Tag Archives: Indian Army Died

Encounter With Terrorists In Jammu And Kashmir: অনুপ্রবেশকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিহত ১ সেনা, আহত মেজর পদমর্যাদা সহ ৪ জন

কাশ্মীর: শনিবার, সকালে জম্বু কাশ্মীরের কুপওয়ারা অঞ্চলে সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই হয়েছে৷ সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন সেনা৷ একজন সন্ত্রাসবাদীও মারা গিয়েছে৷

সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে কুপওয়ারার মাচাল সেক্টরের কামকারির কাছে এই গুলির লড়াই চলে৷

আরও পড়ুন: গাজার উপর ইজরায়েলের আগ্রাসনকে বর্বরতার আখ্যা, পশ্চিমি দেশগুলোর সমালোচনায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভাঢরা

প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই লড়াইয়ে একজন সন্ত্রাসবাদীকে মারতে তাঁরা সক্ষম হন৷ কিন্তু দুঃখের বিষয়, একজন মেজর পদমর্যাদার সেনা সহ পাঁচজন সেনা এতে আহত হন৷ তাঁর মধ্যে একজন সেনা শহিদ হন৷

এর পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটা বিবৃতি জারি করা হয়, সেখানে ভারতীয় বীর সৈন্যদের কুর্নিশ জানানো হয়েছে৷

প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, দুই থেকে তিনজনের সন্ত্রাসবাদীর দল, এলওএসির কাছে ভারতীয় সৈন্যদের একটা বাঙ্কারে হামলা চালায়৷ অনুপ্রবেশকারীরা খারাপ আবহাওয়া ও কম দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়ে ঢুকেছিল৷ সেনা বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে প্রায় কয়েকঘণ্টা গুলির লড়াই চলে৷

আরও পড়ুন: ‘‘অযোগ্য প্রশাসন দেশ চালাচ্ছে’’, নেতানুয়াহুকে পাশে বসিয়ে কমলা হ্যরিসকে তীব্র সমালোচনা ট্রাম্পের

ঘটনায় আহত পাঁচ সেনা সদস্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কয়েকজনকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য এয়ারলিফ্ট করানো হয়৷ মনে করা হচ্ছে বিএটির সদস্যরাই এই হামলায় যুক্ত৷ মূলত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিশেষ সদস্য এবম সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে এই বিএটি গঠিত৷

‘ওঁর স্ত্রী আর আমাদের সঙ্গে থাকেন না’, সেনাবাহিনীর NOK নিয়ম বদলের দাবি করলেন শহিদ অংশুমানের বাবা-মা

নয়াদিল্লি: ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র সম্মানে ভূষিত করেছে ভারত সরকার। রাষ্ট্রপতি ভবনে স্ত্রী স্মৃতি ও মায়ের হাতে সেই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপরই সেনার মৃত্যুতে পরিবারকে আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেক্সট অফ কিন (NOK) পরিবর্তনের দাবি করলেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মা-বাবা।

একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাবা রবি প্রতাপ সিং এবং মা মঞ্জু সিং দাবি করেন, পুত্রবধূ স্মৃতি সিং আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না। ছেলের মৃত্যুর পর তাঁর বেশিরভাগ সম্পত্তি পুত্রবধূই পেয়েছে। এখন তাঁরা অসহায়। প্রসঙ্গত, গত বছর সিয়াচেনে অগ্নিকাণ্ড থেকে সহকর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।

আরও পড়ুন– ‘আগের দিন ভবিষ্যতের কথা হচ্ছিল, পরের দিন খবর এল শহিদ হয়েছেন’, ক্যাপ্টেনের স্ত্রীর কথা শুনলে বুক কেঁপে উঠবে

টিভি ৯ ভারতবর্ষকে রবি প্রতাপ বলেন, “NOK-এর সেট করা মানদণ্ড ঠিক নয়। এই নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পুত্রবধূ আর আমাদের সঙ্গে থাকেন না। মাত্র পাঁচ মাস বিয়ে হয়েছিল, ওঁদের কোনও সন্তানও নেই। আমাদের কাছে শুধু দেওয়ালে ঝোলানো মালা দেওয়া ছেলের ছবি ছাড়া কিছুই রইল না।’’

সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এই জন্য আমরা চাই NOK-এর নীতির পুনর্মূল্যায়ন করা হোক। শহিদের স্ত্রী পরিবারের সঙ্গে থাকলে কার উপর কতটা নির্ভরশীল থাকবে সেটা ঠিক করা উচিত।’’ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মা মঞ্জু সিংও NOK-এর নীতিতে বদল চান। তিনি বলেন, “আমরা চাই সরকার NOK-এর নিয়মগুলি সংশোধন করুক, যাতে মা-বাবাকে কষ্ট পেতে না হয়।’’

আরও পড়ুন– শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিছিক্কার, যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল পুলিশ

ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, চাকরিরত কোনও সেনা সদস্যের কিছু হলে, এক্স গ্রেশিয়ার পরিমাণ নেক্সট অফ কিন (NOK)-কে দেওয়া হয়। সহজ কথায় বললে, সবচেয়ে নিকট আত্মীয়কে হস্তান্তর করা হয়। যখন কোনও ব্যক্তি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, তখন পিতামাতা, অভিভাবক বা আত্মীয়ের নাম NOK হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। যখন সেই ক্যাডেট বা অফিসার বিয়ে করেন, তখন সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী পিতামাতা, অভিভাবক বা আত্মীয়ের নাম বদলে তাঁর স্ত্রীর নাম NOK-তে তোলা হয়।

শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিছিক্কার, যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল পুলিশ

নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী ও মায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন কীর্তি চক্র সম্মান। সিয়াচেনে সহকর্মীদের বাঁচাতে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন তিনি। কীর্তি চক্র সম্মানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

এই ভিডিও থেকেই ক্যাপ্টেন অংশুমানের সাহসিকতার কথা জেনেছে দেশবাসী। ক্যাপ্টেনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্ত্রী স্মৃতির পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশ। তাঁকে সমবেদনা জানাচ্ছেন সবাই। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন এক ব্যক্তি। ঘটনা নজরে আসতেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)।

আরও পড়ুন– ‘প্রথম দেখাতেই প্রেম’, কীর্তি চক্র সম্মান হাতে বললেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী

কীর্তি চক্র সম্মান নেওয়ার পর স্মৃতির একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি ক্যাপ্টেন অংশুমানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলছেন। ওই ভিডিওতেই ‘আহমেদ কে’ নামের এক ব্যক্তি স্মৃতির উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন নেটিজেনরা। আহমেদের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার দাবি জানিয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ নম্বর ধারা এবং আইটি আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় মামলা করা উচিত। কমিশন দিল্লি পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কোনও মহিলার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করলে ন্যায় সংহিতার ধারা ৭৯ প্রয়োগ করা যায়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছরের জেল হতে পারে।

আরও পড়ুন– বৃষ্টি আর বউয়ের মধ্যে কী মিল? উত্তরে যুবক যা বললেন ৯৯ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই সমর্থন করবেন

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ক্যাপ্টেন অংশুমানের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন স্মৃতি। তিনি বলছেন, “আমাকে সবসময় বলতেন, বুকে পিতল নিয়ে মরব। সাধারণ মৃত্যু আমার জন্য নয়”। প্রথম দেখা হওয়ার কথাও উঠে আসে স্মৃতির মুখে, “ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম দিন ওঁর সঙ্গে আলাপ হয়। সত্যি বলতে, প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাই। একমাসের মধ্যে আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পান। মেধাবী ছিলেন। আট বছর লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে ছিলাম আমরা। তারপর বিয়ে করি”।

শহীদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্যের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে স্পেশাল সেলের আইএফএসও ইউনিটকে। আইএফএসও জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। জাতীয় মহিলা কমিশন এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশকে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার এবং অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।

Captain Anshuman Singh: ‘আগের দিন ভবিষ্যতের কথা হচ্ছিল, পরের দিন খবর এল শহিদ হয়েছেন’, ক্যাপ্টেনের স্ত্রীর কথা শুনলে বুক কেঁপে উঠবে

