পুরুলিয়ার পর্যটনে নয়া ভাবনা জেলা প্রশাসনের

Purulia News: পুরুলিয়া বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান? এবার পর্যটন নিয়ে নয়া পরিকল্পনা জেলা প্রশাসনের

পুরুলিয়া : রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অন্যতম। এইগুলো আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। বৈচিত্র্যময় এই জেলাতে তাই সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এবার জঙ্গলমহল পুরুলিয়া পর্যটনের প্রসারে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে পুরুলিয়া জেলা জেলা প্রশাসন। সেই প্রকল্প গুলির আর্থিক অনুমোদন পেতে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮ কোটি টাকার ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট রাজ্যের কাছে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। খুব শীঘ্রই ওই প্রকল্পগুলির জন্য সবুজ সঙ্কেত অনুমোদিত হবে বলে আশা রাখছে জেলা প্রশাসন।

এই প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পুরুলিয়ার পুরাকীর্তি ও স্থাপত্যকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে এনে সংরক্ষণ করে রাখা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প রয়েছে আড়শা ব্লকের মানকেয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়াম মৌজার দেউলঘাটা মন্দির। দীর্ঘদিন ধরে এই দেউল অবহেলায় , অনাদরে পড়ে রয়েছে। একটি দেউল পড়েও গিয়েছিল। এই মন্দির সংস্কারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এ বিষয়ে পুরুলিয়ার পর্যটন বিভাগের অফিসার ইনচার্জ আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লা বলেন, একগুচ্ছ কাজের জন্য আমরা ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট পাঠিয়েছি। আশা করছি ওই কাজগুলোর অনুমোদন মিলবে। জেলার পর্যটনকে তুলে ধরার জন্য তৈরি হবে ওয়েলকাম গেটস। জেলা প্রশাসন এই বিষয়টি মাথায় রেখে পাঁচটি ওয়েলকাম গেটসের প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই গেট গুলি হবে পুরুলিয়া- বরাকর রাজ্য সড়কে পুরুলিয়া-পশ্চিম বর্ধমান সীমানায় দিশেরগড়, অযোধ্যা পাহাড়ে ওঠার সময় বান্দু নদীর পাশে। সেই সঙ্গে বলরামপুর-বাঘমুন্ডি সড়কপথে ডাভা গ্রামের কাছে। এছাড়া অযোধ্যা হিল লিঙ্ক রোড এবং অরণ্যসুন্দরী বান্দোয়ানে প্রবেশ করার আগে বরাবাজার-বান্দোয়ান সড়কে ধবনীতে। প্রত্যেকটি গেটের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এই ওয়েলকাম গেটস-র জন্য মোট দেড় কোটি টাকা প্রকল্প রিপোর্টে রয়েছে। সেই সঙ্গে পুরুলিয়া স্টেশনে পর্যটকদের কাছে জেলার পর্যটনের তথ্যসমূহ তুলে ধরতে একটি কিয়ক্স বসাবে। পুরাকীর্তি সংরক্ষণে দেউলঘাটা মন্দির ছাড়াও জৈন ক্ষেত্র পাকবিড়রার তিনটি মন্দির সংস্কার ও সংরক্ষণের ডিপিআর তৈরি হয়েছে। সেখানকার মিউজিয়ামকে আরও নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। এই সামগ্রিক কাজে মোট ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৮৯ টাকা ধরা হয়েছে। ২০১৪-১৫ আর্থিক বছর নাগাদ এই পাকবিড়রার মন্দির গুলির খানিকটা সংস্কার হয়। এবং একটি মিউজিয়াম গড়ে ওঠে।

বেশ কিছুদিন আগে সেই কাজ হওয়ায় ওই স্থাপত্য এবং পুরাকীর্তিরসংস্কারের প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। তা উপলব্ধি করতে পেরেই পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেউলঘাটাতে তিনটি দেউলের সংস্কার সহ সেখানকার স্থাপত্যকে সংরক্ষণে ২ কোটি ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ১৪১ টাকা প্রকল্প রিপোর্টে ব্যয় হিসাবে ধরেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে ঝালদা দু’নম্বর ব্লকের ঐতিহ্যপূর্ণ বেগুনকোদর রাস মন্দিরের সংস্কারে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪,২১৬ টাকা। জেলা পর্যটনের প্রসারে পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি