Tag Archives: Kakdwip

Kakdwip Trawler Missing: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! উত্তাল সমুদ্রে ‘উধাও’ ৩টি ট্রলার! ৭২ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ ৪৯ মৎস্যজীবী

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খারাপ আবহাওয়ার জেরে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। আর যার জেরে খোঁজ নেই ৪৯ জন মৎস্যজীবীর। ওই মৎস্যজীবীদের নিয়ে সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরছিল এফবি বাবা নীলকন্ঠ, এফবি শ্রীহরি এবং এফবি মা রিয়া নামে তিনটি ট্রলার।

বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে তিনটি ট্রলার-সহ ৪৯ জন মৎস্যজীবীর এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহকারী মৎস্য অধিকর্তা ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়।পরে মৎস্যজীবী সংগঠন এবং জেলা মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করে বিশদে জানানো হয়েছে। ট্রলারের খোঁজে একটি জাহাজ নিয়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।

আরও পড়ুন-   বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও নিখোঁজ তিন ট্রলারের খোঁজে বেশ কয়েকটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় তল্লাশি অভিযানও ব্যহত হচ্ছে। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, এফবি নীলকন্ঠ ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। বাকি এফবি শ্রীহরি এবং এফবি মা রিয়া নামক দুটি ট্রলারে মিলিয়ে ৩৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। কিন্তু বাজ পড়ে ওয়ারলেস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাশাপাশি ট্রলার তিনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় ওই তিন ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-    ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! বৃহস্পতি-চন্দ্রর মহামিলনে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৪ রাশির, গজকেশরী রাজযোগে সোনায় মুড়বে ভাগ্য…

শেষবারের যখন ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছিল তখন ট্রলারগুলি বকখালি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে জম্বুদ্বীপের কাছাকাছি ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারপর থেকে আর কোনও ট্রলারের সঙ্গে কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি ট্রলার মালিক-সহ মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তারা। নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা সকলেই কাকদ্বীপ, নামখানা এবং ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ট্রলার-সহ মৎস্যজীবীদের নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বিগ্ন তাদের পরিবার পরিজনেরা।

নবাব মল্লিক

Kakdwip News: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে নিখোঁজ একাধিক ট্রলার, তল্লাশি শুরু উপকূলরক্ষী বাহিনীর

বিশ্বজিৎ হালদার, কাকদ্বীপ: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকার কারণে সব মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মতো বহু ট্রলার উপকূলে ফিরেও এসেছে। কিন্তু সমুদ্র থেকে ফিরে আসার সময় কয়েকটি ট্রলারের ইঞ্জিন এবং ওয়্যারলেস বিকল হয়ে যায়। ওই ট্রলার গুলোর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এখন ওই ট্রলার গুলির খোঁজে সমুদ্রে তল্লাশি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনী।

কাকদ্বীপ ওয়েলফেয়ার ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘এফ.বি. বাবা নীলকন্ঠ নামক একটি ট্রলারে প্রায় ১৬ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। ট্রলারটি বিকল অবস্থায় সমুদ্রে নঙড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও ডায়মন্ড হারবারের দুটো ট্রলারও বিকল অবস্থায় সমুদ্রে রয়েছে। ওই দুটি ট্রলারে প্রায় ৩০ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। বিষয়টি উপকূল রক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। উপকূল রক্ষী বাহিনী জাহাজ নিয়ে সমুদ্রে ওই ট্রলার গুলির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।’

আরও পড়ুনঃ ‘মিটিং না করো ভিতরে এসো, চা খেয়ে যাও’, বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বেনজির আতিথেয়তা, বরফ গলল?

