প্রতীকী ছবি৷

Coochbehar news: সামনেই অঙ্ক পরীক্ষা, ভয়ে আজব ফন্দি খুদে পড়ুয়ার! ফোন পেয়েই ছুটে গেল পুলিশ

শুভঙ্কর সাহা, দিনহাটা: স্কুল জীবনে অঙ্কের ভয়ে কাঁটা থাকে বহু পড়ুয়াই৷ অঙ্ক পরীক্ষার দিন যত এগিয়ে আসে, বাড়তে থাকে রক্তচাপ৷ তাই অঙ্ক পরীক্ষার ভয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া যে অপহরণের গল্প ফাঁদতে পারে, তা কল্পনা করতে পারেননি কোচবিহারের দিনহাটার পুলিশ আধিকারিকরা৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য গোটা ঘটনা পরিষ্কার করে দিল সিসিটিভি ফুটেজ৷ আর সবটা জেনে তাজ্জব পুলিশও৷

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়৷ আচমকাই একটি ফোন যায় দিনহাটা থানার পুলিশের কাছে৷ ফোনের ওপ্রান্ত থেকে একটি শিশু জানায়, বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে বেরনোর পরই দিনহাটার পুরনো বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি চার চাকার গাড়িতে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে কয়েকজন ব্যক্তি৷ ওই শিশু আরও জানায়, গাড়িটি ভেটাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল৷ সেই সময় সুযোগ বুঝে বুড়িরপাট এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে সে৷

এই খবর পেয়ে আর দেরি করেনি পুলিশ৷ শিশুটিকে উদ্ধারে খোদ দিনহাটার এসডিপিও-র নেতৃত্বে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান৷ শেষ পর্যন্ত বুড়িরপাট এলাকা থেকে অক্ষত অবস্থাতেই ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ৷

থানায় নিয়ে এসে ওই পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ হয়৷ কারণ শিশুটি প্রশ্নের মুখে অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে৷ পুলিশ জানতে পারে, ওই ছাত্র দিনহাটার গোপালনগর হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া৷ ছাত্রের পরিবারকেও খবর দেয় পুলিশ৷

আরও পড়ুন: গণধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, ফিরে এল পরিত্যক্ত সন্তান! তিরিশ বছর পর বিচার পেলেন মা

ওই পড়ুয়া দাবি ঘিরে সংশয় তৈরি হওয়ায় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ৷ আর ওই ফুটেজ থেকেই গোটা ঘটনা স্পষ্ট হয়৷ এর পর পড়ুয়াকে চাপ দিতেই সত্যিটা স্বীকার করে সে৷ ওই পড়ুয়া স্বীকার করে নেয়, সামনে স্কুলের অঙ্ক পরীক্ষা থাকলেও তার প্রস্তুতি ঠিকঠাক হয়নি৷ তাই পরীক্ষা এড়াতে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল সে৷

দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র জানান, ‘যেখান থেকে ওই ছাত্র অপহৃত হয়েছিল বলে দাবি করছে, আদৌ সেখানে সে যায়নি৷ তার আগেই টোটোয় উঠে অন্য দিকে চলে গিয়েছিল ওই ছাত্র৷ সিসিটিভি ফুটেজ হাতে আসতে আমরা ছাত্রকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করি৷ তখনই সে জানায়, অঙ্ক পরীক্ষার ভয়ে নিজেই এই পরিকল্পনা করেছিল৷’

জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই ছাত্রকে পরিবারের হাতে তুলে দিলেও তার কাউন্সেলিং করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ৷ পাশাপাশি এ দিন ওই পড়ুয়ার স্কুলে গিয়েও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্তারা৷