মাওবাদী বন্দি অর্ণব PHD ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষে

Bardhaman University: মাওবাদী বন্দি অর্ণব PHD ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষে! বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থগিত কাউন্সেলিং, উঠছে প্রশ্ন

বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের পিএইডি ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত। সোমবার ছিল কাউন্সেলিং। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শুরু হল না সেই প্রক্রিয়া। নেপথ্যে কী রয়েছে বড় কারণ? উঠছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে পিএইচডির অ্যাডমিশন টেস্টে প্রথম হন প্রাক্তন মাওবাদী নেতা সংশোধনাগারে বন্দি অর্ণব দাম। সংশোধনাগার থেকে পুলিশি প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন তিনি। দৃষ্টান্ত তৈরি করে অর্ণবই শীর্ষ স্থান পেয়েছিলেন মেধা তালিকায়। কিন্তু এখন কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়েই আপাতত ইতিহাসে পিএইচডির ভর্তি পদ্ধতি স্থগিত রাখল বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন: আপনার ‘পালস রেট’ ঠিক আছে তো…? ‘বয়স’ অনুযায়ী পালস রেট ‘কত’ হলে আপনি ফিট? মিলিয়ে দেখে নিন চার্ট

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ৯ জুলাই মেধাতালিকার ভিত্তিতে যে কাউন্সেলিং হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি অবধি অপেক্ষা করতে হবে মেধাতালিকায় নাম থাকা পড়ুয়াদের। স্বভাবতই ইতিহাস বিভাগের পিএইচডি এর ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় শুরু হয়েছে বির্তক।

বাম আমলে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ মৃত্যু হয় ২৪ জন জওয়ানের৷ পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় পাঁচ জন মাওবাদীরও৷ এই হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অর্ণব৷ এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই মামলায় সাজা ঘোষণা করে আদালত৷ যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয় অর্ণবের৷ গত মার্চ মাসে তাঁকে মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে নিয়ে আসা হয় চুঁচুড়া সংশোধনাগারে৷ সাজা ঘোষণার সময়ই বিচারককে পিএইচডি করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন অর্ণব৷ চুঁচুড়া জেলে এসেও জেল কর্তৃপক্ষকে সেই ইচ্ছের কথা জানান তিনি৷ সংশোধনাগারের লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়াশোনাও শুরু করেন তিনি৷ এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকারা পরীক্ষাতেও নজির গড়লেন অর্ণব।