Tag Archives: paschim medinipur

Paschim Medinipur News: বাবা চা বিক্রেতা! অভাবকে তুচ্ছ করে প্রতিভার জোরে বিদেশে মাটিতে পা রাখছে মেয়ে

পশ্চিম মেদিনীপুর: লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় বাবার টেলারিংয়ের দোকান। সংসার চালাতে তাই অন্য পেশা বাছতে হয়েছে। ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করেন সংসার চালাতে। সংসারে অভাব। তার মাঝেও মেয়ে পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। মেদিনীপুর জেলার পিংলার প্রণতির পর এবার এক অন্য প্রণতি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে (দশম শ্রেণীতে) অ্যারোবিক জিমন্যাস্টিক্সের (Aerobic Gymnastics) জাতীয়স্তরে সোনা জয় করার পর জিমন্যাস্টে ‘বিশ্বজয়’ করতে জাপান-ভিয়েতনামে পাড়ি দেবে মেদিনীপুরের ‘সোনার মেয়ে’ মজিদা। রেল শহর খড়্গপুরের বাসিন্দা সে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকদিন পরেই তার বিশ্বকাপ এবং একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করছে সে। লক্ষ্য সোনা জয়। বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বছর ১৭-র মজিদা।

প্রসঙ্গত খড়গপুর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মজিদা খাতুন। বাবা শেখ মজিদ, পেশায় দর্জি। তবে লকডাউনের সময় কাজ হারিয়ে ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করেন খড়গপুর শহরে। কোনও রকমে চলে তাঁদের সংসার।তিনি একজন ফুটবলারও ছিলেন। বাড়িতেই ছিল খেলাধুলার চর্চা। মা রিনা বিবি গৃহবধূ। বাড়িতে রয়েছে মজিদার এক বোনও। এতদূর অবধি মজিদা এগিয়ে যেতে পেরেছে তাঁর ‘প্রথম’ প্রশিক্ষক রঞ্জিত দাস চৌধুরীর উৎসাহ আর উদ্যোগে। এখন মজিদার প্রশিক্ষক নৈহাটির সম্রাট পাল। তাঁর বাড়িতে থেকেই চলছে কঠোর প্রশিক্ষণ। প্রায় দশ বছর ধরে তার বাড়িতে থেকে অনুশীলন করছে সে। পাশাপাশি সৌভিক দাস, যিনি আন্তর্জাতিক বিচারক তিনিও সাহায্য সহযোগিতা করেন মজিদাকে। পুলিশ-প্রশাসন, পৌরসভা ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বণিক সভার সহায়তায় বিদেশে (থাইল্যান্ডে) পাড়ি দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের মজিদা খাতুন। খুব কষ্ট করেই নিজের জেদ নিয়ে মজিদা জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় (Asian Aerobic Gymnastics Championship) ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ফের জাতীয় স্তরে সোনা জয় করার পর জাপানের বিশ্বকাপ এবং ভিয়েতনামের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Aerobic Gymnastics Championship) অংশগ্রহণ করতে চলেছে সে।

জাপানে আগামী ২৫ এবং ২৬ মে হবে বিশ্বকাপ। তার পর ভিয়েতনামে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নামার কথা গোপালী ইন্দ্রনারায়ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মজিদার। এই দুই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলা থেকে একমাত্র মজিদাই সুযোগ পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর, ২০২৩ সালেও জম্মু-কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যারোবিক জিমন্যাস্টিক্সে তিনটি বিভাগে সোনা জিতেছিল মজিদা। জাপান এবং ভিয়েতনামে প্রতিযোগিতায় নামতে প্রয়োজন ছিল ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে এখনও পর্যন্ত পরিবার জোগাড় করতে পেরেছেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা। তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। বাবার সামান্য রোজগার। নিজের পরিশ্রমে তিনি চালিয়ে রেখেছেন তার এই প্রচেষ্টা। বর্তমানে জিমনাস্টিকের প্রশিক্ষণ দিয়েই নিজের অর্থ নিজেই জোগাড় করে চলেছে সে।

মজিদা বলে, “আগে বাবা দর্জির কাজ করতেন। লকডাউনে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে সংসার চালাতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করেন বাবা। পড়াশোনার পাশাপাশি নৈহাটিতে সম্রাট পালের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি। জাপান এবং ভিয়েতনামে দেশের মোট পাঁচজন যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আর্থিক সমস্যার জন্য আমার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। এখন মনে হচ্ছে যেতে পারব! অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। সোনা জিতে ফিরতে চাই!”

