লাইফস্টাইল Weight Loss Myths: জীবনেও ওজন কমবে না রোজের এই ৫ ভুলে! সতর্ক না হলেই মুশকিল, জানুন Gallery July 21, 2024 Bangla Digital Desk ঘড়ি ধরে নিয়ম মেনে ডায়েট করা সম্ভব হয় না। অনেকেই মনে করেন, এক বেলা না খেয়ে থাকলে বোধ হয় মেদ কিছুটা কমবে। আবার অনেকের ধারণা, চর্বিজাতীয় খাবার খেলেই পেটের আনাচকানাচে তা জমতে শুরু করে। বিষয়টা আসলে তেমন নয়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, এমন ভুল ধারণা নিয়ে ডায়েট বা শরীরচর্চা, যা-ই করুন না কেন, মেদ ঝরবে না কোনও মতে। তাই ওজন ঝরানোর কাজে নামার আগে শরীর এবং খাবারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। শরীর চাঙ্গা রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজের মতো যৌগ প্রতি দিনই পাতে রাখতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার তালিকা থেকে প্রোটিন বাদ দিলেই বোধহয় ওজন ঝরানো সহজ হবে। বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। এর ফলে বিপাকহারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঘুমের সঙ্গেও বিপাকহার সম্পর্ক রয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও বিপাকহারের উপর প্রভাব পড়ে। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমনো ভীষণ জরুরি। অনেকের ধারণা, খাবার খাওয়ায় লাগাম টানলেই ওজন কমানো সহজ হবে। সেই লক্ষ্যপূরণে দিনের অর্ধেক খাবারই বাদ দিয়ে দেন। এতে আদৌ ভাল হয় কি? পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণে কম খেলেই যে ওজন কমবে, এমন ধারণার কোনও ভিত্তিই নেই। বরং দিনের সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় খাবার না খেলে তার প্রভাব পড়বে বিপাকহারের উপর। ওজন তো কমবেই না, উল্টে বেড়ে যেতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা। বিপাকহারের তারতম্যের একটি অন্যতম কারণ হল নিয়মিত শরীরচর্চা না করা। কাজের চাপে অনেকেই শরীরচর্চার সময় পান না। তার উপর অফিসে এক জায়গায় বসে বসে কাজের ফলে হাঁটাচলার অবসরও কম মেলে। এই অভ্যাসও কিন্তু বিপাকহার কমিয়ে দেয়। ওজন ঝরাতে গিয়ে খাওয়ার তালিকা থেকে হঠাৎই একেবারে ভাত-রুটি বাদ দিয়ে দিয়েছেন? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন? দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাসে বদল আসার কারণে বিপাকহার কমে যায়। ফলে হজম প্রক্রিয়ার উপরেও প্রভাব পড়ে।