কাকদ্বীপ: প্রাচীন তীর্থযাত্রার রীতি মেনেই পায়ে হেঁটে কেদারনাথে গেলেন কাকদ্বীপের এক যুবক। ওই যুবকের নাম অপু মুর্মু। কাকদ্বীপ থেকে কেদারনাথ যেতে তার সময় লেগেছে ৮২ দিন। আগে পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা ছিল না অপুর। তবুও মনের জোরে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন মহাদেবের দরবারে। কাকদ্বীপের এক স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিয়েই তিনি বের হয়েছিলেন কেদারনাথের উদ্যেশে। কেদারনাথ যাত্রা, হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষজনের কাছে এক স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরন করতে প্রতিবছর ছুটে যান লাখ লাখ পূণ্যার্থী। এই চারধামেরর মধ্যে শোনা যায় কেদারনাথে স্বর্গ থেকে হাওয়া আসে। সেই কথা মেনে হনুমান জয়ন্তীর দিন বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন অপু। সেসময় তাকে বিদায় জানাতে অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে।
আরও পড়ুন: জলোচ্ছ্বাসে প্রায়ই ভাঙছে নদীবাঁধ! আতঙ্ক বাড়ছে সুন্দরবনে
পথে একাধিক ছোট বাঁধা এসেছিল, তবে অপুর উদ্যমের কাছে সেই বাঁধা হার মানে। সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে ফিরে এসে এক অন্য জগৎকে উপলব্ধি করেছেন অপু।বাড়ি থেকে অপু যখন যাত্রা শুরু করেছিল তখন পাশে পেয়েছিল গ্রামবাসীদের। তবে ফিরে আসার সময় তাঁর পরিচিতি ছড়িয়েছিল বহুদুর। এ নিয়ে অপু মুর্মু জানান, অজানাকে জানতে বের হয়েছিলেন। জেনেছেন অনেককিছুই। পায়ে হেঁটে তীর্থযাত্রা করলে অনেক পূণ্য মেলে, আগেকার দিনে সকলেই পায়ে হেঁটেই তীর্থযাত্রা করত। সেই রীতি মেনে তিনিও মহাদেবের দরবারে গিয়েছিলেন। সকলকে তিনি অনুরোধ করেছেন সময় পেলে একবার ঘুরে আসার জন্য।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
নবাব মল্লিক