ট্রাফিক পুলিশ কি কারও গাড়ির চাবি খুলে নিতে পারে? আইন কী বলছে? জেনে নিন

কলকাতা: যে কোনও দেশেই ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা হয় ট্রাফিক নিয়ম মেনে রাস্তায় গাড়ি চালানো নিশ্চিত করার জন্য। এর জন্য বড় শহরগুলোতে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য চালান জারি করা হয়।

গাড়ির কাগজপত্র সম্পূর্ণ না হলে বা কোনও ক্ষমার অযোগ্য ঘটনা সংঘটিত হলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে। অনেক সময় কিছু ট্রাফিক পুলিশও কারও বাইক বা গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। অথবা তারা ‘নো পার্কিং’-এ পার্ক করা একটি গাড়ি ডিফ্লেট করে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে ট্রাফিক পুলিশরা আইনত এই দুটি কাজ করতে পারেন কি না।

ভারতীয় মোটরযান আইন অনুসারে, কোনও ট্রাফিক পুলিশ বা পুলিশের কারও গাড়ির চাবি নেওয়ার বা গাড়ি ও বাইকের টায়ার থেকে হাওয়া বের করে দেওয়ার অধিকার নেই। যদি তিনি এটি করেন, তবে তিনি আইন ভঙ্গ করছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন- স্মার্টফোনেরও কি ‘এক্সপায়ারি ডেট’ হয়? মেয়াদ শেষ বুঝবেন কীভাবে? রইল ট্রিকস

আইন কী বলে –

ভারতীয় মোটরযান আইন অনুসারে, শুধুমাত্র সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরের পদমর্যাদার উপরে একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মী ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা নিতে পারেন।

শুধুমাত্র এএসআই, সাব-ইন্সপেক্টর এবং ইন্সপেক্টরকে ঘটনাস্থলে জরিমানা করার অনুমতি দেওয়া হয়। ট্রাফিক কনস্টেবল বা হোম গার্ড এটা করতে পারেন না। ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য এএসআই বা এসইও চালান করতে পারেন। কাগজপত্র সম্পূর্ণ না থাকলে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। কিন্তু, জোর করে গাড়ি ভাঙা যাবে না বা চাবি ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না।

রসিদ ছাড়া টাকা দেওয়া উচিত নয় –

চালান বই বা ই-চালান মেশিন থাকলে তবেই ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা করতে পারে। এসব ছাড়া তিনি চালানের নামে গাড়ির চালকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতে পারেন না। সেই সময় ট্রাফিক পুলিশের ইউনিফর্ম থাকাও জরুরি। ট্রাফিক পুলিশ সিভিল ড্রেসে থাকলে চালক তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারেন।