Tag Archives: Delhi Airport

Delhi Airport Roof Collapse: ‘টিকিটের দাম ফেরত দেওয়া হবে’, দিল্লি বিমানবন্দরে ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: ছাদ ভেঙে পড়ার পরই দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনাল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল। সমস্ত বিমান টার্মিনাল ২ এবং টার্মিনাল ৩-এ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টিতে আচমকাই বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদ ভেঙে পড়ে। ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর জখম ৬ জন।

দিল্লি বিমানবন্দরে তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। টার্মিনাল ১, টার্মিনাল ২ এবং টার্মিনাল ৩। ঘরোয়া বিমান ওঠানামার জন্য ১ নম্বর টার্মিনাল ব্যবহৃত হয়। তিনটি টার্মিনাল মিলিয়ে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ১৪০০ বিমান ওঠানামা করে। আপাতত টার্মিনাল ১-এর সমস্ত বিমান টার্মিনাল ২ এবং টার্মিনাল ৩-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি ঢুকতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ! দুমড়েমুচড়ে গেল সব, বিকট শব্দে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা

সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “দিল্লি বিমানবন্দরের সমস্ত কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বিমান শুধুমাত্র টার্মিনাল ২ এবং টার্মিনাল ৩ থেকে ওঠানামা করবে। টার্মিনাল ১-এর সমস্ত বিমান টার্মিনাল ২ এবং টার্মিনাল ৩-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে”। উল্লেখ্য এক নম্বর টার্মিনাল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলেও ঘরোয়া বিমান টার্মিনাল ২ এবং টার্মিনাল ৩ থেকে ওঠানামা করছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় দিল্লিতে। ভোর পাঁচটা নাগাদ আচমকাই এক নম্বর টার্মিনালের বাইরের অংশের ছাদ ভেঙে পড়ে। শুধু তাই নয়, ভেঙে পড়ে সাপোর্ট বিমও। পার্ক করা বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনায় ৬ জন গুরুতর জখম এবং ১ জনের মৃত্যুও হয়েছে। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানরা বিমানবন্দরে মোতায়েন স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল বিভাগকে ঘটনার খবর দেয় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার পর কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জরাপু বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা এড়াতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণে যে সব যাত্রীর বিমান বাতিল হয়েছে তাঁদের টিকিটের দাম ফেরত দেওয়া হবে কিংবা বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ৭ দিনের মধ্যে টিকিটের দাম ফেরত দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তিও সরকারের তরফে জারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিমানভাড়া না বাড়ানোর জন্য এয়ারলাইনস সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ল টার্মিনালের ছাদ! বৃষ্টির মধ্যে বড় ঘটনা

নয়াদিল্লি: বৃষ্টি বিপদের মধ্যেই দিল্লি বিমানবন্দরে বিপর্যয়। কাকভোরে হুড়মুড়িয়ে ধসল এক নম্বর টার্মিনালের ছাদ। চাপা পড়ে মৃত ১। জখম আরও আট। আর্থিক সাহায্য ঘোষণা অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর। তছনছ পরপর গাড়ি। ব্যাহত উড়ান পরিষেবা। সম্প্রসারণের পর মার্চেই মোদির উদ্বোধন। তবুও রাজধানীর এয়ারপোর্টের বেহাল দশা কীভাবে? প্রশ্ন তুলে সরব বিরোধীরা।

Roof collapses at Delhi Airport: দিল্লি বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ল ছাদ ! চাপা পড়ল একাধিক গাড়ি, মৃত ১

নয়াদিল্লি: দিল্লি বিমানবন্দরে শুক্রবার সকালে ভয়াবহ ঘটনা ৷ ভেঙে পড়ল টার্মিনাল ১-এর ছাদের একটা অংশ। এক জনের এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ অন্তত ৬ জন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। উদ্ধার কাজ চলছে ৷  আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিমানবন্দরে টার্মিনাল ওয়ানের ছাদের এই অংশটা ভেঙে পড়ে বলে দমকল সূত্রে খবর। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪ টি ইঞ্জিন। বিমানবন্দরে সেসময় দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ট্যাক্সি ও গাড়ির উপর ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে ৷ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রাম মোহন নায়ডুর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে ৷

আরও পড়ুন– ‘এত ভয়, ইগো কেন…?’ দুই বিধায়কের শপথ জট আবহে বোসের পাশে থেকে মুখ্যমন্ত্রীকেও খোঁচা শুভেন্দু অধিকারীর

ছাদের কাঠামোর নীচে চাপা পড়ে একাধিক গাড়ি। টার্মিনালের বাইরে যেখানে গাড়িগুলি রয়েছে। সেখানেই গাড়িতে এসে নামেন যাত্রীরা। সেই যাত্রিবাহী গাড়ির অনেকগুলিই সেখানে অপেক্ষা করছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন চার জন। আর কেউ আটকে নেই বলে জানিয়েছে দমকল।

চলতি বছরের মার্চ মাসেই দিল্লি বিমানবন্দরের এই এক্সটেনডেড ডিপার্চার বিভাগটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রাজধানীতে এখন প্রবল বৃষ্টি-দুর্যোগ চললেও বিমানবন্দরের ছাদ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনায় আতঙ্কে যাত্রীরা ৷

Air Canada: আচমকাই উড়ো ই-মেলে বোমাতঙ্ক; চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল এয়ার কানাডা দিল্লি-টরোন্টো উড়ানের যাত্রীদের মধ্যে

নয়াদিল্লি: রওনা হওয়ার কথা ছিল কানাডার টরোন্টোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু দিল্লির মাটি ছাড়ার আগেই এক উড়ো ই-মেল যেন সব ওলটপালট করে দিল! মঙ্গলবার রাতে বোমাতঙ্কে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল এয়ার কানাডা এসি৪৩-র যাত্রীদের মধ্যে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের বেশ কিছু উড়ানে এই একই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (ডিআইএএল)-এর দফতরে একটি ই-মেল আসে। তাতে বলা হয়েছিল ছিল যে, এয়ার কানাডার উড়ানে বোমা রাখা রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড সিকিউরিটি প্রোটোকলের পরে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সব কিছু খতিয়ে দেখা হয়। যদিও তাতে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন– ৪৮ ডিগ্রি গরমেও এসি চলে না! ফ্যান-কুলারেই কাজ চালান এই কলোনির আইএএস, আইপিএসরা

এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এসেছে একই ধরনের উড়ো হুমকি মেল। প্যারিস থেকে ৩০৬ জন যাত্রী নিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল ভিস্তারার একটি উড়ান। সেখানেও বোমাতঙ্ক ছড়ায়। এরপরেই ভারতের বাণিজ্যনগরীর বিমানবন্দরে জারি হয় জরুরিকালীন অবস্থা।

রবিবার ভিস্তারার তরফে জানানো হয় যে, প্যারিসের চার্লস দি গল বিমানবন্দর থেকে মুম্বইগামী বিমান ইউকে ০২৪-এ একটি এয়ারসিকনেস ব্যাগ থেকে একটি হাতে লেখা নোট উদ্ধার হয়েছিল। তাতেই বোমা রাখার কথা লেখা ছিল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। একটি বিবৃতি দিয়ে ভিস্তারা নিশ্চিত করে জানায় যে, ২ জুন ২০২৪ তারিখের এই বোমাতঙ্কের পরেই নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়।

আরও পড়ুন– দরজা খুলতেই শাশুড়ির চোখ কপালে ! ভাড়াটের সঙ্গে প্রেমে মত্ত পুত্রবধূ, এরপর যা হল বিশ্বাস হবে না

এখানেই শেষ নয়, গত সপ্তাহেই দিল্লি থেকে রওনা হওয়া ভিস্তারার ইউকে৬১১ উড়ানেও ছড়িয়েছিল বোমাতঙ্ক। আবার গত ১ মে চেন্নাই থেকে মুম্বইগামী ইন্ডিগো ৬ই-৫৩১৪ উড়ানটিতেও একই ভাবে বোমা রাখা আছে বলে উড়ো হুমকি এসেছিল। এরপর গত ২৮ মে দিল্লি থেকে বারাণসীগামী ইন্ডিগোর একটি উড়ানে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

Delhi Airport: দিল্লি বিমানবন্দরে পাসপোর্ট অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন রাশিয়ার তরুণী ! কী বলছেন নেটিজেনরা?

নয়াদিল্লি: দিল্লি বিমানবন্দরের এক পাসপোর্ট কন্ট্রোল অফিসারের বিষয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাশিয়ার এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। রীতিমতো ভিডিও বানিয়ে নেটিজেনদের কাছ থেকে এই প্রসঙ্গে তাঁদের মতামতও জানতে চান তিনি। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল?

দিনারা নামের ওই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৮০ হাজার ফলোয়ার। ঘুরতে ভালবাসেন এবং ভারতও তাঁর পছন্দের দেশগুলির তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি দিনারা একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, তাঁর বোর্ডিং পাসে এক পাসপোর্ট কন্ট্রোল অফিসার নিজের ফোন নম্বর লিখে দিয়েছিলেন। এমনকী, পরে ফের ভারতে এলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও বলেছিলেন। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে নেটিজেনদের কাছে দিনারা জানতে চান যে, ওই অফিসারের আচরণ সঠিক ছিল কি না!

আরও পড়ুন- সাফল্যের শিখরে থাকাকালীনই মুখ থুবড়ে পড়েছিল কেরিয়ার ! এমনকী বাঁচার ইচ্ছাটাও জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন; এখন ‘হিরামান্ডি’ নিয়ে আশাবাদী এই অভিনেতা

ভিডিও-তে দিনারার বক্তব্য, “আমার টিকিটে দিল্লি বিমানবন্দরের এক পাসপোর্ট কন্ট্রোল অফিসার নিজের ফোন নম্বর লিখে দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন যে, পরের বার আপনি যখন ভারতে আসবেন, তখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আরে, এটা কেমন আচরণ?” ভিডিও-র ক্যাপশনে দিনারা লেখেন, “এই আচরণটা কি সঠিক?” সেই সঙ্গে আরও লিখেছেন, “আমি তো হতবাক। আপনি কি সিরিয়াস? দিল্লি বিমানবন্দরের পাসপোর্ট কন্ট্রোল অফিসার চান আমি তাঁকে কল করি!”

আরও পড়ুন– অভিনব উপস্থাপনা নিয়ে রুপোলি পর্দা মাতাল প্রিমিয়ার, স্ক্রিনিং শেষে রাত-আসরে নামল চাঁদের হাট, মানসীর এই ছবি সবার গল্প

এই ভিডিও-তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকরা। বেশিরভাগ মানুষই অবশ্য ওই অফিসারের আচরণকে ‘অনৈতিক’ এবং ‘অনুপযুক্ত’ বলে ব্যাখ্যা করেন। এক ব্যবহারকারী লেখেন, “এটা অনুপযুক্ত। কর্তব্যরত অফিসারের এমনটা করা উচিত নয়। খুবই অনৈতিক। খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আপনাকে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।” আর একজনের মন্তব্য, “এটা একেবারেই সঠিক আচরণ নয়। তাঁর বিরুদ্ধে তো সঠিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওই ব্যক্তির ব্যবহারের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”

যদিও কেউ কেউ অবশ্য ওই অফিসারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা জানান, সৌজন্য এবং আতিথেয়তার খাতিরেই এমনটা করেছেন ওই অফিসার। তৃতীয় নেটাগরিক লিখেছেন, “ভবিষ্যতে সাহায্য করার জন্যই ভদ্রতা করছিলেন তিনি… প্রতিটি পরিস্থিতির একটা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। এটা কেবল একটা মানসিকতা।”

বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন চুরমার! দিল্লি বিমানবন্দরে ‘ভুয়ো’ ভিসা নিয়ে তরুণ; গ্রামে ফিরেই প্রতারণার নালিশ দায়ের

সৈয়দ কয়াম রাজা, পিলিভিট: উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন কার না থাকে! উত্তর প্রদেশের পিলিভিটের রাম মিলনও তার ব্যতিক্রম নন। দু’চোখ ভরে স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছতেই এক লহমায় যেন ভেঙে গেল ওই তরুণের স্বপ্ন! জানতে পারেন যে, তাঁর সঙ্গে থাকা স্টাডি ভিসাটি ‘ভুয়ো’। ফলে ফের গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য হল তিনি।

গ্রামে ফিরে রাম মিলনের অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। অভিযোগ, পড়ুয়াদের স্টাডি ভিসা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এক আইইএলটিএস অপারেটর। আর তার খপ্পরেই পড়েছে রাম মিলনের মতো পড়ুয়াও।

আরও পড়ুন- পুকুর খুঁড়তে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ দিনমজুরদের! বেরিয়ে এল প্রাচীন বিরল মূর্তি; জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পিলিভিটের গজরৌলা থানার লালপুর গ্রামের বাসিন্দা রাম মিলন। তাঁর অভিযোগ, পুরানপুর নগর সুপার মার্কেটে এক আইইএলটিএস অপারেটর তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে পাঠানোর জন্য স্টাডি ভিসা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁর থেকে পাসপোর্ট, নথিপত্র এবং ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। ওই তরুণ আরও জানান, এত পরিমাণ অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল তাঁর পরিবারের। কোনও রকমে জমি, বাড়ি, ট্র্যাক্টর এবং বাড়ির সকলের গয়না বন্ধক দিয়ে কোনও রকমে লোনের মাধ্যমে ১৮ লক্ষ টাকা জোগাড় করেন রাম মিলনের বাবা। এরপর সেটি স্টাডি ভিসা নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানকার আধিকারিকরা ভিসা পরীক্ষা করে তাঁকে জানান যে, সেটা ভুয়ো ভিসা। ফলে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে খালি হাতেই রাম মিলনকে গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছিল। ফলে ফিরে গিয়ে ওই অপারেটরের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন তিনি। কিন্তু সে ওই টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং ঝামেলাও হয়। এরপর প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে রাম মিলন পুরানপুর কো অফিসে পৌঁছন। ওই অপারেটর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার এবং তাঁর টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ আধিকারিকের কাছে আর্জি জানান রাম মিলন।