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় মশগুল ছিলেন দুই তরুণ-তরুণী। জীবন, সন্তান, অবসর সব কিছু নিয়ে কথা হয়েছিল। পরদিন সকালে খবর এল স্বামী শহিদ হয়েছেন। কীর্তি চক্র সম্মান হাতে এমনটাই জানালেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের পত্নী স্মৃতি সিং। তিনি বললেন, মাত্র ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে যে এমন অঘটন ঘটে যেতে পারে বিশ্বাস করতে পারিনি। মানতে পারছিলাম না স্বামী আর পৃথিবীতে নেই।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় মশগুল ছিলেন দুই তরুণ-তরুণী। জীবন, সন্তান, অবসর সব কিছু নিয়ে কথা হয়েছিল। পরদিন সকালে খবর এল স্বামী শহিদ হয়েছেন। কীর্তি চক্র সম্মান হাতে এমনটাই জানালেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের পত্নী স্মৃতি সিং। তিনি বললেন, মাত্র ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে যে এমন অঘটন ঘটে যেতে পারে বিশ্বাস করতে পারিনি। মানতে পারছিলাম না স্বামী আর পৃথিবীতে নেই।
পঞ্জাব রেজিমেন্টের ২৬ ব্যাটেলিয়ানের ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং ছিলেন আর্মি মেডিক্যাল অফিসার। মরণোত্তর কীর্তি চক্র স্মমানে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াত অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি। পরনে সাদা শাড়ি, থমথমে মুখে। তাঁর হাতেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার কীর্তি চক্র তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
পঞ্জাব রেজিমেন্টের ২৬ ব্যাটেলিয়ানের ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং ছিলেন আর্মি মেডিক্যাল অফিসার। মরণোত্তর কীর্তি চক্র স্মমানে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াত অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি। পরনে সাদা শাড়ি, থমথমে মুখে। তাঁর হাতেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার কীর্তি চক্র তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
সিয়াচেনে আগুনের করাল গ্রাস থেকে সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। স্মৃতি এবং শহিদ ক্যাপ্টেনের মায়ের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে কীর্তি চক্র সম্মান গ্রহণের একটি ছোট ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্মৃতি হাতজোড় করে প্রয়াত স্বামীর আত্মত্যাগের কথা বলছেন।
সিয়াচেনে আগুনের করাল গ্রাস থেকে সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। স্মৃতি এবং শহিদ ক্যাপ্টেনের মায়ের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে কীর্তি চক্র সম্মান গ্রহণের একটি ছোট ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্মৃতি হাতজোড় করে প্রয়াত স্বামীর আত্মত্যাগের কথা বলছেন।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এক্সের একটি পোস্টে রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, নিজের কথা না ভেবে আগুন থেকে সহকর্মীদের বাঁচানোর জন্য সাহসিকতা ও সংকল্প দেখিয়েছেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এক্সের একটি পোস্টে রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, নিজের কথা না ভেবে আগুন থেকে সহকর্মীদের বাঁচানোর জন্য সাহসিকতা ও সংকল্প দেখিয়েছেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং।
সিয়াচেনে ২০২৩-এর ১৯ জুলাই ভোর ৩টে নাগাদ শর্ট সার্কিট থেকে সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের ডাম্পে আগুন লেগে যায়। ফাইবার গ্লাসের ঘরে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন সেনা। তাঁদের বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। চার-পাঁচজনকে উদ্ধার করে আনেন। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের মেডিক্যাল ক্যাম্পে। ভিতরে রাখা ওষুধ বের করে আনতে গিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান। তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
সিয়াচেনে ২০২৩-এর ১৯ জুলাই ভোর ৩টে নাগাদ শর্ট সার্কিট থেকে সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের ডাম্পে আগুন লেগে যায়। ফাইবার গ্লাসের ঘরে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন সেনা। তাঁদের বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। চার-পাঁচজনকে উদ্ধার করে আনেন। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের মেডিক্যাল ক্যাম্পে। ভিতরে রাখা ওষুধ বের করে আনতে গিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান। তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
কীর্তি চক্র পুরস্কার হাতে পুরনো দিনের কথা বলে চলেন স্মৃতি, “ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম দিন আমাদের দেখা হয়েছিল। আর প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। একমাস পর আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পান অংশুমান। বরাবরই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তারপর দীর্ঘ ৮ বছর লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে কাটিয়েছি আমরা। তারপর ঠিক করি, এবার আমাদের বিয়ে করা উচিত”। স্মৃতি বলেন, “বিয়ের দুই মাসের মধ্যেই সিয়াচেনে পোস্টিং হয় অংশুমানের। ১৯ জুলাই সকালে তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পাই। আমি এখনও এই দুঃখ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। মনে মনে ভাবছি এটা সত্যি নয়। কিন্তু এখন আমার হাতে কীর্তি চক্র সম্মান। আর এটাই সত্যি। তিনি নায়ক। আমরা আমাদের জীবনকে কিছুটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি তাঁর জীবন অন্য তিনটি পরিবারকে বাঁচানোর জন্য উৎসর্গ করেছেন”।
কীর্তি চক্র পুরস্কার হাতে পুরনো দিনের কথা বলে চলেন স্মৃতি, “ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম দিন আমাদের দেখা হয়েছিল। আর প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। একমাস পর আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পান অংশুমান। বরাবরই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তারপর দীর্ঘ ৮ বছর লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে কাটিয়েছি আমরা। তারপর ঠিক করি, এবার আমাদের বিয়ে করা উচিত”। স্মৃতি বলেন, “বিয়ের দুই মাসের মধ্যেই সিয়াচেনে পোস্টিং হয় অংশুমানের। ১৯ জুলাই সকালে তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পাই। আমি এখনও এই দুঃখ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। মনে মনে ভাবছি এটা সত্যি নয়। কিন্তু এখন আমার হাতে কীর্তি চক্র সম্মান। আর এটাই সত্যি। তিনি নায়ক। আমরা আমাদের জীবনকে কিছুটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি তাঁর জীবন অন্য তিনটি পরিবারকে বাঁচানোর জন্য উৎসর্গ করেছেন”।

