Report: Shehzad Rao
বাগপত, উত্তর প্রদেশ: বর বিয়ে করতে যায় কনের বাড়ি। কিসে যায়? বেশিরভাগ সময়েই চার চাকা গাড়িতে। ফুল, মালায় সাজানো হয় বরের গাড়ি। অনেকে ঘোড়ায় চড়েও যান। বিশাল শোভাযাত্রা সহকারে ঢোল, নাগাড়া বাজাতে বাজাতে উপস্থিত হন বিয়ের মণ্ডপে। কিন্তু যদি বলা হয়, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এসেছে বর, তাহলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
এমনটাই ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বাগপতে। বর দুধের ব্যবসায়ী। ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ভাড়া করে ফেলেন আস্ত হেলিকপ্টার। তাতে চড়েই গাজিয়াবাদ থেকে বিয়ে করতে যান মাভিকালান গ্রামে। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারেই ফেরেন। এমন কাণ্ড দেখে তাজ্জব গ্রামবাসীরা।
হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিলেন বর। মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামের তো আর রোজ রোজ হেলিকপ্টার আসে না। তাই ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরাও। তাঁদের রথ দেখা আর কলবেচা দুইই হয়েছে। বর তো দেখেইছেন সঙ্গে হেলিকপ্টারও।
মাভিকালান গ্রামের শ্যাম সিংয়ের মেয়ে প্রতিভা দিল্লিতে চাকরি করেন। পেশায় নার্স। তাঁর সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন গাজিয়াবাদের ইন্দ্রপুরীর বাসিন্দা দুধ ব্যবসায়ী অমর সিংয়ের ছেলে বীরেন্দ্র। হেলিকপ্টারে চেপেই বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছন তিনি। ধুমধাম করে বিয়ে হয়। তারপর নববধূকে নিয়ে চড়ে বসেন হেলিকপ্টারে।
হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য ইন্টার কলেজের মাঠে হেলিপ্যাড বানানো হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। তখন থেকেই কৌতূহল ছিল গ্রামবাসীদের। মুখে মুখে চাউর হয়ে গিয়েছিল, বর হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে আসবে। দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন গ্রামবাসীরা। বিয়ের পরদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় করেন কলেজ মাঠে। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান দীপক কুমার বলেন, “আমাদের গ্রামে এই প্রথম কেউ হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এল। এর আগে আমরা আকাশেই হেলিকপ্টার দেখেছি। এই প্রথম চাক্ষুষ করলাম। স্বাভাবিকভাবেই সবাই উত্তেজিত ছিল।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, আগে থেকেই সব অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাহিনীও মজুত ছিল। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।