আরও পড়ুন– বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসা বৃদ্ধি পেল ১৭ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট কী বলছে, জেনে নিন

তাঁর বাবা যশরথ বলেন, “অভিযুক্ত অপারেটর আমার ছেলেকে বিদেশে পড়শোনার জন্য পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কত টাকা লাগবে জানতে চাইলে সে জানায়, ১৮ লক্ষ টাকা লাগবে। আর সেই অর্থ জোগাড় করতে আমি আমার জমি বিক্রি করে দিই। এমনকী

‘‘গয়নাগাঁটি বন্ধক রাখতে বাধ্য হই। কিছু টাকা ধার করি। এভাবে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা জোগাড় হয়। অথচ ওই অপারেটর একটি ভুয়ো ভিসা ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের ছেলেকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে হয়।”

রাম মিলনের কথায়, “আমরা আইইএলটিএস-এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিলাম। অভিযুক্ত জানিয়েছিল এতে ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। কোনওক্রমে আমরা সম্পত্তি বেচে আর বন্ধক রেখে ওই টাকাটা জোগাড়ও করি। এরপর আমাদের ভিসা দেয়। আর টিকিটও পাই। কিন্তু দিল্লিতে পৌঁছনোমাত্রই সেখানে আমায় আটকে দেন অফিসারেরা। ফলে সেখান থেকে গ্রামে ফিরে পঞ্চায়েত বসানো হয়। আর পঞ্চায়েতে অভিযুক্ত জানায় যে, সে ওই টাকা আমায় ফেরত দেবে। কিন্তু যখন আমরা টাকা ফেরত নিতে যাই, তখন সে আমাদের ভয় দেখায় এবং হুমকি দেয়। ফলে বাধ্য হয়েই আমরা বিচারের জন্য পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছি।”

টেনিস খেলোয়াড় কন্যার জন্য কাতর আর্জি এক অসহায় বাবার; অথচ তাতেও মন গলল না বিমান সংস্থার

নয়াদিল্লি: সন্তানের ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য প্রায় তিন দিন ধরে কাতর অনুরোধ করছিলেন এক অসহায় বাবা। কিন্তু তাঁর সেই কাতর আর্তিতে কর্ণপাত করল না বিমান সংস্থা। এখানেই শেষ নয়, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং রতন টাটার কাছেও অনুনয়-বিনয় করেছিলেন ওই বাবা। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। এই বিষয়টা আসলে কী?

এই ঘটনাটি আবর্তিত হয়েছে নভজ্যোতি বৈশ্য এবং তাঁর টেনিস খেলায়াড় কন্যাকে ঘিরে। গত ২৮ জানুয়ারি দাম্মাম থেকে নভজ্যোতির কন্যা তাঁর মাকে নিয়ে দিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। তার জন্য তাঁরা চেপে বসেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই-৯১৪-য়। আসলে হরিয়ানার সোনিপতে এআইটিএ টেনিস টুর্নামেন্ট চলছে। সেখানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল নভজ্যোতির কন্যার।

আরও পড়ুন– রাশিফল ৪ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরবেলা আইজিআই বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন মা-মেয়ে। কিন্তু বিমান সংস্থার ভুলের কারণে তাঁদের সঙ্গে থাকা ব্যাগপত্র দাম্মাম বিমানবন্দরেই রয়ে গিয়েছিল। আর সেই কিট ছাড়া নভজ্যোতির কন্যা টুর্নামেন্টে যোগ দিতে পারত না। ব্যাগপত্র না পৌঁছনোয় দিল্লি বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মা-মেয়ে। এমনকী এয়ার ইন্ডিয়া প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সোনিপতে সঠিক সময়ে তাঁদের কাছে ব্যাগপত্র পৌঁছে যাবে। কিন্তু সেই কথা তারা রাখেনি। এরপর মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে মেসেজের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নভজ্যোতি।