আরও পড়ুন: বাবা ভিক্ষা করেন! প্রতিবন্ধকতাকে তুচ্ছ করেই মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য পড়ুয়ার

আরও পড়ুন: অভাব, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে মাধ্যমিকে সাফল্য! ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন শঙ্করের

২০২২ সালেও যোগ্যতা অর্জনের পর মজিদা-র থাইল্যান্ড যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সেই বার এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন জেলাশাসক আয়েশা রানী, ডিস্ট্রিক্ট স্কুল স্পোর্টস, পশ্চিম মেদিনীপুর DCCI-র সাধারণ সম্পাদক চন্দন বসু, খড়্গপুরের প্রাক্তন পৌরপ্রধান প্রদীপ সরকার-সহ মজিদার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পাশাপাশি জেলার এক পুলিশ কর্তার ও প্রশাসনের এই কর্মকর্তার সাহায্য নিয়ে ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ায় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল সে।

সামনে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সোনা জয় সুনিশ্চিত করতে সে সব না ভেবে আপাতত দিন রাত এক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মজিদা।

রঞ্জন চন্দ

Weather-Heatwave: শনিবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল বাংলার এই জায়গায়? কোথায়? নামে রয়েছে বড় চমক

খড়গপুর: শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এই পশ্চিমবঙ্গেরই এক জায়গায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায়। শনিবার খড়্গপুর গ্রামীণের এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪৬ ডিগ্রি (৪৫.৮)! যা গতকাল (২৭ এপ্রিল) দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে শনিবার রাতে জানায় দিল্লির মৌসম ভবন (ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ)।
খড়গপুর: শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এই পশ্চিমবঙ্গেরই এক জায়গায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায়। শনিবার খড়্গপুর গ্রামীণের এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪৬ ডিগ্রি (৪৫.৮)! যা গতকাল (২৭ এপ্রিল) দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে শনিবার রাতে জানায় দিল্লির মৌসম ভবন (ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ)।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল (প্রায় ৪৫ ডিগ্রি)। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, পানাগড়, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামেও গতকাল অর্থাৎ শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রির আশেপাশে।

গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল (প্রায় ৪৫ ডিগ্রি)। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, পানাগড়, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামেও গতকাল অর্থাৎ শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রির আশেপাশে।
যদিও, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস! গত ২০ এপ্রিলের (৪৫.৯৯) পর চলতি মরশুমে এটাই এখনও অবধি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানা গেছে।
যদিও, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস! গত ২০ এপ্রিলের (৪৫.৯৯) পর চলতি মরশুমে এটাই এখনও অবধি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানা গেছে।
এদিকে, যে কলাইকুন্ডা এলাকা বায়ুসেনা বিমান ঘাঁটির জন্য দেশে বিখ্যাত। এবার সেই কলাইকুন্ডাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে সারা দেশে প্রথম স্থান দখল করে নিল! যা মোটেই গর্বের নয়, বরং আতঙ্কের বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এদিকে, যে কলাইকুন্ডা এলাকা বায়ুসেনা বিমান ঘাঁটির জন্য দেশে বিখ্যাত। এবার সেই কলাইকুন্ডাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে সারা দেশে প্রথম স্থান দখল করে নিল! যা মোটেই গর্বের নয়, বরং আতঙ্কের বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এলাকার কৃষকরা জানাচ্ছেন, "শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। সেলো বা মিনি সাবমার্সেবেল ফেলিওর হয়ে যাচ্ছে! এভাবে আর ক'দিন চললে যে কী হবে, তা ঈশ্বরই জানেন।"
এলাকার কৃষকরা জানাচ্ছেন, “শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। সেলো বা মিনি সাবমার্সেবেল ফেলিওর হয়ে যাচ্ছে! এভাবে আর ক’দিন চললে যে কী হবে, তা ঈশ্বরই জানেন।”
এলাকার মহিলারা বলছেন, "পানীয় জলের কষ্ট বাড়ছে। অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে।" অমর মাহাত নামে এলাকার এক সচেতন বাসিন্দা বললেন, "এসবের জন্য তো আমরাই দায়ী। গাছ কেটে ফাঁকা করে দিয়েছি আমরা। সেই তুলনায় গাছ রোপন করা হয়নি। প্রকৃতির উপর অত্যাচার চালিয়েছে মানুষ। আজ তাই প্রকৃতিও মানুষকে তার প্রতিক্রিয়া ফিরিয়ে দিচ্ছে!"
এলাকার মহিলারা বলছেন, “পানীয় জলের কষ্ট বাড়ছে। অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে।” অমর মাহাত নামে এলাকার এক সচেতন বাসিন্দা বললেন, “এসবের জন্য তো আমরাই দায়ী। গাছ কেটে ফাঁকা করে দিয়েছি আমরা। সেই তুলনায় গাছ রোপন করা হয়নি। প্রকৃতির উপর অত্যাচার চালিয়েছে মানুষ। আজ তাই প্রকৃতিও মানুষকে তার প্রতিক্রিয়া ফিরিয়ে দিচ্ছে!”
এর মধ্যেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,আজ, রবিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রেকর্ড বা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মধ্যেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,আজ, রবিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রেকর্ড বা সংগ্রহ করা হয়েছে।

Business Idea: গোলাপকে কড়া টেক্কা, এই ফুল চাষ করেই ‘মালামাল’! হু হু করে বাড়ছে চাহিদা, সতেজ থাকে প্রায় ৭ দিন