গভীর নিম্নচাপের জেরে রবিবাসরীয় সকালেও বৃষ্টির কমতি নেই। ঝোড়ো হাওয়া বইছে উপকূলে। পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে না নেমে পড়েন, তার জন্য কড়া সতর্কতা রয়েছে এলাকায়।

  South 24 Parganas News: জল ডুবেছে কাকদ্বীপের ভুবন নগর! সমাধান চাইছেন স্থানীয়রা

কাকদ্বীপ: জমা জল পেরিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের যেতে হচ্ছে বাইরে। বৃষ্টি হলে জল জমার পরিমাণ বাড়ছে । বৃষ্টি থামলেও রেহাই নেই। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের ভুবন নগরে। বৃষ্টি থামার পর জল নিকাশী ব্যবস্থা সুগম না থাকায় জমা জল বের হতে পারছেনা। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে জমা জলের উপর দিয়ে যেতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকি পানীয় জল নিতে যেতে হচ্ছে এই জমা জলের উপর থেকে। স্থানীয়রা এই সমস্যা সমাধানের জন্য বড় পাইপ বসিয়ে জমা জল গ্রামের বাইরে বের করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন।

আরও পড়ুন: এ যেন বড়সড় ট্যুরনামেন্ট! ৩২ দলের লুডো প্রতিযোগিতা দক্ষিণ বারাসাতে

এই সমস্যা প্রায় ২ বছর ধরে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্ত জায়গায় জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। এ নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা লালমোহন প্রামাণিক জানিয়েছেন, জল জমার সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। গ্রামে একটি পুকুর রয়েছে জল সেখান থেকে বের হতে পারছেনা। মূলত এই সমস্যার জেরে জল জমছে। দ্রুত সরকারি উদ্যোগে এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এ নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উমা প্রসাদ দাস জানিয়েছেন, পুকুরটি নিয়ে সমস্যা ছিল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেই সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি তিনি জানাবেন। গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: বাঘের সামনে বনজীবীদের ভরসা জোগায় মুখোশ! এখন তৈরি হচ্ছে কাকদ্বীপে 

কাকদ্বীপ: সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করার সময় মৌলেদের প্রয়োজন পড়ে মুখোশের। সেই মুখোশ বাঘের সামনে ভরসা জোগায় বনজীবীদের। এবার সেই মুখোশ তৈরি হচ্ছে কাকদ্বীপে।একেবারে প্রাথমিক ভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে মুখোশ তৈরি শেখানো হচ্ছে। এরপর সেখানে বড় বড় মুখোশ তৈরির পদ্ধতি শেখানো হবে। সুন্দরবন আর্ট অ্যাকাডেমিতে এই জিনিস শেখানো হচ্ছে। মুখোশ শিল্প, বাংলার লোক কারুশিল্পের ঐতিহ্যের এক অনন্য শৈল্পিক অংশ। বাংলার সামাজিক ইতিহাসের একটি মূল্যবান সম্পদও বটে। এই শিল্প শিখে শুধু শখে মুখোশ তৈরি করা নয় উপার্জন করা সম্ভব ।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক জলপথে বড় জাহাজ চলাচলেই ভাঙছে নদী বাঁধ! দাবি সুন্দরবনের

এ নিয়ে এই আর্ট আ্যকাডেমির প্রশিক্ষক দেবারাজ বেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জঙ্গলে অনেক মৌলে মধু সংগ্রহ করতে জঙ্গলে যায়। তখন এই মুখোশ মাথার পিছনে লাগিয়ে রাখে তারা।যাতে বাঘ তাদের দেখে ভয় পায়। কাকদ্বীপ অঞ্চলে আগে এরকম মুখোশ তৈরি হয়নি। এই ধরণের উদ্যোগে খুশি সকলেই। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই এই মুখোশ তৈরি শিখতে পারবে। এই মুখোশে আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল এই মুখোশটি পুনঃব্যবহারযোগ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঐতিহ্য এই মুখোশকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। মুখোশ দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে তৈরি করা গেলে উপকার পাবেন মৌলেরাও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: এবার বাজারে মিলবে সস্তার চিংড়ির খাবার, কাকদ্বীপের মৎস্য গবেষণাগারের উদ্যোগ

কাকদ্বীপ: এবার বাজারে মিলবে সস্তার চিংড়ির খাবার। কাকদ্বীপের কেন্দ্রীয় নোনা জলজীব পালন অনুসন্ধান কেন্দ্রের আবিষ্কৃত চিংড়ি মাছের ফিড বা খাবারের দাম থাকছে অনেকটাই কম। ফলে হাসি ফুটেছে চিংড়ি চাষিদের মুখে।চিংড়ি চাষের খরচ কমাতে কাকদ্বীপের কেন্দ্রীয় সংস্থার মৎস্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেন। তাঁরা দু’ধরনের চিংড়ির ফিড আবিষ্কার করেছেন ইতিমধ্যে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিংড়ি প্লাস’ এবং ‘প্লাঙ্কটন প্লাস’।

