বীজতলা থেকে চারা তোলা হচ্ছে 

গোবিন্দ ভোগ ধানের চাষ করতে পারলেই কৃষক মালামাল! শুধু মানতে হবে এই নিয়ম

মালদহ: ফলন কম। তাই বর্তমানে কৃষকেরা এই ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এমনকি এই ধান চাষ করতে প্রচুর পরিশ্রম প্রয়োজন। বর্তমান যুগে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ শুরু হয়েছে। সেগুলিতে কম পরিশ্রমে ফলন প্রচুর মিলছে। লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। তাই বাংলার মাটিতে ক্রমশ চাষ কমে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গোবিন্দভোগ ধানের।

এক সময় গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে প্রচুর চাষ হয়েছে এই ধান। কিন্তু বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় এই ধান। কৃষকেরা চাষে আগ্রহ হারালেও বাজারে এই ধানের চাহিদা প্রচুর বাড়ছে। এমনকি অনান্য উচ্চ ফলনশীল ধানের থেকে কয়েকগুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই ধান। তাই ঐতিহ্যবাহী এই ধানের চাষ টিকিয়ে রাখতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কৃষি দফতর। গত বছর মালদহ জেলায় এই ধান চাষ করানো হয়েছিল কৃষকদের।

আরও পড়ুন: পুজো থেকে সাজসজ্জা, যে কোনও অনুষ্ঠানে লাগে এই ফুল, চাষ করে মালামাল কৃষক

এই বছর আবারও কৃষকের মধ্যে গোবিন্দ ভোগ ধানের চাষে আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের মধ্যে এই ধানের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এমনকি আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে চাষ হবে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মালদহ জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, গোবিন্দভোগ ধান প্রায় বিলুপ্তি প্রায়। মালদহ একসময় ভাল চাষ হতো এই ধানের। ফলন কম তাই কৃষকের আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে বাজারের দাম রয়েছে। তাই কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্য বীজ প্রদান করা হচ্ছে।

মালদহ জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মরশুমে মালদহ জেলার সদর মহাকুমার গাজোল, হবিবপুর ও বামোনগোলা ব্লক। অপরদিকে চাঁচল মহাকুমার চাঁচল-১,২ ও হরিশ্চন্দ্রপুর -১,২ ব্লকে এই ধান চাষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই এলাকার কৃষকদের মধ্যে ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। দুই মহাকুমা মিলিয়ে ১০০ হেক্টর জমিতে এই বছর গোবিন্দ ভোগ ধানের চাষ করানো হচ্ছে কৃষকদের দিয়ে।

আরও পড়ুন: কর বাঁচাতে ট্যাক্স সেভিংস FD-তে বিনিয়োগ করছেন? কোন ব্যাঙ্ক সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে দেখে নিন

ফলন কম হলেও এই ধানের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সেই বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। এমনকি এই ধান শুধুমাত্র জৈব সার দিয়ে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। এতে ধানের ফলন কিছুটা হলেও ভাল হবে উপকৃত হবেন কৃষকেরা। আগামীতে এই ধানের চাষ কৃষকেরা ব্যাপকভাবে শুরু করলে লাভবান হবে বলে মনে করছেন কৃষি দফতরের কর্তারা। কারণ এই ধানের দাম বাজারে কয়েক গুণ বেশি।

হরষিত সিংহ