সাধারণ জ্ঞান বাড়াতে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় বিভিন্ন ক্যুইজ ও ধাঁধার চর্চা। নিয়মিত জিকে বই ও পত্র পত্রিকা ঘাঁটার পাশাপাশি এই ধরণের প্রশ্নোত্তরমূলক ক্যুইজে অংশ নেওয়া পড়ুয়াদের যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বস্তুত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাই হোক বা ঘরোয়া নানা জটিল সমস্যার সহজ সমাধান, সাধারণ জ্ঞান দারুণ ভাবে কাজে লাগে। এই সাধারণ জ্ঞানের পরিধিতে সারা বিশ্ব ও বিজ্ঞান থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক জীবনের নানা কাজের তথ্যের সন্ধান মেলে। এমনই কিছু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের তথ্যের প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর নিয়ে আজ এই প্রতিবেদন।কোন লবণ বেশি উপকারী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কম সোডিয়াম যুক্ত লবণ বেশি উপকারী। সামুদ্রিক লবণ এবং শিলা লবণ উভয়ই বেশি উপকারী। এই দুটিতে সাধারণ লবণের চেয়ে কম পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। আপনি আপনার খাবারে এই উভয় লবণ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।প্রশ্ন: কী ভাবে BMI গণনা করবেন? উত্তর: BMI মানে বডি মাস ইনডেক্স(বডি মাস ইনডেক্স) একটি শারীরিক পরিমাপ। যার মাধ্যমে শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কি না তা জানার চেষ্টা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিক BMI হার ২৩-এর কম। এর চেয়ে বেশি হলে তা ব্যক্তির অতিরিক্ত ওজন হিসাবে বিবেচিত হয়। যেখানে BMI ২৫ এর বেশি হলে তাঁরা স্থূলতার শিকার হিসেবে গণ্য হন। বিএমআই গণনা করা খুব সহজ। এর জন্য আমাদের BMI এর সূত্র বুঝতে হবে। BMI সূত্র: BMI = ওজন (কিলোগ্রামে) / (উচ্চতা X উচ্চতা (মিটারে))উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও ব্যক্তির ওজন ৫০ কেজি হয় এবং উচ্চতা ৫.৫ ফুট বা ১.৬৭৬৪ মিটার হয়, তাহলে এর BMI ফলাফল হবে ৫০ / ১.৬৭৬৪ X ১.৬৭৬৪, যা ওই ব্যক্তির BMI বলে চিহ্নিত হবে।প্রশ্ন – কোন সবজি খেলে ওজন বাড়ে? উত্তর – Healthkart (healthkart.com) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মটর, মিষ্টি আলু এবং ভুট্টার মতো সবজি স্বাস্থ্যকর খাবার, যা আপনাকে খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।উপরক্ত সবজিগুলি প্রভূত পরিমানে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। প্রায় কোন রকম ফ্যাট এবং প্রোটিন ছাড়া এই সবজি আপনাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস দেয়।ম্যাক্স হেলথকেয়ার গুরগাঁওয়ের সিনিয়র ডায়াবেটোলজিস্ট ডাঃ পারস আগরওয়াল নিউজ 18-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ” আপনি যদি বেশি পেশী অর্জন করতে চান তবে আপনাকে আলু, মিষ্টি, আলু এবং ভুট্টা বেশি খেতে হবে। আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ছোলা এবং মটরশুটিও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।তিনি আরও বলেন, “১০০ গ্রাম আলুতে ৭৭ শতাংশ জল থাকে। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ১.৯ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৯ গ্রাম চিনি, ১.৮ গ্রাম ফাইবার এবং ০.১ গ্রাম ফ্যাট। এতে পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং ফোলেটের মতো উপাদানও রয়েছে। তাই আলু খাদ্যের একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ। একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ২৫-৫০ গ্রাম আলু ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।প্রশ্ন -এমন কি জিনিস যা ঠান্ডায়ও গলে যায়? উত্তর – অনেকেই এই প্রশ্ন শুনলে মাথা চুলকাবেন। কিন্তু একটু মাথা ঘামালেই বুঝতে পারবেন আসলে সেই জিনিসটি আর কিছু নয়, মোমবাতি। এই জিনিসটি সবসময় গলে যায়, ঋতু যাই হোক না কেন।প্রশ্ন: শরীরে স্বাভাবিক সুগার মাত্রা কী? সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। স্বাভাবিক রক্তে শর্করার জন্য কোন একক মান নেই। তবে এটি পরীক্ষা করার সর্বোত্তম সময় হল সকালে খালি পেটে, যাকে বলা হয় ফাস্টিং টেস্ট।খালি পেটে রক্তে শর্করার পরীক্ষার সময় যদি আপনার সুগারের লেভেল ৭০ থেকে ১০০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক আছে। এর বেশি হলে বুঝবেন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে।প্রশ্ন- কী ভাবে ওজন কমাতে হয়? ওজন কমানো মানে চর্বি কমানো উচিত। আপনার শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে তা বার্ন করা খুবই জরুরি। এ জন্য সবার আগে আপনার খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে যে আপনি ভুলবশত বা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন খাবার গ্রহণ করছেন না তো যা আপনার শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত জিনিস, অ্যালকোহল বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত চা খাওয়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে, যা আপনার ওজন বাড়ায়। এর পরে আপনার শরীর কতটা সক্রিয় তা দেখতে আপনার শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বাড়াতে হবে। আপনি যদি প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করেন তবে আপনার খুব বেশি ব্যায়ামেরও প্রয়োজন নেই। দ্রুত ওজন কমে নিয়ন্ত্রণে আসবে।ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।
