হাড়োয়ায় বিদ্যাধরী সেতু

North 24 Parganas News: বিদ্যাধরী নদীর নিচে ৪২ ইঞ্চির টানেল! মেট্রো নয়, ‌যাবে জলের পাইপলাইন

বসিরহাট: মেট্রোরেলের পর নদীর তলদেশ দিয়ে এবার ‌যাবে পানীয় জলের পাইপলাইন। বিদ্যাধরীর নিচ দিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢোকানো হচ্ছে জলের পাইপলাইন। ইতিমধ্যে শিয়ালদহ থেকে ভূগর্ভ হয়ে একেবারে গঙ্গা নিচ দিয়ে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত চালু হয়েছে মেট্রো রেল‌ পরিষেবা। যেটি দেশের প্রথম গঙ্গা নিজ দিয়ে মেট্রো রেল চালু হয়েছে। শুধু গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো রেল চালু করে থেমে নেই সরকার। এবার পরিশ্রুত পানীয় জল সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে কাজ চলছে জল প্রকল্পের। যেটি খুব শিগগিরই সম্পন্ন হবে উপকৃত হবে কয়েক কোটি মানুষ। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার, বসিরহাট মহকুমার, হাড়োয়া ব্লকেরও।

আরও পড়ুন:  ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প ঘিরে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা

মূলত হাড়োয়া ব্লক আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে গঠিত। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে প্রাকৃতিক সীমানা অর্থাৎ বিদ্যাধরী নদী। আর এখানেই জল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত করতে নানান রকমের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যেমন বিদ্যাধরী সেতুর উপর দিয়ে যদি জলের পাইপ নিয়ে যাওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যাধরী সেতু দুর্বল হবে এবং ভারসাম্য হারাবে। অন্যদিকে নদীর উপর দিয়ে যদি ঝুলন্ত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে বিদ্যাধরী নদীর সৌন্দর্য তো নষ্ট হবেই তার পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এই বিদ্যাধরী নদী ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হয় অর্থাৎ হাড়োয়ার সঙ্গে সুন্দরবন সহ একাধিক এলাকায় এই জলপথের মাধ্যমেই বাণিজ্য ব্যবস্থা চলে ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সরকারের উদ্যোগে সেটিও সমাধানের পথে। অর্থাৎ একেবারে বিদ্যাধরী নদীর যেখানে জল শেষ হয়েছে সেখান থেকে ২০ থেকে ৩০ ফুট নিচ দিয়ে প্রায় ৩৮০ মিটার লম্বা পাইপের মাধ্যমে জোড়া হবে হাড়োয়া ব্লকের দুই প্রান্তকে।

আরও পড়ুন: ট্যাবলেট-ক্যাপসুল ছাড়ুন! এই গাছের প্রতিটি পাতাই ক্যালসিয়াস-ভিটামিনের উৎস! কী গাছ জেনে আজই বাড়িতে আনুন

ইতিমধ্যে জোর কদমে কাজ চলছে। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৪২ ইঞ্চি টানেল তৈরি হবে এবং সেই টানেল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খোঁড়া হচ্ছে। অন্যদিকে যাতে ধ্বস না নেমে যায় সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজস্থানের একটি বিশেষ মাটি। যেটি পাইপলাইনের মাটি গুলিকে ধরে রাখবে অর্থাৎ কোন কারণে ধস নামবে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এই জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হলে হাড়োয়া ব্লকের প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।ফলে এক কথায় বলাই যায় আগামী দিনে দুয়ারে প্রতিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেবে সরকার। সর্বদিক বাঁচিয়ে এই জল প্রকল্পের কাজ চলায় রীতিমতো খুশি হাড়োয়াবাসী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

জুলফিকার মোল্যা