Tag Archives: Agriculture

Farmer Death: নাতিরা দৌড়ে চলে এলেও পারল না দাদু, বজ্রপাতে ফের কৃষকের মৃত্যু

মুর্শিদাবাদ: ফের বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক কৃষকের। সুতির মহিশাইল গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই কৃষক তাজেল শেখ (৫১) চাষের জমিতে শসা তুলতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ওই কৃষকের।

মৃত কৃষকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন রোজ‌ সন্ধেতে ক্ষেত থেকে শসা তুলতে যান তিনি। দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবারও একই কাজে গিয়েছিলেন। হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে দুই নাতিকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনাও দেন তাজেল। বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে চাননি। কিন্তু ছোট দুই নাতি ছুটে বাড়ি চলে গেলেও হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর জখম হন ওই কৃষক।

আরও পড়ুন: ফ্রিজের জল ছাড়ুন, গরমে মাটির কলসির জল পানে এতগুলো উপকার পাবেন

সঙ্গে সঙ্গে পরিজন ও গ্রামবাসীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাজেল শেখ-কে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সুতি থানার পুলিশ। ওই কৃষকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে বজ্রপাতের জেরে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় বেশ ভীত কৃষকরা।

কৌশিক অধিকারী

Bio Village: বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে সুন্দরবনে বায়ো ভিলেজ, গড়ে উঠছে মডেল গ্রাম

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে গড়ে উঠছে বায়ো ভিলেজ, তৈরি হচ্ছে ভার্মিকম্পোস্ট। পূর্ব ও পশ্চিম জটার বায়ো ভিলেজে কৃষকদের ভার্মিকম্পোস্ট পিট সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। জমির স্বাস্থ্যকে অক্ষুন্ন রেখে বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করাই লক্ষ্য এই প্রকল্পের।

সেজন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের পর তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৭৫০ টি ভার্মিকম্পোস্ট পিট। কেমন হয় এই ভার্মিকম্পোস্ট পিটগুলি? একটি জায়গাকে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে পচনশীল বর্জ্য ফেলে এই পিট তৈরি করা হচ্ছে। কৃষকরা তার জন্য নিজেদের জায়গাকে ব্যবহার করছে। এর থেকে সার তৈরি করতে সময় লাগছে পাঁচ থেকে ছয় মাস। এরপর সেই সার নিজেদের জমিতেই ব্যবহার করছে কৃষকরা। বায়ো ভিলেজের মধ্যে এই কাজ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর পালিত মা-বাবাকে ছেড়ে ঘরে ফিরল যুবক

কৃষকদের মধ্যে কেউ কেউ খুলিতে কেঁচো সার চাষ করছে। এগুলি কৃষকরা ব্যবহার করে বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই পিট থেকে উৎপাদিত সার বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই বায়ো ভিলেজ ভবিষ্যতে মডেল গ্রাম হিসাবে গড়ে উঠবে এ নিয়ে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। তাঁদের পক্ষ থেকে সৌরভ কয়াল জানান, তাঁদের ইচ্ছা বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করা। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

নবাব মল্লিক

Lightning Death: আর পাঁচটা দিনের মত মাঠে কাজে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না যুবকের, বৃষ্টি আসতেই সব শেষ

পূর্ব মেদিনীপুর: আর পাঁচটা দিনের মত মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না গৌতম জানার। দুপুরের ঘনিয়ে আসা কালো মেঘ অন্ধকারে ঢেকে দিল তাঁর গোটা পরিবারকে। এই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।

সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখে চাষের ক্ষেতে রোজের মত কাজ করতে গিয়েছিল গৌতম। কিন্তু দুপুরের পর কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। সঙ্গে শুরু হয় ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। বাড়ি ফেরার আগেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-২ ব্লকের খাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়ুই পশ্চিমসাই গ্রামে।

আরও পড়ুন: ব্যাপক উৎসাহ নতুন ভোটারদের, সোশ্যাল মিডিয়া ভরল প্রথমবার ভোট দানের ছবিতে

