Tag Archives: Purulia Tourism

Purulia Forest Tourism: জঙ্গল ঘুরতে ভালবাসেন? এবার থেকে পুরুলিয়া ফরেস্ট হোটেল বুকিংয়ে বড় বদল! এখনই জেনে নিন

পুরুলিয়া: পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অন্যতম। লাল মাটির এই জেলাতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এখানে রয়েছে হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে-সহ একাধিক থাকার জায়গা। এই জেলাতে রয়েছে একাধিক ফরেস্ট রিসর্টও। অনেকেই সেই সমস্ত ফরেস্ট রিসর্ট-এ থাকতে চান, কিন্তু পরিকল্পনা করলেও বাধ সাধে এই ‘ফরেস্ট’ শব্দটি। আর তা হবে নাই বা কেন। কারণ ফরেস্ট রিসর্ট দেখে অনেকেই ভেবে নেন এটি সরকারি জায়গা। আর তাতেই বুকিং করতে গিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় পর্যটকদের। ‌

এবার পর্যটকদের কথা ভেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল বনদফতর। রাজ্য সরকারের নিজস্ব রিসর্টগুলি ছাড়া বেসরকারি হোটেল ও রিসর্ট মালিকেরা কেউ ‘ফরেস্ট’ শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না নিজের হোটেল বা রিসর্টে। ইতিমধ্যেই হোটেল, হোমস্টে ও রিসর্ট মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে বনদফতর।‌ এ বিষয়ে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, ”ফরেস্ট শব্দটি বেসরকারি জায়গায় ব্যবহার aকরলে বেশ কিছু ভুল বোঝাবুঝির জায়গা তৈরি হচ্ছে। সেই কারণেই আমরা হোটেল, হোমস্টে ও রিসর্ট কর্তৃপক্ষগুলিকে অনুরোধ করেছি যাতে তারা ‘ফরেস্ট’ শব্দটি ব্যবহার না করে।”

আরও পড়ুন: শনিবারই হবেন মালামাল! এই ৪ জিনিস দেখলেই ছুঁতে পারবে না বিপদ…! শনিদেবকে তুষ্ট করতে করুন এগুলি

এ বিষয়ে একটি বেসরকারি রিসর্টের কর্ণধার বলেন, ”বনদফতর থেকে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সেগুলি আমরা মেনে চলার চেষ্টা করব। ‌ অনেক ক্ষেত্রেই ফরেস্ট শব্দটি ব্যবহার করার ফলে নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে ফরেস্ট শব্দ যদি ব্যবহার না করে বনদফতরকে সহযোগিতা করা যায়, আমরা তাই করব।”

পুরুলিয়া জেলাজুড়ে বহু বেসরকারি ফরেস্ট রিসর্ট রয়েছে। সেগুলি থেকে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই পর্যটকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে পাহাড়ে ভ্রমণ করতে পারেন, তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বনদফতর।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News: পুরুলিয়া বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান? এবার পর্যটন নিয়ে নয়া পরিকল্পনা জেলা প্রশাসনের

পুরুলিয়া : রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অন্যতম। এইগুলো আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। বৈচিত্র্যময় এই জেলাতে তাই সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এবার জঙ্গলমহল পুরুলিয়া পর্যটনের প্রসারে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে পুরুলিয়া জেলা জেলা প্রশাসন। সেই প্রকল্প গুলির আর্থিক অনুমোদন পেতে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮ কোটি টাকার ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট রাজ্যের কাছে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। খুব শীঘ্রই ওই প্রকল্পগুলির জন্য সবুজ সঙ্কেত অনুমোদিত হবে বলে আশা রাখছে জেলা প্রশাসন।