আরও পড়ুন– ভারত-পাকিস্তান বর্ডারের নাম সীমা হায়দার! রাজস্থানি ছাত্রের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার উত্তর পড়ে মাথায় হাত শিক্ষকের

২৮ জানুয়ারি সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ নভোজ্যোতি লেখেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই ৯১৪-র ব্যাগপত্র দাম্মামেই রয়ে গিয়েছে। যার কারণে তাঁর কন্যা সোনিপতে এআইটিএ টেনিস টুর্নামেন্টে যোগ দিতে পারবে না। যার জেরে তার এই সফর ব্যাহত হবে। তাই ব্যাগপত্র রাতের মধ্যেই পাঠিয়ে সাহায্য করার আর্জিও জানান তিনি।

নভজ্যোতির এই মেসেজের জবাবে এয়ার ইন্ডিয়া লেখে যে, “আপনাদের অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। অনুগ্রহ করে আপনাদের মোবাইল নম্বর, ব্যাগ ট্যাগ নম্বর এবং পিআইআর কপি দিয়ে রাখুন। যাতে ব্যাগপত্র খুঁজতে সুবিধা হয়।”

নভজ্যোতির মেসেজের ৬ মিনিটের মধ্যে এই জবাব আসে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে। ফলে আত্মবিশ্বাস জাগে নভজ্যোতির মনে। তিনি ভাবেন, তাঁর মেয়ে সঠিক সময়ে টেনিস কিট পেয়ে যাবে। ফলে অনেক আশা নিয়ে বিমান সংস্থা যা যা তথ্য চেয়েছিল, সেগুলি সমস্ত দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু তার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও নভজ্যোতির কন্যার কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ পৌঁছয়নি। এর পরের দিন অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি পিআইআর-এ দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন নভজ্যোতি। অথচ ফোন বেজে যেতে থাকে। কেউ ফোন ধরেননি। ফলে কোনও জায়গা থেকেই সাহায্য পাওয়ার আশা একেবারে শেষ হয়ে যায়। এবার প্রচণ্ড আতঙ্ক-আশঙ্কা মনে নিয়ে দাম্মাম বিমানবন্দরে পৌঁছন ওই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পিতা।

তবে সৌভাগ্যবশত দাম্মাম বিমানবন্দরের এয়ারলাইন্স কর্মী নভোজ্যোতির কথা শোনেন। তাঁর কন্যা এবং স্ত্রীর ব্যাগপত্রের সন্ধান করে সেটা গালফ এয়ার ফ্লাইট জিএফ১৩০-এ চাপিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফের তিনি পিআইআর নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবারও কেউ ফোন তোলে না। চরম হতাশায় আরও একবার বিমান সংস্থার কাছে মেসেজ পাঠান। জানান যে, গালফ এয়ার ফ্লাইটে তাঁদের ব্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে। অনুগ্রহ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই মালপত্র তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হোক। কারণ তাঁর কন্যা টেনিস কিট না পাওয়া পর্যন্ত টুর্নামেন্ট খেলতে নামতে পারছে না।

আরও পড়ুন– পরপর মেয়ে হওয়ায় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, বিহারের রাজকুমারের মেয়েদের সাফল্য দেখে সবাই ভগবানের কাছে এমন সন্তানই চাইছে

নভোজ্যোতির এই মেসেজের জবাবে এয়ার ইন্ডিয়া জানায় যে, “আমরা আপনার হতাশার কারণ বুঝতে পারছি। আমরা ইতিমধ্যেই গুরুত্ব সহকারে আপনার সমস্ত তথ্য সঠিক টিমের সঙ্গে শেয়ার করেছি। কোনও আপডেট আসামাত্রই আমরা আপনাকে জানাচ্ছি।” অথচ এর পর সময় কেটে যায়, কিন্তু এয়ার লাইন্সের তরফে আর কোনও জবাব আসেনি। আর কোনও উপায় না দেখে এবার নভজ্যোতি লেখেন, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা যে পোশাক পরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, গত তিন দিন ধরে সেই পোশাকেই রয়েছেন। ওই দিনই মেয়ের টেনিস টুর্নামেন্ট ম্যাচ। আর সে তার টেনিস কিটের জন্য অপেক্ষা করছে। তাঁদের জিনিসপত্র কোথায় রয়েছে, তার আপডেট দেওয়া হোক।

সমস্ত রকম প্রয়াসের পরেও বিমান সংস্থার তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। অবশেষে গোটা বিষয়টা ট্যুইট করে জানান নভজ্যোতি। সেখানে তিনি ট্যাগ করেছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ডিজিসিএ, এয়ার ইন্ডিয়া, রতন টাটা এবং টাটা গোষ্ঠীকেও।