আরও পড়ুন:  জন্মদিনের উপহারে ভরবে বোধিপীঠ পাঠাগার, নতুন পথ দেখাল এই প্রাথমিক বিদ্যালয়

এ নিয়ে সংস্থার কাকদ্বীপ শাখার অধ্যক্ষ ও প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ দেবাশিস দে বলেন, নতুন দু’টি ফিড ব্যবহার করে ১১০ দিনে এক একটি চিংড়ি ৩২ গ্রাম ওজনের করা যাচ্ছে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে মাত্র ১৫০ টাকা। বাজারে এই চিংড়ির পাইকারি দাম রয়েছে ৪২০ টাকা। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে চিংড়ি চাষ প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে আগের থেকে।এর মূল কারণ বাজারে ভেনামি চিংড়ির দাম কমে যাওয়া এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া। চিংড়ির খাবারের দাম কমলে উৎপাদন খরচ কিছুটা কমবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ফলে কৃষকরা লাভবান হবেন এবং আগের মত আবারও কৃষকরা এই চিংড়ি চাষ করে বাইরেও রফতানি করতে পারবেন।

নবাব মল্লিক

River Erosion:নদীগর্ভে তলাচ্ছে জঙ্গল! ধ্বংসের মুখে কাকদ্বীপের নিউ বকখালি

River Erosion : মুড়িগঙ্গায় ভাঙনের জের। ধ্বংসের মুখে কাকদ্বীপের নিউ বকখালির জঙ্গল। নদীগর্ভে জঙ্গলের বড় অংশ। ভাঙনে বিপন্ন পর্যটনকেন্দ্র। ২-৩ বছরের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারে নিউ বকখালি। অবিলম্বে ভাঙন ঠেকানোর আবেদন স্থানীয়দের।

South 24 Parganas News: এ ‌যেন প্রাচীনকালের তীর্থ‌যাত্রা! পায়ে হেঁটেই কেদারনাথ ভ্রমণ কাকদ্বীপের যুবকের

কাকদ্বীপ: প্রাচীন তীর্থ‌যাত্রার রীতি মেনেই পায়ে হেঁটে কেদারনাথে গেলেন কাকদ্বীপের এক যুবক। ওই যুবকের নাম অপু মুর্মু। কাকদ্বীপ থেকে কেদারনাথ যেতে তার সময় লেগেছে ৮২ দিন‌। আগে পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতা ছিল না অপুর। তবুও মনের জোরে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন মহাদেবের দরবারে। কাকদ্বীপের এক স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিয়েই তিনি বের হয়েছিলেন কেদারনাথের উদ্যেশে। কেদারনাথ যাত্রা, হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষজনের কাছে এক স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরন করতে প্রতিবছর ছুটে যান লাখ লাখ পূণ্যার্থী। এই চারধামেরর মধ্যে শোনা যায় কেদারনাথে স্বর্গ থেকে হাওয়া আসে। সেই কথা মেনে হনুমান জয়ন্তীর দিন বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন অপু। সেসময় তাকে বিদায় জানাতে অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে‌।

আরও পড়ুন: জলোচ্ছ্বাসে প্রায়ই ভাঙছে নদীবাঁধ! আতঙ্ক বাড়ছে সুন্দরবনে

পথে একাধিক ছোট বাঁধা এসেছিল, তবে অপুর উদ্যমের কাছে সেই বাঁধা হার মানে। সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে ফিরে এসে এক অন‍্য জগৎকে উপলব্ধি করেছেন অপু।বাড়ি থেকে অপু যখন যাত্রা শুরু করেছিল তখন পাশে পেয়েছিল গ্রামবাসীদের। তবে ফিরে আসার সময় তাঁর পরিচিতি ছড়িয়েছিল বহুদুর। এ নিয়ে অপু মুর্মু জানান, অজানাকে জানতে বের হয়েছিলেন। জেনেছেন অনেককিছুই।‌ পায়ে হেঁটে তীর্থযাত্রা করলে অনেক পূণ্য মেলে, আগেকার দিনে সকলেই পায়ে হেঁটেই তীর্থযাত্রা করত। সেই রীতি মেনে তিনিও মহাদেবের দরবারে গিয়েছিলেন। সকলকে তিনি অনুরোধ করেছেন সময় পেলে একবার ঘুরে আসার জন্য।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: ফেলে দেওয়া ব্লেডের টুকরো জুড়েই আঁকা হল ছবি, ইতিহাস গড়ল কাকদ্বীপের যুবক

কাকদ্বীপ: ফেলে দেওয়া ব্লেডের টুকরো জুড়েই আঁকা হল ছবি। সেই ছবি এঁকেই ইতিহাস গড়ল কাকদ্বীপের যুবক। ওই যুবকের নাম সায়ন মিদ্যা(২৫)। ইতিমধ্যে ভাঙা ব্লেডের টুকরো দিয়ে আঁকা তাঁর এই শিল্পকলা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছে। সায়নের ছবি আঁকার বিষয় ছিল নারীশক্তি। কাকদ্বীপের গণেশ নগরের বাসিন্দা সায়ন ছোট থেকে ছবি আঁকতে ভালবাসত।

আগেও পড়ে থাকা কাগজ জুড়ে, অন্যান্য ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে ছবি এঁকেছিল সে। বরাবরই ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে কিছু না কিছু বানিয়ে ফেলে সায়ন।এবার সায়নের সৃষ্টি, ফেলে দেওয়া ব্লেডের টুকরো দিয়ে নারী শক্তির ছবি আঁকা। এটা আঁকতে মোট ৭০ টি ব্লেড ব্যবহার করা হয়েছিল। কোনও রকম বিরতি ছাড়া টানা পাঁচ ঘণ্টায় এই ছবি এঁকেছে সায়ন।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

সায়ন শুনেছিল নতুন কিছু করে দেখালে তবেই রেকর্ড অর্জন করা যায়, সেইজন্য সায়ন এই প্রথম ব্লেড দিয়ে ছবি এঁকেছে। এতেই এসেছে সাফল্য। অভাবের সংসারে পিসি লক্ষী পালের আর্থিক সহযোগিতায় ছবি আঁকা শিখেছে সায়ন। সায়ন ছোট থেকে পিসির কাছেই মানুষ।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

বর্তমানে এলাকার কচিকাঁচাদের বিনামূল্যে আঁকা শেখায় সায়ন।সায়ন চায় তার আঁকা ছবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ুক। সায়নের এই সাফল্যে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।

নবাব মল্লিক

Bridge Started: ৬ বছর পর মিটল সমস্যা, কাকদ্বীপে চালু ঘটিহারা সেতু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে দীর্ঘ ছয় বছর পর মিটল সমস্যা। কাকদ্বীপে খুলে গেল ঘটিহারা সেতু। কালনাগিনী নদীর উপর তেরি এই সেতুর আ্যপ্রোচ রোড তৈরির কাজ জমি জটের জন্য আটকে ছিল।

আগে কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝখানে কালনাগিনী নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। পরে সেই সাঁকোটির পরিবর্তে একটি কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হয়েছিল।সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ এই সেতুটি তৈরি করে। কিন্তু ছ’বছর আগে সেতুটির কাজ সম্পূর্ণ হলেও, তা চালু করা যাচ্ছিল না। সেতুর পূর্ব দিকের অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি না হওয়াতেই এই বিপত্তি। আ্যপ্রোচ রোড না হওয়ায় কোনও গাড়ি সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারত না, স্থানীয়রা হেঁটেই সেতুটি পার হতেন। তবে বর্ষার সময় দুর্ভোগে বাড়ত।

আর‌ও পড়ুন: বঙতি নদীর ভাঙনে রাতের ঘুম উড়েছে

সেতুর পশ্চিম দিকেই রয়েছে বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরপথে তাঁদের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হত। এতদিন পর সেই সমস্যা মিটেছে। সেতুটি সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাওয়ায় এখন মাত্র দু’কিলোমিটার গেলেই কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। এই নিয়ে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানান, জমি জটের কারণে এতদিন পর্যন্ত এই সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। সেই সমস্যা মিটে যাওয়ার পর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হয়েছে। এখন আর কোনও সমস্যা নেই।

নবাব মল্লিক