শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিছিক্কার

শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিছিক্কার, যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল পুলিশ

নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী ও মায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন কীর্তি চক্র সম্মান। সিয়াচেনে সহকর্মীদের বাঁচাতে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন তিনি। কীর্তি চক্র সম্মানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

এই ভিডিও থেকেই ক্যাপ্টেন অংশুমানের সাহসিকতার কথা জেনেছে দেশবাসী। ক্যাপ্টেনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্ত্রী স্মৃতির পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশ। তাঁকে সমবেদনা জানাচ্ছেন সবাই। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন এক ব্যক্তি। ঘটনা নজরে আসতেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)।

আরও পড়ুন– ‘প্রথম দেখাতেই প্রেম’, কীর্তি চক্র সম্মান হাতে বললেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী

কীর্তি চক্র সম্মান নেওয়ার পর স্মৃতির একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি ক্যাপ্টেন অংশুমানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলছেন। ওই ভিডিওতেই ‘আহমেদ কে’ নামের এক ব্যক্তি স্মৃতির উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন নেটিজেনরা। আহমেদের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার দাবি জানিয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ নম্বর ধারা এবং আইটি আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় মামলা করা উচিত। কমিশন দিল্লি পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কোনও মহিলার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করলে ন্যায় সংহিতার ধারা ৭৯ প্রয়োগ করা যায়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছরের জেল হতে পারে।

আরও পড়ুন– বৃষ্টি আর বউয়ের মধ্যে কী মিল? উত্তরে যুবক যা বললেন ৯৯ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই সমর্থন করবেন

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ক্যাপ্টেন অংশুমানের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন স্মৃতি। তিনি বলছেন, “আমাকে সবসময় বলতেন, বুকে পিতল নিয়ে মরব। সাধারণ মৃত্যু আমার জন্য নয়”। প্রথম দেখা হওয়ার কথাও উঠে আসে স্মৃতির মুখে, “ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম দিন ওঁর সঙ্গে আলাপ হয়। সত্যি বলতে, প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাই। একমাসের মধ্যে আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পান। মেধাবী ছিলেন। আট বছর লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে ছিলাম আমরা। তারপর বিয়ে করি”।

শহীদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্যের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে স্পেশাল সেলের আইএফএসও ইউনিটকে। আইএফএসও জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। জাতীয় মহিলা কমিশন এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশকে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার এবং অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।