কলকাতা: শ্যামপুকুরে দলের যুব নেতাকে তৃণমূল কাউন্সিলরের চড় মারার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷ কোনও রাজনৈতিক রং না দেখেই এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল সূত্রে খবর৷ বারংবার কাউন্সিলর সহ দলের নিচু তলার নেতা, কর্মীরা বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে যেভাবে দলকে অস্বস্তিতে ফেলছেন, তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷
পাশাপাশি, এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের যে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷ চড় মারায় অভিযুক্ত মহিলা কাউন্সিলরের পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত দলের যুবনেতার ভূমিকাতেও অসনতুষ্ট শাসক দল৷ কোনওরকম বিতর্কিত কাজেই দল যে কোনওরকম মদত করবে না, সেই বার্তাও এবার নিচুতলায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: প্রেমিকার আবদার, স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে খুন যুবকের! ৪৮ দিন পর ধরিয়ে দিল সিরিঞ্জ
গতকাল ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কলকাতা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকার দলেরই এক যুবনেতাকে সপাটে চড় মারছেন৷ যে যুবনেতাকে তিনি চড় মারেন, তাঁর নাম কেদার দাস৷ তিনি আবার ওই ওয়ার্ডেরি তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি৷ ভিডিওতেও দেখা গিয়েছে, কেদার দাসকে সপাটে চড় মারছেন সুনন্দাদেবী৷
ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযোগ উভয় পক্ষই পরস্পরের দিকে ইট, লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়৷ ঘটনায় আহত হন কাউন্সিলরের স্বামী৷ এরপরেই বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড়তলা থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন কেদার দাস৷ থানার বাইরে দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ দেখান তার অনুগামীরা৷ তাদের অভিযোগ এলাকায় তোলাবাজির প্রতিবাদ করাতেই তাদের উপর হামলা হয়েছে৷ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর৷ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, কেদার দাস ও তার অনুগামীরা অশান্তি করে, তোলাবাজি করে এলাকায়। দু পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে এলাকায় সাট্টা, জুয়ার কারবার চালানোয় মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ আনে৷
এ দিন সকালেও এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত ছিল ওই এলাকা৷ এক পুলিশকর্মীর উপরে দুষ্কতী হামলারও অভিযোগ ওঠে৷ তার পরেই এলাকায় ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ৷ গ্রেফতার করা হয় চার জনকে৷ আড়িয়াদহ, বারুইপুরের মতো শ্যামপুকুরের ঘটনাতেও চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷ ফলে অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জনমানসে ইতিবাচক বার্তা দিতে চায় রাজ্যের শাসক দল৷