বর্তমানে বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাত হচ্ছে। তাতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। নিজের বাদাম ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে গৌতম জানারও মৃত্যু হল। বছর ৩৮-এর গৌতমবাবুর বাড়িতে স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানেরা রয়েছে।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদাম চাষের মাঠে কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়েছিলেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ বজ্রবিদ্যুত সহ ঝড় বৃষ্টি নামে। ঝড় বৃষ্টি থেমে গেলেও দীর্ঘক্ষণ গৌতম বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা বাদাম চাষের ক্ষেতে গিয়ে দেখতে পান, চাষের ক্ষেতের মধ্যেই লুটিয়ে পড়ে রয়েছে তিনি। বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা মিলে মাঠ থেকে গৌতমের ঝলসানো দেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পটাশপুর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সৈকত শী

Spine Gourd Cultivation: মোটা আয়ের হাতছানি! ধান, পাট ছেড়ে কাঁকরোল চাষে মজেছেন কৃষকরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ধান বা অন্যান্য সবজি চাষ ছেড়ে এখন কাঁকরোল চাষের ঢেউ নেমেছে বাদুড়িয়ায়। তাতে কৃষকদের লাভের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ঋতুভিত্তিক চাষের প্রথা ক্রমশই কমছে এই এলাকায়।

গ্রীষ্মকালীন পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম কাঁকরোল। যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফসল। এই সবজিটি গ্রীষ্মকালে বাজারে বহুল প্রচলিত। তবে বসিরহাটের বাদুড়িয়ার চাষিরা চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষ প্রথা ছেড়ে এখন কাঁকরোল চাষে জোর দিচ্ছেন। সবজি ক্ষেতে গেলে দেখা যাবে বাগান ভর্তি সবুজ কাঁকরোল গাছের সমাহার। মাচার উপর শতাংশে গাছের নিচে শোভা পাচ্ছে পরের পর কাঁকরোল।

আরও পড়ুন: এই গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে যেতে হয়

ধান, পাটের ঋতুভিত্তিক চাষে খরচ ও পরিশ্রম অনেকটাই বেশি থাকে। সেখানে কাঁকরোল চাষে একবার চারা গাছ রোপন করলে বহুদিন ধরে ফল পাওয়া যায়। হাইব্রিড প্রজাতির কাঁকরোলের ফলন ভাল হওয়ায় আয়‌ও ভাল হচ্ছে কৃষকদের। হাইব্রিড জাতের কাঁকরোল চাষে কৃষিতে ভাল ফলন ধরেছে। কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সবজি কাঁকরোল চাষ করে ভাল দাম পাচ্ছেন। অধিকাংশ জমিতেই মাচায় চাষ করা হয়েছে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, সব ধরনের মাটিতেই কাঁকরোল চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ, এঁটেল-দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য বেশি উপযুক্ত। জল জমে না, উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি এই চাষের জন্য দরকার। চাষের আগে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাচা তৈরি করতে হবে। এরাম কতগুলো সহজ বিষয়ে মাথায় রাখলে কাঁকরোল চাষ করে আপনার ভাল আয় হতে পারে।

জুলফিকার মোল্যা

Agriculture Science: উচ্চ মাধ্যমিকের পর কী বিষয় নিয়ে পড়বেন? আর চিন্তা নেই, রয়েছে ভবিষ্যৎ গড়ার দারুণ সুযোগ 

বসিরহাট: আমাদের রাজ্য তথা দেশ কৃষিভিত্তিক। দিনের পর দিন কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়ে নতুন নতুন পদ্ধতিতে চাষের ধরণও বেড়েছে। অনেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন তা বুঝতে পারেন না। বর্তমানে কৃষিবিজ্ঞান তথা এগ্রিকালচার সায়েন্স একটি উদীয়মান বিষয়। উচ্চ মাধ্যমিকের পর প্রথাগত স্নাতক কোর্সের পরিবর্তে পেশাদারি কোর্স করলে খুব তাড়াতাড়ি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে পড়াশোনার পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকে। তাই উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পাশ করে কৃষিবিদ্যা নিয়ে পড়ার সুযোগ মেলে।