বর্তমান দিনে রূপচর্চায় সকলে বেশ গুরুত্ব দেন। উৎসব অনুষ্ঠানে সাজগোজে চাই ফুলও।
বর্তমান দিনে রূপচর্চায় সকলে বেশ গুরুত্ব দেন। উৎসব অনুষ্ঠানে সাজগোজে চাই ফুলও।
মেয়েদের সাজগোজে গোলাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজার করে নিয়েছে বিদেশি ফুল। বাজারে জারবেরা ফুলের চাহিদা বেশ।
মেয়েদের সাজগোজে গোলাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজার করে নিয়েছে বিদেশি ফুল। বাজারে জারবেরা ফুলের চাহিদা বেশ।
বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত সতেজ থাকে জারবেরা ফুল। বিভিন্ন রং এর এই ফুলের বিক্রি বেশ ভালই। সুন্দর দেখতে হওয়াতে বাজারে চাহিদা রয়েছে ভাল।
বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত সতেজ থাকে জারবেরা ফুল। বিভিন্ন রং এর এই ফুলের বিক্রি বেশ ভালই। সুন্দর দেখতে হওয়াতে বাজারে চাহিদা রয়েছে ভাল।
সামান্য পরিচর্যা ও বেশ কিছু নিয়ম মানলে বেশ লাভ জুটছে চাষ করেও। বাজারে বিক্রি হয় ভাল দামে।
সামান্য পরিচর্যা ও বেশ কিছু নিয়ম মানলে বেশ লাভ জুটছে চাষ করেও। বাজারে বিক্রি হয় ভাল দামে।
বিয়ের মরশুম হোক কিংবা গরমে দাম রয়েছে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত। বিদেশি এই ফুলের বাজার রয়েছে স্থানীয় ক্ষেত্রেও।
বিয়ের মরশুম হোক কিংবা গরমে দাম রয়েছে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত। বিদেশি এই ফুলের বাজার রয়েছে স্থানীয় ক্ষেত্রেও।
জারবেরা ফুল চাষ করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক চাষী তোতন দুয়া। বার্ষিক বেশ লাভ জুটছে তার। তার বক্তব্য, প্রায় সপ্তাহ খানেক সতেজ থাকে এই ফুল।
জারবেরা ফুল চাষ করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক চাষী তোতন দুয়া। বার্ষিক বেশ লাভ জুটছে তার। তার বক্তব্য, প্রায় সপ্তাহ খানেক সতেজ থাকে এই ফুল।

Paschim Medinipur News: বাবা বিশেষভাবে সক্ষম. করেন ভাগচাষ, ফুটবল নিয়ে বড় খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নে তরুণ মাধব

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকে নেশা ফুটবল খেলার প্রতি। ভালবাসা ফুটবলে। তবে পারিবারিক অর্থকষ্ট ম্লান করতে পারেনি ফুটবল খেলাকে। পরিবারে অর্থ কষ্ট থাকলেও সারাদিন কায়িক পরিশ্রমের পর বিকেলে ফুটবল প্র্যাকটিস করে সে। সে মাধব মান্না৷   বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছেন।  বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল খেলে জুটেছে সম্মানও। তবে সংসার বড় বালাই। সংসার চালাতে ভরসা সেলুনে কাজ করা। তরুণ এই ফুটবলারের জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনবে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের তরুণ ফুটবলার মাধব মান্না। বয়স মাত্র ২২-২৩ হলেও তাঁর ফুটবল স্কিল যে কোনও পরিচিত ফুটবল প্লেয়ারদের টেক্কা দেবে। কলকাতার বিভিন্ন নামী ক্লাবেও খেলেছেন তিনি। তবে বর্তমানে সংসার ও ফুটবল নিয়ে টানাপোড়েনে এই প্রতিভাবান যুবক। শুধু ফুটবল খেলা নয়, করতে পারেন জাগলিংও। হাতের আঙুলে বেশ কয়েক মিনিট পর্যন্ত একটি ফুটবলকে গোল গোল করে ঘোরাতে পারেন তিনি। পায়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই নাচাতে পারেন ফুটবল। দাসপুরের যুবকের অনন্য প্রতিভায় মুগ্ধ সকলে।

আরও পড়ুন – Gold From Pond: কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব, পুকুরের তলায় লুকনো সোনার ভাণ্ডার, ভিড় উপচে পড়ছে

দাসপুর থানার পার্বতীপুর গ্রামের মাধব মান্না, সংসার চালাতে উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পরই সেলুনে কাজ শুরু করে। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। কোনওভাবেই চলে দিন। তবে ছোট থেকেই তার নেশা ফুটবল খেলার প্রতি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবেও ফুটবল খেলেছেন তিনি। তবে পরিবার, শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখন আর বড় ক্লাবে খেলা হয় না তার। সংসার চালাতে ভরসা সেলুন দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করা। তবে প্রতিদিনই নিয়ম করে বিকেলে ফুটবল অনুশীলন করে মাধব। এছাড়াও প্রায় ৫ মিনিট ফুটবলকে শরীরের মধ্যে রেখে নানান কার্যকলাপ দেখাতে পারে সে। দাসপুরের এই যুবকের প্রতিভা দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছেন।

