কলকাতা: একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতাকর্মীদের জন্য জরুরি বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দেবেন, দলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। লোকসভা ভোটে জয়ের পরে ঢিলেঢালা মনোভাব কাম্য নয়। সময় এখন সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার। জয় অবশ্যই উপভোগ করার। কিন্তু একটা ভোটে জিতে সব পেয়ে গেছি মনোভাব নিয়ে বসে থাকলে ভুল হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বর বার্তা থাকতে চলেছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে। ২৪ এর ২১ জুলাই থেকে ২৬ লড়ার প্রস্তুতি শুরু হবে।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার বার্তা দেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলকে আরও বেশি করে জনমুখী করার বার্তা। পারফরম্যান্স দেখেই পদ। পুরানো-নতুন ভারসাম্য রেখেই চলতে হবে। জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করার বার্তাও দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ফেরানো হয়েছে ৭৭৮ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে, যোগাযোগ বাকি ৪০০০ জনের সঙ্গেও
দলীয় শৃঙ্খলাই শেষ কথা। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত। সাম্প্রতিক সময়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বাঁকুড়ার ঘটনা তার প্রমাণ। লোকসভায় একাধিক আসন পেয়ে ঘরে বসে থাকলাম তা চলবে না। দল একাধিক কর্মসূচী নিচ্ছে। তার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে জনসংযোগ করায় কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। পারফরম্যান্স শেষ কথা। পদ আঁকড়ে বসে থাকলাম, আর ফল দিতে পারলাম না, এটা চলবে না। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে সাংগঠনিক নেতা। প্রত্যেকে কে কী কাজ করছেন? তার মূল্যায়ন করবে দল।
নেতা ধরে পদোন্নতি নয়৷ কাজ হবে দলীয় পদোন্নতি ও ভোটে লড়ার মাপকাঠি। বেশি করে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। দলের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে। সাংসদ হয়ে গেলাম মানে দিল্লি অভিমুখে চলে গেলাম, তা নয়৷ নিজের সংসদীয় এলাকায় নিয়মিত সময় দিতে হবে। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে থাকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দাদাগিরি না-পসন্দ। বিভাজনের রাজনীতি নয়, উন্নয়নের অস্ত্রেই বাজিমাত করা হবে।