজ পেয়ে খুশি পশুপালকরা।
আরও পড়ুন: একই টুর্নামেন্টে মাঠে নামল মা ও ছেলে! পায়ের জাদুতে মাত সবাই
ঠিক কী কী ঘাস আছে এই গবাদি পশুর বিকল্প খাদ্য তালিকায়? রয়েছে হাইব্রিড ডিপিআর। এই ঘাসটি অনেকটাই আখগাছের মত দেখতে। এই ঘাস একবার জমিতে লাগালে বহুবছর ধরে এই ঘাস পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে পাতাগুলিকে কাটতে হবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর।
রয়েছে আ্যজোলা শৈবাল। যেটিকে কৃষকরা ছোট চৌবাচ্চাতে চাষ করতে পারবেন। মাত্র ১৫ দিনে এই এই শৈবাল অনেকটা পরিমাণে বেড়ে যায়। যা দুগ্ধবতী গাভীকে ২৫০ গ্রাম করে খাওয়ালে প্রচুর দুধ উৎপাদন হবে। আর রয়েছে হাইড্রোফোনিক ঘাস যা কম জলেও উৎপাদন হবে।
নতুন এই ঘাসগুলি চাষ করে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হবেন বলে মনে করছেন মথুরাপুর-২ ব্লকের বিএলডিও সঞ্জয় কুমার বসু। তিনি জানিয়েছেন, গবাদি পশুর খাদ্যের অভাব পূরণ করতে এই বিকল্প ঘাস চাষ খুবই জরুরি। কৃষকদের এ নিয়ে সচেতন করছেন তিনি।
নবাব মল্লিক
Zoo: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা পশুপাখিদেরও! চিড়িয়াখানায় বিশেষ ব্যবস্থা
পূর্ব বর্ধমান: মানুষ তো বটেই, এই যা গরম পড়েছে তাতে বাঘ, ভাল্লুকও হয়ে উঠেছে নাজেহাল। তাই এবার তাদের জন্যও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে সমগ্র রাজ্য তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা।
গত কয়েকদিনে উষ্ণতার পারদ ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। চরম উষ্ণতার সঙ্গে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশী থাকায় আরও বেশী কষ্ট অনুভব করেছে মানুষ। তবে শুধুমাত্র মানুষই না, আবহাওয়ার এই তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়ছে পশুপাখিরাও ।
বর্ধমানের একমাত্র চিড়িয়াখানা অর্থাৎ রমনাবাগান অভয়ারণ্যের ভিতরে থাকা প্রাণীদের অবস্থাও করুণ হয়ে উঠেছে। তাই পশুপাখিরা যাতে এই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বনবিভাগের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: গাড়ি চলতে চলতে হঠাত্ ব্রেক ফেল? ঘাবড়াবেন না, এই ৬ টি উপায় মনে রাখুন, কয়েক সেকেন্ডে থামবে
এই প্রসঙ্গে বর্ধমান জ্যুলজিকাল পার্কের জু সুপারভাইজার তরুণ কান্তি ব্যানার্জী বলেন, “আমরা এই গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হয়ে পড়েছি যাতে পশু পাখিরা সুস্থ থাকে। পশু পাখিদের কথা ভেবে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ঠান্ডা জলে স্নান করানো হচ্ছে, ফ্যান লাগানো হয়েছে, ফ্রুটি, ওয়ারেস, গ্লুকন-ডি দেওয়া হচ্ছে। তাদের থাকার ঘরগুলো যাতে ঠান্ডা থাকে সে কারণে ঘরের মাথায় খড়ের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। পশুদের পানীয় জল যাতে গরম না হয়ে যায় সে কারণে বেশ কিছুক্ষণ পরপরই পাল্টানো হচ্ছে সেই জল। পশুদের খাবারে ফল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যারা মাংসাশী নয় তাদের জন্য শাকসবজি দেওয়া হচ্ছে। এই তীব্র গরমে প্রাণীসহ আমাদেরকেও সুস্থ থাকতে হবে। তাই আমি বলব প্রত্যেকের গাছ লাগানো প্রয়োজন আরও সচেতন হওয়ার দরকার।”
এছাড়াও রমনা বাগানের অন্যতম আকর্ষণ একটি মাত্র ভাল্লুক, তার উপরেও রীতিমত বিশেষ নজর দিয়েছেন বনবিভাগের কর্মীরা। গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে খাঁচায় লাগানো হয়েছে বিশাল স্ট্যান্ড ফ্যান। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে মাঝেমধ্যেই দেওয়া হচ্ছে ফ্রুটি ,ওআরএস, গ্লুকন্ডি। মাঝে মধ্যে রসালো ফলও দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর গাছপালা রমনাবাগান এলাকাকে কিছুটা হলেও ঠান্ডা রাখে। তবুও প্রাণীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বনদফতরের তরফে।
এছাড়াও রমনাবাগানের তিনটি চিতা বাঘের জন্যও বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত পাইপে করে ঠান্ডা জল দিয়ে পশুপাখিদের স্নান করানো হচ্ছে এবং হরিণের জন্য রিজার্ভে রাখা জলও পাল্টে দেওয়া হচ্ছে যাতে গরম না হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বলতে গেলে এই প্রবল গরমে পশুপাখিদের উপরেও বিশেষ নজর রেখেছেন বর্ধমান জ্যুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Animal: ফাঁকা মাঠে দূরে ওটা কী? কাছে যেতেই শিউরে উঠলেন গ্রামবাসী! মর্মান্তিক ঘটনা
জলপাইগুড়ি: উত্তরের ঘন জঙ্গলে মানুষ বন্যপ্রাণীর সংঘাতে মানুষের মৃত্যু কিংবা আহত হওয়ার খবর সংবাদের শিরোনামে চোখে পড়ে প্রায়ই। কিন্তু ছটফটে এই প্রাণীর মৃত্যু হল লোকালয়ে।
এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের ঝাড়মাঝগ্রাম এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ক্রান্তি ব্লকের ঝাড়মাঝগ্রাম এলাকার মহুয়া তলায় একটি পরিত্যক্ত মাঠে একটি মৃত হরিণ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
দেরি না করে স্থানীয় বাসিন্দারাই কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে আসেন কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জের বনকর্মীরা এবং ঘটনাস্থল থেকে মৃত হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
কীভাবে হরিণটির মৃত্যু হয় তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত হরিণটির ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরেই জানা যাবে হরিণটির প্রকৃত মৃত্যুর কারণ। লোকালয়ে মৃত হরিণকে দেখতে ভিড় জমে যায় এলাকা জুড়ে।
সুরজিৎ দে
Himalayan Porcupine: পরপর হিমালয়ান সজারুর মৃত্যু হাওড়ার গ্রামে
হাওড়া: আবারও দুটি হিমালয়ান সজারুর দেহ উদ্ধার হল হাওড়ার গ্রাম থেকে। এক মাসের ব্যবধানে দুটি হিমালায়ান পোর্কুপাইন-এর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। বিষয়টাকে মোটেই হালকা ভাবে নিতে রাজি নন তাঁরা।
হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলকায় প্রচুর পরিমানে এই হিমালয়ান পর্কুপাইন বা সজারু বসবাস করে। গ্রামের শেষ প্রান্ত নিরিবিলি স্থানে এদের বসবাস হলেও মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে চলে আসতে দেখা যায়। এখানকার বাসিন্দারা মাঝেমধ্যেই এই হিমালয়ান সজারু দেখতে পান। কিন্তু হঠাৎই তাদের মৃত্যু হতে শুরু করায় চিন্তা বেড়েছে। এদিন পাঁচলার দেউলপুর গ্রামের একটি জলাজমিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী পর্কুপাইনের দেহ। মৃণাল কোলে নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি দেহটি দেখে হাওড়া জেলার যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্য শুভজিৎ মাইতি”কে খবর দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিদায়েও বসন্ত উৎসব হল না বিশ্বভারতীতে, পরিবর্তে বসন্ত বন্দনা
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন শুভজিৎ। পরে তিনি জানান, যে হিমালয়ন সজারুর দেহ উদ্ধার হয়েছে তার কয়েকদিন আগেই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের কিছু অংশ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মৃত প্রাণীটির দেহে কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হঠাৎ কেন এমন হচ্ছে সেটা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিষয়টা উদ্বেগের বলে জানিয়েছেন শুভজিৎ।
রাকেশ মাইতি
Civet Rescue: শহর বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ওরা
হাওড়া: রাস্তায় আহত এক দুধের শিশু ঘুরে বেড়াচ্ছে, অন্যজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কেউ কারোর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে অনেকেই। এই অমানবিক ঘটনা শিক্ষিত সমাজ তা চাক্ষুস করল সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে। তবে এই ঘটনা চোখে পড়তে বুক কেঁপে উঠেছিল এক পথচলতি মানুষের। তবে ততক্ষনে পেরিয়ে গেছে বেশ কিছুটা সময়।
ঈশ্বর পেতে জীব সেবাই যে শ্রেষ্ঠ, তা হয়ত কম-বেশি সকলের জানা। কিন্তু কজন মানুষ আর সে কথা মানেন। উন্নত এই সমাজ দিন দিন হিংসা স্বার্থপরতায় যেন ঢেকে গিয়েছে। তা আবারও প্রমাণ করে দিল গঙ্গাধরপুর গ্রামের ঘটনা।
আরও পড়ুন: এইভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা! জানলে আপনিও চমকে উঠবেন
গঙ্গাধরপুর গ্রামের লাইব্রেরি বাসস্টপ সংলগ্ন একটি ভাড়া বাড়িতে বাসা বেঁধেছিল ভাম। সেই বাড়িটি পরিষ্কার করার সময় বাসাটি ভেঙে যায়। ওই বিল্ডিং সংলগ্ন স্থানেই পাওয়া যায় আহত দুটি ছানা। ঘটনাটি নজরে আসে পথ চলতি মানস বাঁকের। খবর দেওয়া হয় হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যদের। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাম ছানা দুটি উদ্ধার করেন তাঁরা। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হল, উদ্ধারের কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ভাম ছানা মারা যায়। অন্য ছানাটির একটি পায়ে চোট রয়েছে। আহত প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয় বন দফতরে হাতে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ভাম উদ্ধারের পর তার চিকিৎসা চলছে। তুলনামূলকভাবে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তবেই তাকে পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
রাকেশ মাইতি