সে খেলেছে বড় বড় ক্লাবে। সেখান থেকে কখনও ছিনিয়ে নিয়েছে ফাইনাল ট্রফি, আবার নিজের দক্ষতায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ থেকে ম্যান অব দ্যা সিরিজ এই কেতাবি সম্মানগুলিও অর্জন করেছে। বর্তমানে মাধব চাইছে একটি কোনও প্রতিষ্ঠিত ক্লাবের সাহায্য পেলে তার ফুটবল খেলার যে আশা পূর্ণ হবে।

বাড়িতে রয়েছে মাধবের অসুস্থ বাবা।মাধবের বাবা প্রভঞ্জন মান্না একজন শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম। নিজস্ব কোনও জমি জায়গা নেই তাদের। ভাগচাষে নিজেদের সংসার চালাতে হয় তাদের। তবে, কোনওদিন কি বড় ফুটবলার হয়ে উঠতে পারবে গ্রামের ছেলে মাধব? এই আশায় সকলে।

Ranjan Chanda 

Weight Loss Tips: সস্তা অথচ প্রোটিনে ঠাসা, ওজন গলিয়ে দেবে মোমের মতো, গুণে ঠাসা ডালিয়া

: রোগা হওয়ার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন? জিমে যাচ্ছেন? তবে খাবারে সামান্য পরিবর্তন করলেই মিলবে সমাধান। শরীরের দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি বদল আনতে হবে খাবারেও।বর্তমানে প্রায় সকলের ডায়াবিটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখের মতো রোগ পিছু নিচ্ছে। তবে প্রতিদিনের খাবারের পাতে রাখুন এই খাবার, বদলে যাবে আপনার শরীর। ঝরঝরিয়ে কমবে মেদ।
: রোগা হওয়ার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন? জিমে যাচ্ছেন? তবে খাবারে সামান্য পরিবর্তন করলেই মিলবে সমাধান। শরীরের দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি বদল আনতে হবে খাবারেও।বর্তমানে প্রায় সকলের ডায়াবিটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখের মতো রোগ পিছু নিচ্ছে। তবে প্রতিদিনের খাবারের পাতে রাখুন এই খাবার, বদলে যাবে আপনার শরীর। ঝরঝরিয়ে কমবে মেদ।
খাদ্যাভ্যাসে কয়েকটি বদল আনতে পারলেই অনায়াসে সুস্থ জীবনযাপন করা যায়। এক্ষেত্রে হাতের কাছে থাকা ডালিয়া খেলেও একাধিক উপকার মিলতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
খাদ্যাভ্যাসে কয়েকটি বদল আনতে পারলেই অনায়াসে সুস্থ জীবনযাপন করা যায়। এক্ষেত্রে হাতের কাছে থাকা ডালিয়া খেলেও একাধিক উপকার মিলতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
খিচুড়ির মত বানিয়ে ফেলতে পারেন ডালিয়া। সবজি, সয়াবিন পাশাপাশি মাংসের কুচি দিয়েও রান্না করতে পারেন খাবার। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, এতে রয়েছে খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
খিচুড়ির মত বানিয়ে ফেলতে পারেন ডালিয়া। সবজি, সয়াবিন পাশাপাশি মাংসের কুচি দিয়েও রান্না করতে পারেন খাবার। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, এতে রয়েছে খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
তাই ব্রেকফাস্টে নিয়মিত ডালিয়ার খিচুড়ি খেলে শরীর তো সুস্থ থাকবেই। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হবে।
তাই ব্রেকফাস্টে নিয়মিত ডালিয়ার খিচুড়ি খেলে শরীর তো সুস্থ থাকবেই। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হবে।
ডালিয়ায় রয়েছে প্রোটিন, তাই এই খাবারটি খেলে দেহে প্রোটিনের চাহিদা অনায়াসে পূরণ হয়ে যায়। এমনকী এর থেকে পেশির শক্তিও বাড়ে।
ডালিয়ায় রয়েছে প্রোটিন, তাই এই খাবারটি খেলে দেহে প্রোটিনের চাহিদা অনায়াসে পূরণ হয়ে যায়। এমনকী এর থেকে পেশির শক্তিও বাড়ে।
তাই জিমের পাশাপাশি এই খাবার পেলে মিলবে লাভ। তাই সকালে কিংবা রাতেও খেতে পারেন ডালিয়া।
তাই জিমের পাশাপাশি এই খাবার পেলে মিলবে লাভ। তাই সকালে কিংবা রাতেও খেতে পারেন ডালিয়া।
অনেকেই ওজন কমানের পিছনে টাকা খরচ করেন। ঘাম ঝরাতে গিয়ে জিমেও যান অনেকে। তবে জানেন কি ডালিয়া কমাতে পারে আপনার শরীরের ওজন।বিপাকের হার বাড়ায় ডালিয়া এবং পাশাপাশি পেটও ভর্তি রাখে। তাই কম সময়েই ওজন কমে। সাধ্যের মধ্যে শরীরের ওজন কমাতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ডালিয়া।
অনেকেই ওজন কমানের পিছনে টাকা খরচ করেন। ঘাম ঝরাতে গিয়ে জিমেও যান অনেকে। তবে জানেন কি ডালিয়া কমাতে পারে আপনার শরীরের ওজন।বিপাকের হার বাড়ায় ডালিয়া এবং পাশাপাশি পেটও ভর্তি রাখে। তাই কম সময়েই ওজন কমে। সাধ্যের মধ্যে শরীরের ওজন কমাতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ডালিয়া।
ডায়াবেটিস রোগীদের পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি দুর করতে খাবারের পাতে রাখুন ডালিয়া। খিচুড়ি করে খেতে পারেন এই খাবার।
ডায়াবেটিস রোগীদের পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি দুর করতে খাবারের পাতে রাখুন ডালিয়া। খিচুড়ি করে খেতে পারেন এই খাবার।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, ডালিয়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বহাইড্রেট ও ফাইবার। তাই নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও পেট খারাপের মতো জটিলতায় ভুগলে অবশ্যই ডালিয়াকে নিত্যদিনের ডায়েটের রুটিনে আনুন।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, ডালিয়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বহাইড্রেট ও ফাইবার। তাই নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও পেট খারাপের মতো জটিলতায় ভুগলে অবশ্যই ডালিয়াকে নিত্যদিনের ডায়েটের রুটিনে আনুন।
এই প্রতিবেদন টি শুধুমাত্র তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা। বিশেষ জানতে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। Input- Ranjan Chanda
এই প্রতিবেদন টি শুধুমাত্র তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা। বিশেষ জানতে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। Input- Ranjan Chanda