Indian Army Died: বাড়িতে ফোনে কথা বলে কাশ্মীরের সেনাছাউনিতে কী এমন ঘটল? বাংলার গ্রামে কফিন ফিরল বরুণ দাসের

হাওড়া: কাশ্মীর থেকে সেনার দেহ এসে পৌঁছল গ্রামে। গ্রামের ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে মানুষের ঢল! কাশ্মীরের সেনা ছাউনি থেকে উদ্ধার সেনার নিথর দেহ। ১৯ বছরের চাকরি জীবনের এভাবে ইতি, মানতে পারছে না পরিবার। পরিবারের সঙ্গে কথার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুসংবাদ।

রবিবার সকালে ভারতীয় সেনা জোয়ান বরুণ দাসের দেহ এসে পৌঁছয় গ্রামে। শোকে কাতর গোটা গ্রাম, কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী ও কন্যা। রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু উদয়নারায়ণপুরের কানুপাট মনশুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়নগরের ৩৯ বছর বয়সের বরুণ দাস নামে ওই জওয়ানের।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপির থেকে সাদা প্যাকেটে মুড়ে টাকা নিয়েছে NIA’, বড় চক্রান্ত ফাঁস কুণাল-চন্দ্রিমার

উদয়নারায়ণপুরের জয়নগরের বাসিন্দা বরুণ দাসের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার ৩-৪ ঘন্টা পর বাড়িতে আসে মৃত্যুসংবাদ। শ্রীনগরের সেনা ছাউনি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। সূত্র মারফত জানা যায়, আত্মঘাতী হয়েছেন সেনা বাহিনীতে কর্মরত বরুণ দাস। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর তিন ঘন্টা আগে বরুণবাবু পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্টের নাম এবং ঠিকানা পরিবর্তন করবেন কীভাবে? জেনে নিন ধাপে ধাপে, খুব সহজ নিয়ম

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২ টা নাগাদ মেয়ের স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তবে সে সময় কথায় কোনও রকম অসংগতি বা সমস্যা জানা যায়নি। তার কয়েক ঘণ্টা পর সেনা কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন এলে রীতিমতো অবাক হয়ে যান। সেখান থেকেই সেনা বরুণ দাসের মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়। ১৯ বছর সেনাবাহিনীতে কর্মরত বরুণ দাস। এক সপ্তাহ আগেই পদোন্নতি হয় বরুণবাবুর। তার পর এমন বিস্ময়কর ঘটনা। মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে। এইভাবে আকস্মিক মৃত্যু মানতেই পারছেন না পরিবার-পাড়া প্রতিবেশী ও গ্রামের মানুষ।

রাকেশ মাইতি