বিমান সেবিকা খাবার-জল দিতে এলেও নিতে চাননি; তারপরেই ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড…

সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ সফরে খিদে-তৃষ্ণা চেপে বসেছিলেন যাত্রী! বিমান সেবিকা খাবার-জল দিতে এলেও নিতে চাননি; তারপরেই ঘটল ভয়ঙ্কর কাণ্ড…

Airport News: চা, জলখাবার এমনকী পানীয় জল দিতে চাইলেও বারবার অস্বীকার করছিলেন এক যাত্রী। তবে তিনি টেরও পাননি, এর জন্য তাঁকে বড়সড় মাসুল গুনতে হতে পারে। আসলে উড়ানটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়ার পরেই ওই যাত্রীকে জেরা করার জন্য পাকড়াও করা হয়। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিন্তু ঘটনাটি ঠিক কী? আসলে জেড্ডাহ থেকে দিল্লি উড়ে আসছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান এআই ৯৯২। বিমান সেবিকা প্রথমে ওই উড়ানে চেপে আসা যাত্রীকে জল দিতে চান। কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করেন ওই যাত্রী। এরপর বিমানসেবিকা একের পর এক জিনিস অফার করতে থাকেন। যেমন – খাবার, চা-কফি ইত্যাদি।

আরও পড়ুন– সাদা আর দুধে আলতায় রাঙানো শরীর, চোখে লাল আভা, উত্তর প্রদেশে আবিষ্কৃত বিরল এই কেউটে তুলে ধরেছে প্রকৃতির এক বিশেষ লক্ষণ

আর ওই যাত্রী বারবার কিছু খেতে কিংবা পান করতে অস্বীকার করতে থাকেন। বিমান সেবিকা লক্ষ্য করেন যে, প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার যাত্রাপথে ওই যাত্রী কিছু খেতে কিংবা পান করতে চাননি। এতেই বিমান সেবিকার সন্দেহ আরও জোরালো হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি উড়ানের ক্যাপ্টেনকে বিষয়টি জানান।

বিমানের ক্যাপ্টেন এবার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে সেই বার্তা পৌঁছে দেন নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে। আর এই খবর পৌঁছনোমাত্রই অভিযানে নামে কাস্টমস প্রিভেন্টিভ টিম। ফলে উড়ান ভারতের মাটি স্পর্শ করা মাত্রই ওই যাত্রীকে নজরদারির ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলা হয়। কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল পার করতেই তাঁকে আটকানো হয়।

আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা, আগামী কয়েকদিন রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই যাত্রী স্বীকার করে নেন যে, জেড্ডাহ থেকে তিনি সোনা পেস্ট করে নিয়ে এসেছেন। যা তিনি নিজের রেক্টাম বা মলদ্বারে লুকিয়ে রেখেছেন। এরপর তিনি নিজেই নিজের মলদ্বার থেকে একটা একটা করে ক্যাপসুল বার করে আনেন। আর সেই ক্যাপসুলের ভিতরেই ছিল সোনার পেস্ট !

জয়েন্ট কমিশনার (কাস্টমস) মণিকা যাদব জানান যে, যাত্রীর মলদ্বার থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি ক্যাপসুল থেকে ১০৯৬.৭৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬৯ লক্ষ ১৬ হাজার ১৬৯ টাকা। কাস্টমস অ্যাক্টের একাধিক ধারার আওতায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময়ের যাত্রাপথে যেসব যাত্রী খাবার খেতে কিংবা জল পান করতে চান না, তাঁদের উপর বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। মনে করা হয় যে, তাঁরা তাঁদের মলদ্বারে এমন কিছু লুকিয়ে রেখেছেন, যা পাচারের অভিসন্ধি নিয়েই আনা হয়েছে।