Banana Good fruit: একে তো ওজন বাড়ায়, তাতে আবার সস্তা! নাক শিঁটকে বাদ এই ফল, ক্ষতি করছেন বিস্তর

: পাইকারি বাজারে কেজি দরে বিক্রি হয় এই ফল। আবার সাধারণ বাজারে পিস হিসেবে বা ডজনেও বিক্রি হয় এই ফল৷ এটি আর কিছু নয়, সস্তায় পুষ্টিকর এই ফল হল কলা৷  দারুণ টেস্ট সঙ্গে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল।সকালের জলখাবারে হোক কিংবা দুধ-কর্নফ্লেক্স, বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ফল খাবার চল রয়েছে।
: পাইকারি বাজারে কেজি দরে বিক্রি হয় এই ফল। আবার সাধারণ বাজারে পিস হিসেবে বা ডজনেও বিক্রি হয় এই ফল৷ এটি আর কিছু নয়, সস্তায় পুষ্টিকর এই ফল হল কলা৷  দারুণ টেস্ট সঙ্গে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল।সকালের জলখাবারে হোক কিংবা দুধ-কর্নফ্লেক্স, বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ফল খাবার চল রয়েছে।
জানেন কী এই ফলের উপকারিতা? বাজারে বর্তমানে কেজি প্রতি বিক্রি হয় কলা। বিভিন্ন সময় কলা খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। কলার গুনাগুন জানলে অবাক হবেন।
জানেন কী এই ফলের উপকারিতা? বাজারে বর্তমানে কেজি প্রতি বিক্রি হয় কলা। বিভিন্ন সময় কলা খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। কলার গুনাগুন জানলে অবাক হবেন।
কলা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কারণ, এই ফলের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। হার্ট ভাল রাখতে এবং পেশি মজবুত রাখতে কলার ভূমিকা অপরিসীম।কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই কলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
কলা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কারণ, এই ফলের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। হার্ট ভাল রাখতে এবং পেশি মজবুত রাখতে কলার ভূমিকা অপরিসীম।কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই কলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
পরিশ্রমের কাজ করলে শক্তি প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ শক্তির জোগান দিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে কলা উপর ভরসা রাখতে পারেন। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। শরীরচর্চা করার আগে কিংবা পরেও কলা খাওয়া যেতে পারে।
পরিশ্রমের কাজ করলে শক্তি প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ শক্তির জোগান দিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে কলা উপর ভরসা রাখতে পারেন। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। শরীরচর্চা করার আগে কিংবা পরেও কলা খাওয়া যেতে পারে।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, হাড়ের যত্নে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা যথেষ্ট।হাড়ের যত্নে ক্যালশিয়ামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কলা এই খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ অভিজিৎ সেন মন্তব্য করেন, হাড়ের যত্নে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা যথেষ্ট।হাড়ের যত্নে ক্যালশিয়ামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কলা এই খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে।
দুর্বল পেশি, পেশিতে ব্যথা কিংবা টান লাগার সমস্যায় দারুণ কাজ করে কলা। কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। এই খনিজটি পেশি মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
দুর্বল পেশি, পেশিতে ব্যথা কিংবা টান লাগার সমস্যায় দারুণ কাজ করে কলা। কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। এই খনিজটি পেশি মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
কলা খেলেই নাকি ওজন বেড়ে যায়? এমন ধারণা সবার মধ্যেই আছে। তাই এই ফলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করেন অনেকে।তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাধারণেরা রোজ একটি করে কলা খেলে খুব একটা ক্ষতি হবে না বরং উপকারই হবে। কী কী উপকার হয় কলা খেলে, জানলে অবাক হবেন। Input- Ranjan Chanda
কলা খেলেই নাকি ওজন বেড়ে যায়? এমন ধারণা সবার মধ্যেই আছে। তাই এই ফলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করেন অনেকে।তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাধারণেরা রোজ একটি করে কলা খেলে খুব একটা ক্ষতি হবে না বরং উপকারই হবে। কী কী উপকার হয় কলা খেলে, জানলে অবাক হবেন। Input- Ranjan Chanda