এই প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পুরুলিয়ার পুরাকীর্তি ও স্থাপত্যকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে এনে সংরক্ষণ করে রাখা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প রয়েছে আড়শা ব্লকের মানকেয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়াম মৌজার দেউলঘাটা মন্দির। দীর্ঘদিন ধরে এই দেউল অবহেলায় , অনাদরে পড়ে রয়েছে। একটি দেউল পড়েও গিয়েছিল। এই মন্দির সংস্কারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এ বিষয়ে পুরুলিয়ার পর্যটন বিভাগের অফিসার ইনচার্জ আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লা বলেন, একগুচ্ছ কাজের জন্য আমরা ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট পাঠিয়েছি। আশা করছি ওই কাজগুলোর অনুমোদন মিলবে। জেলার পর্যটনকে তুলে ধরার জন্য তৈরি হবে ওয়েলকাম গেটস। জেলা প্রশাসন এই বিষয়টি মাথায় রেখে পাঁচটি ওয়েলকাম গেটসের প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই গেট গুলি হবে পুরুলিয়া- বরাকর রাজ্য সড়কে পুরুলিয়া-পশ্চিম বর্ধমান সীমানায় দিশেরগড়, অযোধ্যা পাহাড়ে ওঠার সময় বান্দু নদীর পাশে। সেই সঙ্গে বলরামপুর-বাঘমুন্ডি সড়কপথে ডাভা গ্রামের কাছে। এছাড়া অযোধ্যা হিল লিঙ্ক রোড এবং অরণ্যসুন্দরী বান্দোয়ানে প্রবেশ করার আগে বরাবাজার-বান্দোয়ান সড়কে ধবনীতে। প্রত্যেকটি গেটের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এই ওয়েলকাম গেটস-র জন্য মোট দেড় কোটি টাকা প্রকল্প রিপোর্টে রয়েছে। সেই সঙ্গে পুরুলিয়া স্টেশনে পর্যটকদের কাছে জেলার পর্যটনের তথ্যসমূহ তুলে ধরতে একটি কিয়ক্স বসাবে। পুরাকীর্তি সংরক্ষণে দেউলঘাটা মন্দির ছাড়াও জৈন ক্ষেত্র পাকবিড়রার তিনটি মন্দির সংস্কার ও সংরক্ষণের ডিপিআর তৈরি হয়েছে। সেখানকার মিউজিয়ামকে আরও নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। এই সামগ্রিক কাজে মোট ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৮৯ টাকা ধরা হয়েছে। ২০১৪-১৫ আর্থিক বছর নাগাদ এই পাকবিড়রার মন্দির গুলির খানিকটা সংস্কার হয়। এবং একটি মিউজিয়াম গড়ে ওঠে।

বেশ কিছুদিন আগে সেই কাজ হওয়ায় ওই স্থাপত্য এবং পুরাকীর্তিরসংস্কারের প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। তা উপলব্ধি করতে পেরেই পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেউলঘাটাতে তিনটি দেউলের সংস্কার সহ সেখানকার স্থাপত্যকে সংরক্ষণে ২ কোটি ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ১৪১ টাকা প্রকল্প রিপোর্টে ব্যয় হিসাবে ধরেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে ঝালদা দু’নম্বর ব্লকের ঐতিহ্যপূর্ণ বেগুনকোদর রাস মন্দিরের সংস্কারে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪,২১৬ টাকা। জেলা পর্যটনের প্রসারে পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia Forest Festival: আর‌ও সবুজ! এই জেলায় ১৯ লক্ষ ২০ গাছ লাগানো হবে

পুরুলিয়া: রুক্ষ লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। তবুও বুক ভরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে এই জেলায় বিভিন্ন সময় আসেন পর্যটকেরা।‌ শাল-পিয়ালের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই জেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরুলিয়াতে শুরু হয়েছে বনমহোৎসব।‌

পুরুলিয়ার এই বনমহোৎসবে শুধু বৃক্ষরোপণ নয়, পর্যটনকেও এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত জুড়তে চলেছে বন দফতর। ‌বৃহস্পতিবার মাঠে বনাঞ্চলে এই অনুষ্ঠানে শুভারম্ভ হয়। ‌আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। এই প্রথমবার পুরুলিয়ার বনমহোৎসব কোনও থিমের উপর নির্ভর করে হচ্ছে। রূপসী বাংলার এই থিমে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বার্তাকে তুলে ধরেছে বন দফতর। বন দফতরের অরণ্যকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এই জেলার পর্যটন শিল্পকেও সমৃদ্ধ করতে চাইছে। পরিবেশবান্ধব পর্যটনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে বন দফতর।

