পাঁচমিশালি Trending General Knowledge: IPS, IAS, MBBS…সবমিলিয়ে ২০টি ডিগ্রি,পড়েছেন ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, চিনে নিন ভারতের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তিকে Gallery July 8, 2024 Bangla Digital Desk ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি শ্রীকান্ত জিচকার। ১৯৫৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জন্ম শ্রীকান্তের। তিনি IAS অফিসার ছিলেন, চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি দেশের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ হন। ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছিলেন শ্রীকান্ত জিচকার। মহারাষ্ট্রের কাটোলে জন্ম শ্রীকান্ত জিচকারের। নাগপুর থেকে এমবিবিএস ও এমডি ডিগ্রি পাওয়ার পর তিনি পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সোশিওলজি,একোনমিক্স, সংস্কৃত,ইতিহাস, ইংরেজি সাহিত্য, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যবিদ্যায় ডিগ্রি অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক আইন-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছিল শ্রীকান্ত জিচকারের। পাশাপাশি বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডক্টর অফ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-এও তিনি মাস্টর্স করেছিলেন। সাংবাদিকতায়-ও ডিগ্রি ছিল শ্রীকান্ত জিচকারের। তিনি সংস্কৃত ভাষায় ডক্টোরেট ডিগ্রিও পেয়েছিলেন। তুখড় ছাত্র শ্রীকান্ত জিচকার বহু স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে তিনি ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন। পেয়েছিলেন ২০টি ডিগ্রি। ১৯৭৮ সালে UPSC পরীক্ষা পাশের পর তিনি ভারতীয় পুলিশে সেন্ট্রাল পুলিশ সার্ভেন্ট হিসাবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি ফের একবার UPSC পরীক্ষা দিয়ে IAS অফিসার হন। এর ১৪ দিনের মাথায় তিনি এমএলএ হন। মন্ত্রী হিসাবে মনোনীত হন এবং তাঁকে ১৪টি পোর্টফোলিও দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮০-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি মহারাষ্ট্র লেজিস্টেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯২২ পর্যন্ত তিনি মহারাষ্ট্র লেজিস্টেটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার এমপি ছিলেন। ১৯২২সালে তিনি নাগপুরে সন্দিপনী স্কুল গড়ে তোলেন। ২০০৪ সালের ২ জুন নাগপুর থেকে ৫০ কিমি দূরে একটি পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান শীকান্ত জিকচার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।