Silky Hair Care Tips: রান্নাঘরের এই জিনিসের গন্ধের ভয়ে নাক সিঁটকোন! চুলে লাগান তরতরিয়ে বাড়বে ঘন কালো চুল

: চুল নিয়ে কমবেশি সকলেই সচেতন। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় চুলের যত্ন নেওয়া চাই সকলের। তবে সামান্য বেশ কিছু ঘরোয়া নিয়ম মানলে গোছা ভরা চুলের পরিচর্যা করা যাবে অনায়াসে।
: চুল নিয়ে কমবেশি সকলেই সচেতন। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় চুলের যত্ন নেওয়া চাই সকলের। তবে সামান্য বেশ কিছু ঘরোয়া নিয়ম মানলে গোছা ভরা চুলের পরিচর্যা করা যাবে অনায়াসে।
সামান্য কিছু টিপস এবং কিছু ঘরোয়া টোটকা মানলেই অনায়াসে ঘন, সিল্কি হবে আপনার চুল। কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার কোমর সমান চুলের? বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞ বাবাই চন্দ।
সামান্য কিছু টিপস এবং কিছু ঘরোয়া টোটকা মানলেই অনায়াসে ঘন, সিল্কি হবে আপনার চুল। কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার কোমর সমান চুলের? বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞ বাবাই চন্দ।
প্রতিদিনের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত তিনটি দিন চুলের যত্ন নিতে হবে নিজেকে। কীভাবে রাখবেন যত্ন? প্রথমত স্নানের আগে চুল যত্ন সহকারে আঁচড়ে নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে একদিকে চুলের ক্ষয় কম হবে, পাশাপাশি চিরুনি করার সময় মোটা দাঁড়যুক্ত চিরুনি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
প্রতিদিনের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত তিনটি দিন চুলের যত্ন নিতে হবে নিজেকে। কীভাবে রাখবেন যত্ন? প্রথমত স্নানের আগে চুল যত্ন সহকারে আঁচড়ে নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে একদিকে চুলের ক্ষয় কম হবে, পাশাপাশি চিরুনি করার সময় মোটা দাঁড়যুক্ত চিরুনি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
চুলে বেশি শ্যাম্পু নয়, সপ্তাহে তিনদিন শ্যাম্পু করলেই যথেষ্ট। বেশি শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও শক্তি নষ্ট হয়।
চুলে বেশি শ্যাম্পু নয়, সপ্তাহে তিনদিন শ্যাম্পু করলেই যথেষ্ট। বেশি শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও শক্তি নষ্ট হয়।
স্নানের পর অনেকেই চুলে শক্ত করে গামছা কিংবা টাওয়েল দিয়ে মুড়ে রাখেন। সে ক্ষেত্রে কোনও প্রয়োজন নেই চুল শুকানোর এই পদ্ধতি। গামছা বা টাওয়েল দিয়ে চুল মুড়ে রাখলে চুলের গোড়া ফেটে যায়। চুলে অল্প তেল লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞের মতে, রাতে ঘুমানোর আগে চুল যত্ন করে আঁচড়ে বিনুনি করে রাখা প্রয়োজন।
স্নানের পর অনেকেই চুলে শক্ত করে গামছা কিংবা টাওয়েল দিয়ে মুড়ে রাখেন। সে ক্ষেত্রে কোনও প্রয়োজন নেই চুল শুকানোর এই পদ্ধতি। গামছা বা টাওয়েল দিয়ে চুল মুড়ে রাখলে চুলের গোড়া ফেটে যায়। চুলে অল্প তেল লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞের মতে, রাতে ঘুমানোর আগে চুল যত্ন করে আঁচড়ে বিনুনি করে রাখা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞ বাবাই চন্দ জানান, শ্যাম্পু করার পর সামান্য জলে চায়ের লিকার কিংবা লেবু দিলে চুল ধুলে চুল সিল্কি ও শক্ত সামর্থ্য হয়।
বিশেষজ্ঞ বাবাই চন্দ জানান, শ্যাম্পু করার পর সামান্য জলে চায়ের লিকার কিংবা লেবু দিলে চুল ধুলে চুল সিল্কি ও শক্ত সামর্থ্য হয়।
এছাড়াও চুল পড়া বন্ধ করতে গেলে পেঁয়াজের রস ভালো করে চুলের গোড়ায় বেশ কয়েক মিনিট ধরে মাসাজ করলে চুল পড়া বন্ধ হয় প্রতিদিন করতে পারলে অবশ্যই ভাল।
এছাড়াও চুল পড়া বন্ধ করতে গেলে পেঁয়াজের রস ভালো করে চুলের গোড়ায় বেশ কয়েক মিনিট ধরে মাসাজ করলে চুল পড়া বন্ধ হয় প্রতিদিন করতে পারলে অবশ্যই ভাল।
শুধুমাত্র তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদনটি করা। চুলের কোনওসমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। Input- Ranjan Chanda
শুধুমাত্র তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদনটি করা। চুলের কোনওসমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। Input- Ranjan Chanda