আর‌ও পড়ুন: ২৭ টাকায় আলু! কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল মানুষ

এই বিষয়ে পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও তথা পুরুলিয়া জেলা বনমহোৎসব কমিটির নোডাল আধিকারিক অঞ্জন গুহ বলেন, এবছর পুরুলিয়ার বন মহোৎসবের থিম রূপসী বাংলা। এই থিমের মধ্যে দিয়ে পুরুলিয়ার পর্যটনকে আমরা বনমহোৎসবের সঙ্গে যুক্ত করেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য পরিবেশবান্ধব পুরুলিয়া গড়ে তোলা। প্রায় ১৯ লক্ষ ২০ হাজার বৃক্ষরোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে এই বনমহোৎসবে। পুরুলিয়া জুড়ে সমগ্র রেঞ্জে চারা গাছ বিলি সহ নানান অনুষ্ঠান চলবে।

এই বনমহোৎসবের মধ্য দিয়ে বন দফতর ৭২৩ টি স্কুলে ১৯ টি ডিগ্রি কলেজে চারা গাছ বিলি করে বৃক্ষরোপণ করবে। ‌এছাড়াও ৫৭৫ হেক্টর জমিতে গাছ লাগানোর আলাদা পরিকল্পনা নিয়েছে বন দফতর। পুরুলিয়া বনবিভাগে ১২৫, কংসাবতী উত্তর বনবিভাগে ২৫০ ও কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগে ১২৫ ও বনসম্প্রসারণ বিভাগে ৫০ হেক্টর গাছ লাগানো হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বনমহোৎসবের মধ্যে দিয়ে পুরুলিয়াকে সবুজে মুড়ে ফেলতে চায় বন দফতর।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia Tourism: অ্যাডভেঞ্চার সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধন, দুই’ই পাবেন পুরুলিয়ার এখানে এলে

পুরুলিয়া: পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে পুরুলিয়া অন্যতম প্রধান জায়গা দখল করে আছে। কাছে-পিঠে দু’দিনের বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকেই এখন দিঘা-পুরীর বদলে লাল মাটির এই জেলাকে বেছে নিচ্ছেন। এক এক মরশুমে পুরুলিয়ার একেকরকম রূপ পর্যটকদের প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। জেলার আনাচে কানাচে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে নানান পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছরই বহু মানুষ সে সমস্ত জায়গাতে ভিড় করেন।

আর‌ও পড়ুন: জমিদারের ভরসার লেঠেল আজও লাঠি ছাড়েননি, তবে অন্যভাবে কাজে লাগছে

পুরুলিয়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম জয়চন্ডি পাহাড়। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ও ট্যুরিজমের জন্য খুবই জনপ্রিয় এই পাহাড়। রক ক্লাইম্বিং ও নেচার স্টাডি ক্যাম্প সহ নানান অ্যাডভেঞ্চারের আমেজ উপভোগ করা যায় এখানে এসে। প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে ভিড় করেন উঠতি পর্বতারোহীরা। পাহাড়ে ওঠার নানান কলা কৌশল শেখেন তাঁরা। প্রতিবছরই রাজ্যের বহু পর্বতারোহণ সংস্থা এখানে ক্যাম্প করে। আগে এখানে এলে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা সেইভাবে ছিল না। কিন্তু রাজ্য সরকার জয়চন্ডি পাহাড়কে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এখানে গড়ে উঠেছে যুব আবাস ও পথসাথী।

১৯৭৮ সালে জগৎ বন্দিত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় এখানেই তাঁর ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার শ্যুটিং করেছিলেন। তখন থেকেই এই পাহাড়ের সৌন্দর্যের টানে ছুটে এসেছেন বহু মানুষ।

এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, আগের তুলনায় অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে জয়চন্ডি পাহাড়। ‌চারিদিক ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।‌ ছবি তোলার জন্য দুর্দান্ত স্পট এটি। এই জায়গায় এলেই একেবারেই মন ভাল হয়ে যায় সকলের। ভীষণই অ্যাডভেঞ্চারাস আর চারিদিক খুবই সুন্দর। দুর্দান্ত জায়গা এটা। ঘুরতে আসার মজা চুটিয়ে উপভোগ করা যায় এখানে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