বর্তমানে অনেক ছাত্রছাত্রী কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে হাঁটছেন। এগ্রিকালচার নিয়ে পড়ে হরেক ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পরে বিভিন্ন সরকারি বিবাগে কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কৃষি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে ফিল্ড অফিসার, রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং এগ্রিকালচার অ্যান্ড প্রোবেশনারি অফিসার হিসেবে কাজ পাওয়া যায়। পশাপাশা এই বিষয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাজের সুযোগ রয়েছে বীজ সংস্থায়।এখানে সিড অফিসার ছাড়াও গবেষক হিসেবে কিংবা বিভিন্ন টেকনিক্যাল ক্ষেত্রেও কাজের সুযোগ মেলে।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

কোথায় পড়া ‌যাবে কৃষিবিদ্যা

  • বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  • উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  • পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়,
  • সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি,
  • ব্রেনওয়ার ইউনিভার্সিটি,
  • বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি,
  • স্বামী বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটি,
  • সিকম স্কিল ইউনিভার্সিটির

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষিবিদ্যা নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে। ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি থাকলেই কৃষিবিদ্যা নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়া যাবে।

জুলফিকার মোল্যা

Vegetable Cultivation: মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি! গরম বাড়ায় চাষির পেটে কিল

মুর্শিদাবাদ: তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা। এবার বৈশাখে কালবৈশাখীর দেখা নেই। উল্টে সূর্যের তীব্র তাপে চারদিক যেন ঝলসে যাচ্ছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে চাষাবাদেও। ফলে মাথায় হাত সবজি চাষিদের।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে মারাত্বক সঙ্কটে পড়েছেন হরিহরপাড়ার দস্তুরপাড়া, শ্রীহরিপুর, হোসেনপুর মাদারতলা রায়পুর সহ বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা। গরমে ঝলসে মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজি।

আর‌ও পড়ুন: একটা বনসাইয়ের দাম ১০ লক্ষ টাকা! বাংলাতেই আছে সেই বিরল বাগান

কৃষকরা জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পটল, বেগুন, করলা, লঙ্কা, শসা সহ বিভিন্ন সবজি গাছ জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য সরকারি সাহায্যের আরজি জানান চাষিরা। কৃষকরা এও জানান, এত বেশি তাপমাত্রা মুর্শিদাবাদ জেলাতে আগে কোনওদিন লক্ষ্য করা যায়নি। এবার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রিতে সেলসিয়াসেও পৌঁছে গিয়েছিল। এর ফলে পটল, ঝিঙে, করলার মত সমস্ত সবজি মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘরে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। তীব্র তাপদাহে বার বার জল দিলেও মাটি শুকিয়ে ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড গরমে খাল, নদী, নালা শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের জন্য পর্যাপ্ত জলও পাওয়া যাচ্ছে না

চাষিদের পাশাপাশি চিন্তায় পড়ছে জেলা কৃষি এবং উদ্যাণ পালন দফতরও। রাজ্য থেকে জেলার কৃষি কর্তারা সকলেই মানছেন, তীব্র দাবদাহে ক্ষতির একটা আশঙ্কা তো থাকেই। জেলায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ চড়েছে ভালোই। ৪১-৪২-৪৩ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামছে না। তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্যাণ পালন দফতরের এক কর্তা বলেন, সবজি চাষ এত তাপমাত্রার জন্য ক্ষতি হবে এটা খুব স্বাভাবিক।

কৌশিক অধিকারী

Nadia News: সোমবারেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির! দুশ্চিন্তার কালো মেঘ চাষিদের কপালে