Paschim Medinipur News: পোস্ট অফিসের কর্মী! গানই যেন জীবনের সব, প্রেরণা অরিজিৎ সিং

পশ্চিম মেদিনীপুর: গান-ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। গানকে ভালবেসে গানের সঙ্গেই বেঁচে থাকা। শখ এবং পেশা আলাদা হলেও, পেশার সঙ্গে শখকে মিশিয়ে দিব্যি প্রতিটা দিন কাটাচ্ছেন এই যুবক। পেশাগতভাবে তিনি পোস্ট অফিসের একজন কর্মী। অফিসের নানা কাজ সামলেও করেন গানের চর্চা। প্রতিদিন সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যায় বাড়িতে গান রেওয়াজের পাশাপাশি, অফিসেও চলে গুনগুন করে তাঁর গান গাওয়া। পোস্ট অফিসে আসা গ্রাহকেরা তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন। বেশ কয়েক মাস আগেই অরিজিৎ সিংয়ের গলায় গান গেয়ে বেশ ভাইরাল হয়েছিলেন এই পোস্ট অফিসের কর্মী। এখন অফিস সামলে বিভিন্ন প্রোগ্রামও করেন তিনি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বৌলাসীনির বাসিন্দা আকাশ দাস। পেশায় তিনি একজন পোস্ট অফিসের কর্মী। হরিহরপুর শাখা পোস্ট অফিসে তিনি কর্মরত। তবে ছোট থেকেই তাঁর নেশা গানের প্রতি। ছোটবেলায় কাকার কাছেই শিখেছেন গান। গানই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। রবীন্দ্র সঙ্গীত হোক কিংবা শ্যামা সঙ্গীত অথবা কোনও হিন্দি গান, তাঁর গলায় শুনলে হারিয়ে যাবেন গানের ভুবনে।আকাশ বিভিন্ন জায়গায় গানের শো করেন। তবে তিনি গুরু হিসেবে মনে করেন অরিজিৎ সিংকে। ইতিমধ্যেই অরিজিৎ সিং এর গলায় বহু গান তিনি গেয়েছেন। বছর ২৬-এর এই যুবকেরদিন থেকে রাত কাটে গানের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: মাঘী পূর্ণিমায় সাগরে কোন আশায় ডুব লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীর! কারণটা জানলে অবাক হবেন

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে রেল যোগাযোগ! দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে চলবে ট্রেন 

প্রসঙ্গত, বাংলা, হিন্দির পাশাপাশি সাঁওতালি ভাষাতেও গান করতে দক্ষ আকাশ। আকাশের বাবা অজিত কুমার দাস এবং মা বঙ্গশ্রী দাস। বাড়িতে গানের রেওয়াজ ছিল বহুদিন থেকে। আকাশের কাকার কাছ থেকেই তার গান শিক্ষার হাতে খড়ি। এরপর একে একে গান শিখেছেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীদের থেকে। সাঁওতালি ভাষা শিক্ষা ও নির্ভুল উচ্চারণের পাশাপাশি শিখেছেন সাঁওতালি ভাষায় গানও। আকাশ বাড়িতেই করেছেন ছোট্ট গানের স্টুডিও। কাজের পর অবসর সময় কাটে তার স্টুডিওতে। কখনও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, কখনও শ্যামা সংগীত আবার কখনও অরিজিৎ সিং এর গলায় গান গেয়েছেন আকাশ, জনপ্রিয়তা মিলেছে বেশ।

সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা তাঁর। স্বপ্ন, বড় সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার। বাবা মায়ের ইচ্ছাপূরণ এবং পরিবারের সকলের আশীর্বাদ নিয়ে তিনি চলেছেন তার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। মধ্যবিত্ত সংসারে অন্যতম শর্ত চাকরি করেও অবসর জীবনে গান নিয়ে দিন কাটান আকাশ। তার গলার সুরে মোহিত সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Crime News: জঙ্গলে জোড়া দেহ! দুই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য

চন্দ্রকোনা, পশ্চিম মেদিনীপুর: সাত সকালে ভয়ঙ্কর দৃশ্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গলে। চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গল থেকে দুই নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃতদেহের চারপাশে থেকে উদ্ধার হয়েছে নানা জিনিস। পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ভাঙা মোবাইলে টুকরো। পাওয়া গিয়েছে একটি ছুরি, সঙ্গে চুড়িদারের একটি ওড়না।

সকালে উঠেই এলেকাবাসি দেখেন এই ভয়ানক দৃশ্য। তাঁরা দেখেন ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দুই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ। এই দুইজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে, অপর জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এর মধ্যে একজন চন্দ্রকোনা রামগড়ের বাসিন্দা, অন্যজন কোথায় থাকে তা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: শিমূল-পলাশে রাঙা, অপরূপ প্রকৃতির মাঝে ৯ দিনের নিরামিষ মেলা! ঘুরে আসুন, রইল হদিশ

