স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে সচেষ্ট ত্রিপুরা সরকার

Tripura News: কলকাতা ও অসমের উপর নির্ভরতা কমাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে সচেষ্ট ত্রিপুরা সরকার

আগরতলা: স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে বর্তমান ত্রিপুরা সরকার। বর্তমান সরকারের সময়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে বলে দাবি করলেন ত্রিপুরার  মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক উন্নয়নে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যাতে ভাল হয় তার জন্য সরকার নিরলস চেষ্টা করছে। রাজ্যে এখন সব ধরণের সার্জারি হচ্ছে। এতে মানুষের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা অনেক কমেছে। আর এবার ইতিহাস সৃষ্টি করে জিবি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সফলভাবে হয়েছে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট। আগরতলার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’-তে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন–  চমক দেখালেন রাষ্ট্রপতি ! সাইনার সঙ্গে ব্যাডমিন্টন কোর্টে দুরন্ত মেজাজে দ্রৌপদী মুর্মু

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু এখন রাজ্যের মানুষের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষ সরকারি সহায়তা পেতে এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। সেখানে সাধ্যমতো মুখ্যমন্ত্রীও মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে প্রয়োজনীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আসেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে মানুষের সেই মানবিক সমস্যাগুলি গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারও রুটিন মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’তে অনেকেই সাহায্যের আর্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হাজির হন।

আরও পড়ুন– দুর্যোগে দুর্ভোগ চলবে উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার কী পূর্বাভাস? জেনে নিন             

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু-তে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অনেক মানুষ আসেন। চেষ্টা করি কিভাবে তাদের সমস্যা সমাধান করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসেন। সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে সাহায্য করা যায় সেটা দেখা হয়। অনেকদিন ধরেই এই মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু চলছে। মাঝখানে নির্বাচন প্রক্রিয়ার দরুণ করা সম্ভব হয় নি। নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য এবং আমি রাজ্যে না থাকলে এই কর্মসূচি স্থগিত থাকে। সাধারণত সপ্তাহের প্রতি বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু করা হয়। মাঝেমধ্যে বুধবার না হয়ে একদিন আগে বা পরে করা হয়। আজও অনেক লোক এসেছেন এবং আমি তাদের আর্থিক ও নানাভাবে সহায়তা করেছি।’’

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের মতো কিডনি প্রতিস্থাপন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ত্রিপুরা। মণিপুরের শিজা হাসপাতালের সঙ্গে একটি মৌ হয়েছিল আমাদের। পরে আমাদের রাজ্য থেকে ১২ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে। প্রশিক্ষণের পর তারা রাজ্যে ফিরে মণিপুর থেকে আসা টিমকে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে সহায়তা করেছেন। অপারেশন সফল হওয়ার পর ডাক্তাররা আমাকে সুখবর দিয়েছিলেন। কিডনি প্রতিস্থাপনে যুক্ত পুরো মেডিক্যাল টিম গতকাল আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আমার পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়ে তারাও খুব খুশি। আমি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যাগুলি খুঁজে বের করতে বলেছি তাদের। যাতে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। কিডনি প্রতিস্থাপনে যুক্ত পুরো টিমকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’’