কৃষ্ণগঞ্জ: চাষাবাদ করা দুর্বিসহ হয়ে উঠছে তীব্র দাবদাহে।রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে জেলা জুড়ে চলছে প্রবল খড়া। বৃষ্টির দেখা নেই। জমিতে চাষের ফসল পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন জলস্তর ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে তেমনি অনাবৃষ্টিতে চাষীদের ফসল প্রায় ধ্বংসের মুখে। জেলা জুড়ে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও মাঠে থেমে নেই চাষিদের কাজ। গাছ রোপন থেকে শুরু করে জমির পরিচর্যা সবই চলছে এই দাবদাহের মধ্যে।যদিও বলা হয়েছিল আবহাওয়া দফতর সূত্রে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি নামবে। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও নেমেছে। যার ফলে স্বস্তি মিলেছে বঙ্গবাসীর।

আরও পড়ুন: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল

তবে পারদ নামলেও বৃষ্টির আকাল এখনও রয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে চাষিদের। ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষিদের। এটাই যে তাদের প্রধান রুটি রুজি। আর বৃষ্টি না হলে একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতি, অন্যদিকে ঋণ ধার করে চাষাবাদ করা সেগুলি একেবারে জলে চলে যাবে।। প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হবে চাষিরা। আর এমনই দুশ্চিন্তার ছবি দেখা গেল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায়। সেখানকার চাষিদের বক্তব্য একটাই বৃষ্টি চাই। না হলে পরিবার নিয়ে পথে বসে যেতে হবে। এমন খরায় কোনও ফসল টেকানো যাচ্ছে না। তাই ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা বৃষ্টি চাই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Agriculture Tips: খরচ নামমাত্র, এই পদ্ধতিতে চাষ করে লাখ-লাখ টাকা লাভ করছেন কৃষকরা, আপনিও জেনে নিন লাখোপতি হবার উপায়

বর্তমানে কৃষকরা ইন্টার ক্রপিং চাষবাসের মাধ্যমে একসঙ্গে একাধিক ফসল ফলাতে পারেন। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষি পদ্ধতি। যেখানে একই জমির একই ক্ষেতের মধ্যে দুই বা তার বেশি ফসল একসঙ্গে চাষ করা সম্ভব।
বর্তমানে কৃষকরা ইন্টার ক্রপিং চাষবাসের মাধ্যমে একসঙ্গে একাধিক ফসল ফলাতে পারেন। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষি পদ্ধতি। যেখানে একই জমির একই ক্ষেতের মধ্যে দুই বা তার বেশি ফসল একসঙ্গে চাষ করা সম্ভব।
ইন্টার ক্রপিং চাষের কৌশল কিন্তু মিশ্র চাষের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এই কৌশলের ক্ষেত্রে দু’টি ফসল চাষ করা হয়, যাতে একটি ফসলের ফলন তেমন না হলে অন্য ফসলের উৎপাদন অটুট থাকে।
ইন্টার ক্রপিং চাষের কৌশল কিন্তু মিশ্র চাষের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এই কৌশলের ক্ষেত্রে দু’টি ফসল চাষ করা হয়, যাতে একটি ফসলের ফলন তেমন না হলে অন্য ফসলের উৎপাদন অটুট থাকে।
একসঙ্গে জন্মানো ফসলকে ‘কম্প্যানিয়ন ক্রপ’ বলা হয়। আর ইন্টার ক্রপিং পদ্ধতিতে চাষের অনেক সুবিধাও রয়েছে। আর এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, লাভের জন্য নির্দিষ্ট কোনও মরশুমের অপেক্ষায় আর বসে থাকতে হবে না কৃষকদের। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা সারা বছরই ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
একসঙ্গে জন্মানো ফসলকে ‘কম্প্যানিয়ন ক্রপ’ বলা হয়। আর ইন্টার ক্রপিং পদ্ধতিতে চাষের অনেক সুবিধাও রয়েছে। আর এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, লাভের জন্য নির্দিষ্ট কোনও মরশুমের অপেক্ষায় আর বসে থাকতে হবে না কৃষকদের। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা সারা বছরই ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
জায়গায় জায়গায় ইন্টার ক্রপিং পদ্ধতির মাধ্যমে তরমুজ, পেয়ারা ও খরমুজ চাষ করছেন একজন কৃষক। আর এই পদ্ধতিতে চাষবাস করে ওই কৃষক খরচ অনুযায়ী বেশ ভালই লাভ পাচ্ছেন। যার জন্য তিনি কয়েক বছর ধরে চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করছেন।
জায়গায় জায়গায় ইন্টার ক্রপিং পদ্ধতির মাধ্যমে তরমুজ, পেয়ারা ও খরমুজ চাষ করছেন একজন কৃষক। আর এই পদ্ধতিতে চাষবাস করে ওই কৃষক খরচ অনুযায়ী বেশ ভালই লাভ পাচ্ছেন। যার জন্য তিনি কয়েক বছর ধরে চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করছেন।
উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি জেলার মহন্দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক চন্দন এক বিঘা জমিতে ইন্টার ক্রপিং পদ্ধতিতে পেয়ারা, তরমুজ ও খরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। তাতে তিনি ভাল লাভও পেয়েছেন। এখন প্রায় ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ, পেয়ারা, লঙ্কা ও খরমুজ চাষ করছেন। এই চাষ থেকে তিনি প্রতি বছর প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাভ করছেন।

উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি জেলার মহন্দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক চন্দন এক বিঘা জমিতে ইন্টার ক্রপিং পদ্ধতিতে পেয়ারা, তরমুজ ও খরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। তাতে তিনি ভাল লাভও পেয়েছেন। এখন প্রায় ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ, পেয়ারা, লঙ্কা ও খরমুজ চাষ করছেন। এই চাষ থেকে তিনি প্রতি বছর প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাভ করছেন।
ওই কৃষক জানান যে, “প্রায় ৬ বিঘা জমিতে ইন্টার ক্রপিংয়ের মাধ্যমে পেয়ারা-সহ তরমুজ ও খরমুজ তো চাষ করছিই। আসলে তাইওয়ান পিঙ্ক গুয়াভা চাষ হয়ে গেলে সেই জমিতেই আমরা তরমুজ, খরমুজ এবং লঙ্কা গাছ লাগিয়েছি। এক বিঘায় এই চাষে খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর লাভ প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।”
ওই কৃষক জানান যে, “প্রায় ৬ বিঘা জমিতে ইন্টার ক্রপিংয়ের মাধ্যমে পেয়ারা-সহ তরমুজ ও খরমুজ তো চাষ করছিই। আসলে তাইওয়ান পিঙ্ক গুয়াভা চাষ হয়ে গেলে সেই জমিতেই আমরা তরমুজ, খরমুজ এবং লঙ্কা গাছ লাগিয়েছি। এক বিঘায় এই চাষে খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর লাভ প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।”

Siliguri News: গরমের মধ্যেও ছাদবাগানের টবে আপেল ফলিয়ে চমক আইনজীবীর! কী করে সম্ভব!

শিলিগুড়ি: ছাদ বাগানে আপেল ফলিয়ে চমক শিলিগুড়ির এই আইনজীবীর। অনেকেই ভাবছেন আপেল তো শীতকালীন ফল। কিন্তু আমাদের এই গরমের জায়গায় কী করে আপেল করবেন? কিন্তু আপনার যদি ছাদ বাগানের শখ থাকে তাহলে আপনিও আপনার ছাদে টবের মধ্যে চাষ করে আপেল ফলিয়ে পাড়া পড়শিকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের বিকল্প চাষে আর্থিক ভাবে উৎসাহিত করে তুলতে পারেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন শিলিগুড়ির এক আইনজীবী পরিতোষ ঘোষ। কলেজ পাড়ায় পরিতোষ বাবুর ছাদবাগানে লাল টুসটুসে আপেল দেখলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও।

আরও পড়ুনঃ যখন-তখন নয়, গরমে রোজ ‘এই’ সময় স্নান করুন! সারাদিন শরীর থাকবে বরফের মত ঠান্ডা