আরও পড়ুন: দুই কন্যাকে দত্তক নিলেন দম্পত্তি, তারা পাড়ি দিচ্ছে বেলজিয়াম! পুরো ঘটনা শুনলে অবাক হবেন

কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ঘটনা তা অবশ্য এখনও ধোঁয়াশায়। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃত উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান দুই নাবালিকাকে কেউ বা কারা খুন করেছে। ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কে এলাকাবাসি।

সুকান্ত চক্রবর্তী

Paschim Medinipur News: দুই কন্যাকে দত্তক নিলেন দম্পত্তি, তারা পাড়ি দিচ্ছে বেলজিয়াম! পুরো ঘটনা শুনলে অবাক হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: জন্মের পর দুজনের ছিল না কোনও পরিচয়। কেউ হয়তো ভেবে নামও রাখেনি তাদের।  ধীরে ধীরে একটি সরকারি হোমে বড় হচ্ছিল তারা। কিন্তু কখন কার ভাগ্যে কি ঘটবে? কেউ তা জানে না। খড়গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েক বছর আগে উদ্ধার হওয়া, মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন সরকারি হোমে লালিত পালিত হওয়া দুই শিশু কন্যাকে দত্তক নিলেন এক দম্পতি। বেলজিয়ামই হবে দুজনের বর্তমান ঠিকানা।

“সন্তান তো সন্তানই। নিজেরা জন্ম দিই বা অন্য কেউ। আসল কথা হল তাদের লালন-পালন করা। বড় করে তোলা। সেটাই আমি ও আমার স্ত্রী মনেপ্রাণে করতে চেয়েছি। ওদের মানুষের মতো মানুষ করতে চাই!”  এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন আদিল মাসুদ। তিনি ও তাঁর স্ত্রী রেহালা বানু মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনের দুই শিশুকন্যা-কে ‘দত্তক’ নিলেন।

আরও পড়ুন: ভারতীয় পোশাকে বাজিমাত দীপিকার! সব্যসাচীর ডিজাইন করা সোনালি শাড়িতে বাফটা-র মঞ্চে নায়িকা

উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে থাকেন আদিল ও রেহালা। প্রায় ১০ বছর বিয়ে হয়েছে আদিল ও রেহালা’র। দু’জনই ব্রাসেলসের নামকরা দুই সংস্থায় কর্মরত। বছর ৩৯-র আদিল একটি সংস্থার প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এবং বছর ৩৭-র রেহালা অন্য একটি সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার। বেলজিয়াম পাড়ি দেওয়ার আগে এমনটাই জানান দম্পতি।

জানা গিয়েছে, অনলাইনে সমস্ত পদ্ধতি মেনে ৬ বছর আগেই তাঁরা সন্তান দত্তক নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। অবশেষে সমস্ত পদ্ধতি মেনেই মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনের শিশুকন্যাদের দত্তক নিলেন আদিল ও রেহালা।

আরও পড়ুন: ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে এবার মমতা! কবে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী? থাকছে একের পর এক চমক

আদিল বলেন, “বেলজিয়ামে ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ করা হয় না। তাই আমাদের আবেদনপত্রেও ছেলে বা মেয়ে উল্লেখ করার সুযোগ ছিল না। তবে, মনেপ্রাণে আমরা কন্যাসন্তানই দত্তক নিতে চেয়েছিলাম। আমাদের স্বপ্ন-পূরণ হল!”

রেহালা জানান, “আমরা সন্তান লালন-পালন বা মানুষ করতে চেয়েছি। সেটা যে নিজের গর্ভেরই হতে হবে, এমনটা আমরা ভাবিনি। বরং আমরা দত্তক নিয়েই তাঁকে বড় করার অঙ্গীকার করেছিলাম।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনে সরকারিভাবে অনাথ ও অসহায় শিশুদের লালন-পালন করা হয়। পরবর্তী সময়ে, সমস্ত আইনি পদ্ধতি মেনে সেখান থেকে শিশুদের দত্তক নিতে পারেন দেশ-বিদেশের দম্পতিরা। কিছুদিন আগেই এক শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন ইতালির এক দম্পতি। সবমিলিয়ে বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনের প্রায় ৪৫ জন শিশুকে এখনও পর্যন্ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দম্পতি দত্তক নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হোন্নাইয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছে!

মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের জেলাশাসকের কার্যালয়ে দুই শিশুকন্যাকে নিজেদের কোলে বসিয়ে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আদিল ও রেহালা বলেন, “ওরা এখন থেকে আমাদের সন্তান। ওদের আমরা মানুষের মতো মানুষ করতে চাই! আর ওরা বড় হয়ে কি হবে, সেটা আমরা ওদের উপরই ছেড়ে দিতে চাই।” জানা গিয়েছে, যে দুই শিশুকন্যাকে দত্তক নিয়েছেন, তাদের বয়স যথাক্রমে ৫ বছর ও ৪ বছর। বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনের পরিবেশ ও শিশুদের লালন পালন করার পদ্ধতিতে মুগ্ধ আদিল ও রেহালা!

রঞ্জন চন্দ