এই অ্যাম্বুল্যান্সেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অপর্ণাকে৷

Paschim Medinipur Accident: এক দুর্ঘটনাই কেড়ে নিল স্বামী, মা সহ চার জনকে! বিয়ের দেড় মাসেই নিঃস্ব কেশপুরের অপর্ণা

শোভন দাস, কেশপুর: মাত্র দেড় মাস আগে বিয়ে হয়েছিল৷ সংসার গুছিয়ে শুরু করার আগে এক দুর্ঘটনাতেই নিঃস্ব হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দা এক তরুণী৷ দুর্ঘটনায় নিজের স্বামী তো বটেই, মাকেও হারিয়েছেন ওই নববিবাহিতা তরুণী৷ মৃত্যু হয়েছে তাঁর মামা এবং মামীরও৷

শুক্রবার রাতে কেশপুরে একটি অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে সিমেন্ট বোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ছ জনের৷ যে অ্যাম্বুল্যান্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেটিতে অপর্ণা বাগ নামে ওই তরুণীকেই ঘাটাল হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল৷ দুর্ঘটনায় অপর্ণার নিজেও গুরুতর আহত হন৷ প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং তার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর্ণাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷

আরও পড়ুন: এনডিএ-২, ইন্ডিয়া-১০! সাত রাজ্যে উপনির্বাচনে একপেশে দাপট বিরোধীদের, ধাক্কা বিজেপির

স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস দেড়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরেরই চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই পুরসভা এলাকার কাশীগঞ্জের বাসিন্দা শ্যামাপদ বাগ (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় কেশপুরের নেড়াদেউল এলাকার বাসিন্দা অপর্ণার৷ কয়েকদিন আগে থেকে অপর্ণার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়৷ প্রথমে তাঁকে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে ঘাটাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

শুক্রবার গভীর রাতে ঘাটাল হাসপাতালে অপর্ণার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে অপর্ণার স্বামী সহ শ্যামচক গ্রামের বাপের বাড়ি সদস্যরা অপর্ণাকে ঘাটাল হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে রওনা দেন। মাঝপথে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অপর্ণার স্বামী শ্যামাপদ, তাঁর মা এবং মামা-মামীর৷ এ ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের দুই সহকারীর৷ বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই অন্ধকার নেমে এল ক্ষীরপাই এবং কেশপুরের দুই পরিবারে৷ অপর্ণার বাড়িতে তাঁর বাবা এবং ঠাকুমা রয়েছেন৷ আপাতত অপর্ণার সুস্থতার জন্যই প্রার্থনা করছেন তাঁরা৷