ভারতের আপেল মানেই প্রথমেই আসে ভূস্বর্গ কাশ্মীরের নাম। শীতপ্রধান অন্য অঞ্চলেও আপেল হয় কিছু কিছু। কিন্তু উষ্ণ অঞ্চলে কমলা ফললেও আপেল ফলার কথা প্রায় শোনাই যায় না। যদিও সমস্ত প্রজাতির আপেল এই গরম আবহাওয়াতে হয়না। তবে কিছু কিছু প্রজাতির চাষ এখন করা সম্ভবপর বলে মনে করছেন নিজের ছাদ বাগানে আপেল ফলিয়ে ফেলা পরিতোষ বাবু। পরিতোষ বাবু দীর্ঘ চার বছর ধরে তার ছাদ বাগানে এই আপেল চাষ করছেন। \”HRMN99\”প্রজাতির থাইল্যান্ডের আপেলের চারা তিনি বাংলাদেশ থেকে অর্ডার দিয়ে আনিয়েছেন বলে জানান তিনি। পরিতোষ বাবুর ছাদ বাগানের শোভা বাড়িয়েছে বানানা ম্যাঙ্গো , বাতাবি লেবু, কামরাঙা, জাম্বো ড্রাগন ফ্রুট আরও নানান গাছ।

পরিতোষ বাবু বলেন, \”বাগানের শখ আমার ছোটবেলা থেকেই। ভোর সাড়ে পাঁচটায় উঠে আমি সকালে একবার ছাদ বাগানের পরিচর্যা করি আবার বিকেল বেলায় নিয়ম করে পাঁচটার দিকে উঠে গাছ পরিচর্যা করি। \” এই জলবায়ুতেও যে আপেল চাষ করা যায় তার প্রমাণ হাড়ে হাড়ে পেয়েছেন তিনি। তার এই আপেল চাষ দেখে যদি বেকার যুবক ও স্থানীয় কৃষকরা বিকল্প চাষ হিসেবে এই আপেল চাষ করতে উৎসাহিত হয়ে আগ্রহী হতে চায় তাহলে তিনি সর্বতো ভাবে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।

অনির্বাণ রায়

International Labour Day 2024: কাজ না করলে ভাত জুটবে না! মে দিবসের তাৎপর্য ‘ব্যর্থ’ কৃষকদের কাছে

উত্তর ২৪ পরগনা: গ্রীষ্মের এই প্রখর দাবদাহের মধ্যেও কাজ করে যেতে হচ্ছে। শরীর ক্লান্ত লাগলেও বিশ্রাম নেওয়ার উপায় নেই। আন্তর্জাতিক শ্রমদিবসের দিন এটাই বড় আক্ষেপ হতভাগ্য কৃষকদের। মে দিবসে যখন সর্বত্র শ্রমিকের, কর্মীর অধিকার নিয়ে চর্চা হচ্ছে তখন এই বাংলার কৃষকরা যেন সবকিছু থেকেই বঞ্চিত।

প্রতিবছরের মতে এবারেও ১ মে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু এই দিনটি সম্পর্কে সত্যিই কি অবগত শ্রমজীবী মানুষ? পয়লা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিকরা কাজের বিরতি নিয়ে এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করলেও ছুটি নেই বসিরহাটের মিনাখাঁর ক্ষেত মজুর ও কৃষকদের।

আর‌ও পড়ুন: অঙ্গন‌ওয়াড়ি কেন্দ্র না শাসকদলের অফিস? খোলা আকাশের নিচেই হচ্ছে শিশুদের রান্না

কথা বলে দেখা গেল বেশিরভাগ কৃষকই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের গুরুত্ব, তাৎপর্য সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন। এই অসহায় মানুষগুলো একটা সহজ জিনিস ধরে নিয়েছেন, কাজ করলে তবেই পেটে দুটো ভাত জুটবে। কিন্তু একটা মানুষের যেমন কাজ করা প্রয়োজন তেমনই তাঁর জীবনে বিশ্রাম, বিনোদনের দরকার আছে সেগুলো পরিস্থিতির চাপে বেমালন ভুলে গিয়েছেন এই কৃষকরা। আর তাই টানা তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোদ্দুরে পুড়ে জমিতে কাজ করছেন। ওঁরা এইভাবে উদায়স্ত খাটছেন বলেই পেটে ভাত জুটছে আমাদের।

জুলফিকার মোল্যা