Tag Archives: 21 July Rally

Mamata Banerjee: দিল্লির সরকার স্থায়ী নয়, যে কোনও দিন পতন! দাবি মমতার, দেখুন ভিডিও

নরেন্দ্র মোদির সরকারের পতন যে কোনও দিন ঘটতে পারে৷ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ফের এই দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের কথায় সমর্থন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,দিল্লির সরকার স্থায়ী নয়৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তারা৷ মমতা বলেন, ‘দিল্লিতে যে সরকার এজেন্সি, ইলেকশন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সেই সরকার স্থায়ী নয়৷ যে কোনও দিন পড়ে যাবে৷’

Mamata Banerjee: ‘গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে গ্রামে ঘুরুন!’ হেরে যাওয়া এলাকার নেতাদের পরামর্শ মমতার

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয় এসেছে৷ কিন্তু এখন থেকেই ২০২৬-এর প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যার প্রথম ধাপ হিসেবে লোকসভা ভোটে যে এলাকাগুলিতে তৃণমূল হেরেছে, সেখানে মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হতে দলের নেতা, কর্মীদের পরামর্শ দিলেন তৃণমূলনেত্রী৷

এ দিন একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ মঞ্চ থেকে দলের নেতা, কর্মীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূলনেত্রীর পরামর্শ, হেরে যাওয়া এলাকায় গিয়ে মানুষের কাছে ভুলের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমা চাইতে হবে৷ পাশাপাশি দলের নেতাদের গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে গ্রামে ঘোরার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আরও পড়ুন: ‘কোনও অসহায় মানুষ যদি দরজা খটখটায়…’, বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার

তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘যেখানে আমরা জিতিনি, সেখানে গিয়ে মানুষকে গিয়ে বলবেন, আমাদের ক্ষমা করবেন৷ হয়তো আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতায় খামতি ছিল৷ ভবিষ্যতে যাতে তা না হয়, আমরা দেখব৷ মনে রাখবেন, গাড়িতে ঘোরার চেয়েও পায়ে হেঁটে গ্রামে ঘোরা ভাল৷ তাতে শরীর, মন ভাল থাকে৷ বড় বড় গাড়িতে ঘোরার থেকে স্কুটারে ঘোরা ভাল, সাইকেলে ঘোরা ভাল৷’

এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বার বারই দলের নেতাদের কোনওরকম অন্যায়, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন মমতা৷ স্পষ্ট হঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে দলের কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে৷ জনপ্রতিনিধিা মানুষকে পরিষেবা না দিলে তাঁদের সঙ্গেও সম্পর্ক ছেদ করবে দল৷

লোকসভা নির্বাচনে গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভাল ফল করলেও উত্তরবঙ্গ নিয়ে তৃণমূলের চিন্তা দূর হয়নি৷ মালদহের মতো জেলায় ব্যর্থতার জন্য হতাশাও শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়৷ তবে একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গেও ভাল ফল করবে তৃণমূল৷

Mamata Banerjee on Bangladesh: ‘কোনও অসহায় মানুষ যদি দরজা খটখটায়…’, বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার

কলকাতা: বাংলাদেশের অশান্তির জেরে সেদেশের কোনও নাগরিক যদি এ রাজ্যে আশ্রয় চায়, তাহলে তাঁকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার৷ এ দিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এমনই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ৷ প্রাণ গিয়েছে শতাধিক মানুষের৷ জারি হয়েছে কারফিউ৷ এ রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা রয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকারও৷

এতদিন বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি আপনাদের কোন পরিবার পরিজন থাকে, যদি কেউ পড়াশোনা করতে যান বা চিকিৎসা করাতে গিয়ে থাকেন, আমি তাদের পাশে আছি। আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না, যা বলার ভারত সরকার বলবে৷’

আরও পড়ুন: ‘বিত্তবান নয়, বিবেকবান চাই!’ অন্যায় করলেই সম্পর্ক ছেদ, নেতাদের হুঁশিয়ারি মমতার

এর পরেই অবশ্য তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তবে একটা কথা বলতে পারি, বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাঁদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাঁকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে৷ বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই৷ ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে৷’

অতীতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের এ রাজ্যে বাড়বাড়ন্তের মতো অভিযোগ তুলে নির্বাচনের সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ দিন সে সমস্ত অভিযোগকে উপেক্ষা করেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন৷ তবে এ দিন অবশ্য বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে৷ বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়-উত্তরপুরুষের জন্য, ২ শতাংশ হবে জনজাতি এবং শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য বরাদ্দ৷

Abhishek Banerjee : হঠাৎ করে কেন বিরতিতে ছিলেন অভিষেক? জানালেন ২১-এর সমাবেশে

কলকাতা: তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে স্বমেজাজে ফের দলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই সঙ্গে আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করে বুঝিয়ে দিলেন ফের একবার ভোটে লড়ার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে মা-মাটি-মানুষের দল।

১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট সাত দফায় চলে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪। ৪ জুন লোকসভার ফলাফল প্রকাশ হয়। তার পর থেকে কোনও রাজনৈতিক সমাবেশে দেখা যায়নি অভিষেককে। কোথায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাকদ? ২১-এর শহিদ দিবসের মঞ্চে সেকথাই জানালেন অভিষেক।

অভিষেক বললেন, ‘আমি পর্যালোচনায় ব্যস্ত ছিলাম।তাই গত দেড় মাস আমাকে দেখেননি। এর ফল তিন মাসে দেখবেন। আমাদের ২৬ এর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। নিজের কথা ভাবলে হবে না। কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। পুরসভায় দেখতে হবে। আপনি যত বড় নেতা হল দল ব্যবস্থা নেবে। আপনি পুরসভায় জিতবেন আর বিধানসভায় নয়। ভাববেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে একটা মিটিং করব আর জিতবেন। দল ব্যবস্থা নেব।’

Mamata-21 July Rally: ‘আমার কাছে…’, একুশের মঞ্চ থেকে চাকরি নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! মিলল বড় আশ্বাস

কলকাতা: লোকসভা ভোটে সাফল্যের পর তৃণমূলের প্রথম বড় কর্মসূচি রবিবার। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চকে ঘিরে উপচে পড়া ভিড় কর্মী-সমর্থকদের। আর বৃষ্টিভেজা সেই সভা থেকেই বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে রাজ্যে লাখ-লাখ চাকরির সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যে আইনি জটিলতায় তা ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে না, তাও স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। একইসঙ্গে তুমুল বিঁধলেন বিজেপি, সিপিআইএম, এমনকী কংগ্রেসকেও।

একুশের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ”বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস কোর্টে যাচ্ছে। আমার কাছে শিক্ষকের চাকরি রেডি আছে। কারও চাকরি যাবে না। দশ লক্ষ চাকরি আমার তৈরি আছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা দায়িত্বে আসার আগে দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন ৫৭.৬ শতাংশ মানুষ। আমাদের জমানায় তা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: ‘তিনটে দলের সঙ্গে লড়ে জিতেছি!’ একুশের মঞ্চ থেকেও কংগ্রেসকে বিঁধলেন মমতা

মমতার সংযোজন, ”লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর জন্য আমরা ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। স্বাস্থ্যসাথীতে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিয়েছি।” একইসঙ্গে মমতা জানিয়ে দেন, ওবিসি ইস্যুতেও কারও চাকরি যাবে না।

একইসঙ্গে মমতার ঘোষণা, ”প্রথম ফেজে ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা দেব ডিসেম্বরে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যে আবেদন গুলো এসেছে, সেগুলো আমরা পুজোর পরে দেব।”

21 July TMC Rally: ‘আপনাকে স্ট্রেস নিতে হবে না, আপনার হয়ে স্ট্রেসগুলো আমি নিয়ে নেব…’ একুশের মঞ্চ থেকে শান্তুনুকে কটাক্ষ মধুপর্ণার

কলকাতা: ঘড়ির কাঁটা ১২ টা ছুঁতেই শুরু হল ২১ জুলাইয়ের সভা।লোকসভায় বিপুল জয় তৃণমূলের। সেই আবহেই আজ একুশে জুলাই।একুশের মঞ্চে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর।

স্পষ্ট বললেন, ‘বিজেপির কাছে একটা জিনিস জানতে চাইব। আপনারা শুধু ভোট এলেই নারীশক্তির কথা বলেন, কিন্তু আপনাদের এক সাংসদ শান্তনু ঠাকুর আমাদেরকে মাঝরাতে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন। আমার মা একজন বিধবা মানুষ, তা সত্বেও আমাদের রেয়াত করা হয় নি। তখন আপনাদের নারীশক্তির কথা কোথায় ছিল ? তার উত্তর তো আজ‌ও পেলাম না।’

আরও পড়ুন:  শনিবারও চলল গুলি! বিদেশ সফর বাতিল হাসিনার, বাংলাদেশের এখন কী পরিস্থিতি?

তাঁর কথায়, ‘আমি আমার দাদা শান্তনু ঠাকুরকে একটা কথা বলতে চাই। আপনি অনেক বেশি স্ট্রেস নিয়ে ফেলছেন, পরের লোকসভা নির্বাচনের আগে আপনাকে আর স্ট্রেস নিতে হবে না। আপনার হয়ে স্ট্রেসগুলো আমি নিয়ে নেব। আপনি বরং চুপ করে বাড়িতে বসে থাকবেন।’

‘আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করার আগে জেনে রাখুন, আমাদের দিদির সৈনিক হিসাবে আমরা রয়েছে, আগে আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে।’ ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে এসে বললেন বাগদার বিধায়ক।

বিজেপির বিনয় কুমার বিশ্বাসকে ৩৩ হাজাররও বেশি ভোটে হারিয়েছেন মধুপর্ণা।  মধুপর্ণা ঠাকুর তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য মমতা ঠাকুরের মেয়ে।

TMC 21 July : বেলা বাড়তেই ধর্মতলায় এ কী ছবি! দেখলে চমকে যাবেন!

আজ তৃণমূলের একুশের সমাবেশ। ধর্মতলায় Mega Event। সমাবেশের জন্য আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। হাইরাইজ থেকে চলছে নজরদারি। লোকসভা ভোটে জয় তৃণমূলের অহংকার নয়। বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূলের লড়াই চলবে। মন্তব্য শশী পাঁজার। বিশেষ ভ্যান রিক্সাতে একুশের ট্যাবলো। হাজরা মোড়ে এই ট্যাবলো তৈরি করেছেন পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক অর্জুন সরদার। এবারেও একুশের ট্যাবলো সাজিয়েছেন তিনি। ট্যাবলোর উপর সেজেছে তৃণমূলের পতাকায়। ট্যাবলোর নীচে পরিবেশ বাঁচানোর ডাক। রয়েছে রাজ্য সরকারের নানান প্রকল্পের বার্তা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি প্রদানের মত বার্তা ট্যাবলোয়।  লোকসভায় বিপুল জয় তৃণমূলের। সেই আবহেই আজ একুশে জুলাই। এবাররের শহিদ স্মরণে রেকর্ড ভিড়ের লক্ষ্যে শাসক দল। ইতিমধ্যই দূরের জেলা থেকে কর্মীরা কলকাতায় এসে গিয়েছেন। একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতাকর্মীদের জন্য জরুরি বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দেবেন, দলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। লোকসভা ভোটে জয়ের পরে ঢিলেঢালা মনোভাব কাম্য নয়। োকিন্তু একটা ভোটে জিতে সব পেয়ে গেছি মনোভাব নিয়ে বসে থাকলে ভুল হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বর বার্তা থাকতে চলেছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে। ২৪ এর ২১ জুলাই থেকে ২৬ লড়ার প্রস্তুতি শুরু হবে।

TMC 21 July Abhishek Banerjee: কালো গাড়িতে চেপে ধর্মতলার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশেষ ভ্যান রিক্সাতে একুশের ট্যাবলো। হাজরা মোড়ে এই ট্যাবলো তৈরি করেছেন পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক অর্জুন সরদার। এবারেও একুশের ট্যাবলো সাজিয়েছেন তিনি। ট্যাবলোর উপর সেজেছে তৃণমূলের পতাকায়। ট্যাবলোর নীচে পরিবেশ বাঁচানোর ডাক। রয়েছে রাজ্য সরকারের নানান প্রকল্পের বার্তা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি প্রদানের মত বার্তা ট্যাবলোয়।  লোকসভায় বিপুল জয় তৃণমূলের। সেই আবহেই আজ একুশে জুলাই। এবাররের শহিদ স্মরণে রেকর্ড ভিড়ের লক্ষ্যে শাসক দল। ইতিমধ্যই দূরের জেলা থেকে কর্মীরা কলকাতায় এসে গিয়েছেন। একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতাকর্মীদের জন্য জরুরি বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দেবেন, দলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। লোকসভা ভোটে জয়ের পরে ঢিলেঢালা মনোভাব কাম্য নয়। োকিন্তু একটা ভোটে জিতে সব পেয়ে গেছি মনোভাব নিয়ে বসে থাকলে ভুল হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বর বার্তা থাকতে চলেছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে। ২৪ এর ২১ জুলাই থেকে ২৬ লড়ার প্রস্তুতি শুরু হবে।

Saumitra Khan: বিজেপিতে ইতি, এবার তৃণমূলেই যাচ্ছেন সৌমিত্র খাঁ? ২১ জুলাইয়ের আগেই স্পষ্ট করে দিলেন সব

কলকাতা: সদ্য মিটেছে লোকসভা ভোট। তারপর থেকেই একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে, বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কি এবার ঘাসফুলে ভিড়ে যাবেন? এ নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে তার পেছনে কারণও রয়েছে একাধিক। প্রথমত ভোটে বিজেপির টিকিটে জিতলেও তিনি প্রথম থেকে এমন কিছু কথা বলছেন, যা দলের অস্বস্তি বৃদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট। এমনকী বঙ্গবিজেপির নেতৃত্ব সম্পর্কেও তিনি নানা কথা বলছেন। সেই সঙ্গেই তিনি মন্ত্রিত্ব দাবি করেছিলেন। সেই দাবি পূরণ হয়নি। সেক্ষেত্রে তার পর থেকেই তিনি কিছুটা হলেও অভিমানী। আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা ছড়িয়েছিল তাঁকে ঘিরে। এমনও দাবি করা হচ্ছিল, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই তৃণমূলে যোগ দেবেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।

কিন্তু ২১ জুলাইয়ের আগের রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন সৌমিত্র। বিষ্ণুপুরের সাংসদ ফেসবুকে ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘সৌমিত্র খাঁ যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে। যাঁরা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই… সত্য খবর পরিবেশন করুন। এটা শুনতে লজ্জা লাগে যে মিডিয়ার কিছু কিছু চ্যানেল, যাঁরা নিজেদের টিআরপি বাড়ানোর জন্যে সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে খবর করছেন, এটা খুব খারাপ।”

আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চেই বিজেপিতে বড় ভাঙন? দুই BJP সাংসদ আজ তৃণমূলে? কারা তাঁরা! তুমুল জল্পনা

সৌমিত্রের সংযোজন, ”আমি ভীষণ ভাবে মিডিয়ার বন্ধুদের সম্মান করি। যাঁদের কথায় এই খবর করা হচ্ছে, বা যাঁরা বলছেন যে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাবে, তাঁদের বলি – সৌমিত্র খাঁ লড়তে জানে। নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিশ্বাস আমার রয়েছে। অমিত শাহজির পারদর্শিতা, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো বড় ভাই, সুনীল বনসলের মতো মানুষকে এখানে পেয়েছি। সেখানে দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমার রাজ্যের সমস্ত নেতৃত্বরা একসঙ্গে আছে। আমার সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি তাই অনুরোধ, প্রোপাগান্ডা ছড়াবেন না। আপনারা আমার সঙ্গে দেখা না করে কথা না বলে এই সব খবর ছড়াবেন না।’

তবে, হঠাৎ কেন ফেসবুক লাইভে এসে এমন কথা বলতে হল সৌমিত্রকে? এই পরিস্থিতির জন্য সৌমিত্রর সাম্প্রতিক একাধিক মন্তব্যকেই দায়ী করছেন পর্যবেক্ষকদের অনেকে। ওই মহলের মতে, নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালভরা প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সৌমিত্র খাঁর গলায়। একইসঙ্গে নিজের দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে যাবতীয় জল্পনা। তবে, তিনি যে তৃণমূলে যাচ্ছেন না, তা এবার স্পষ্ট করে দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।

TMC 21 JulyVideo: একুশের বিরাট চমক! বিশেষ আকর্ষণ, থাকবে কী কী, দেখে নিন

বিশেষ ভ্যান রিক্সাতে একুশের ট্যাবলো। হাজরা মোড়ে এই ট্যাবলো তৈরি করেছেন পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক অর্জুন সরদার। এবারেও একুশের ট্যাবলো সাজিয়েছেন তিনি। ট্যাবলোর উপর সেজেছে তৃণমূলের পতাকায়। ট্যাবলোর নীচে পরিবেশ বাঁচানোর ডাক। রয়েছে রাজ্য সরকারের নানান প্রকল্পের বার্তা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি প্রদানের মত বার্তা ট্যাবলোয়।  লোকসভায় বিপুল জয় তৃণমূলের। সেই আবহেই আজ একুশে জুলাই। এবাররের শহিদ স্মরণে রেকর্ড ভিড়ের লক্ষ্যে শাসক দল। ইতিমধ্যই দূরের জেলা থেকে কর্মীরা কলকাতায় এসে গিয়েছেন। একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতাকর্মীদের জন্য জরুরি বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দেবেন, দলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। লোকসভা ভোটে জয়ের পরে ঢিলেঢালা মনোভাব কাম্য নয়। সময় এখন সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার। জয় অবশ্যই উপভোগ করার। কিন্তু একটা ভোটে জিতে সব পেয়ে গেছি মনোভাব নিয়ে বসে থাকলে ভুল হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বর বার্তা থাকতে চলেছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে। ২৪ এর ২১ জুলাই থেকে ২৬ লড়ার প্রস্তুতি শুরু হবে।