জয়চন্ডি পাহাড়ের উপরেই আছে মা চণ্ডীড় মন্দির। ৫২০-টা সিঁড়ি অতিক্রম করে এই মন্দিরে পৌঁছতে হয়। অনেকেই এই মন্দিরের পুজো দিতে যান জয়চন্ডি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে। আর এই পাহাড়ের উপরে উঠলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন ভরে যাবে আপনার। পুরুলিয়া ট্যুর প্ল্যানে থাকলে তাই অতি অবশ্যই আপনাকে আসতে হবে এই জয়চন্ডি পাহাড়ে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Elephant Panic: পর্যটনের মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে এই জন্তু

পুরুলিয়া: প্রতিনিয়তই জঙ্গলমহলে হাতির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হাতির তাণ্ডব ও হাতির আক্রমণে এক প্রকার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। ‌ আগে ফি বছর আমন ধানের সময় দলমা পাহাড়ের হাতির দল বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে ঢুকত। আবার মরশুম শেষে তারা ফিরে যেত। তবে এখন আর তা হয় না। এখন হাতিরা আর ফিরে যাচ্ছে না। ‌

আর‌ও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়ায় বদলে গেল গোটা গ্রাম, ঠিক কী হয়েছে?

মরশুম শেষে হাতিরা ফিরে না যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিপদ আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। এমনকি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে আসা হাতিরাও পুরুলিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এই মুহূর্তে জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ৪৫ টি হাতি। হাতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায়শই হাতির আক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে। যদিও বন দফতরের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু তাতেও মাঝেমধ্যেই হয়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি পুরুলিয়া বন বিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের কুমারডি গ্রামে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। শৌচকর্ম করতে গিয়ে বুনো হাতির মুখোমুখি পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। বর্তমানে বসন্তের মরশুমে পুরুলিয়ায় ভিড় জমাচ্ছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিচ্ছে বন দফতর। এই বিষয়ে পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, বনদফতরের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। এছাড়াও সমস্ত জায়গায় নজরদারি রয়েছে। বর্তমানে বহু টুরিস্ট পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসছেন। তাই তাঁদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন কোনওভাবেই বনাঞ্চলের দিকে না যান। হোটেল, রিসর্টগুলির কর্ণধারদেরও অনুরোধ করা হচ্ছে তাঁরাও যাতে পর্যটকদের সচেতন করেন। ‌

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা ও মাঠা বনাঞ্চলেই ১২-১৪ টি হাতি আছে। এই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের ভিড় হয়। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেছে বন দফতর। এই সময় পর্যটকরা পলাশ দেখতে একেবারে জঙ্গলের ভিতরে চলে যান। এতে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গল লাগোয়া এলাকাজুড়ে সতর্কবার্তা প্রচার চালানোর উপর আরও গুরুত্ব দিয়েছে বন বিভাগ।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia Tourism: আগুনরাঙা পলাশের ছোঁয়ায় চলুন ক’দিন মেতে উঠি

পুরুলিয়া: দোল চলে গেলেও পুরুলিয়া জুড়ে ছড়িয়ে আছে বসন্তের আমেজ। আগুন রাঙা পলাশের ছোঁয়ায় রঙিন মানভূম। এই সময় বহু মানুষ বসন্তের আমেজ উপভোগ করতে পুরুলিয়ায় ছুটে আসেন। সকলেই যে শুধুমাত্র দোলের দিন আসেন তা নয়, তারপরেও অনেকে ঘুরতে আসেন।

আর‌ও পড়ুন: আদিবাসীদের দোল কেমন হয়? বাহা উৎসবের মন ভাল করা ভিডিও দেখুন

পুরুলিয়া জেলাজুড়ে দু’দিনব্যাপী চলল বসন্ত উৎসব। হোটেল, রিসোর্ট, হোম-স্টে, নেচার ক্যাম্প বিভিন্ন জায়গাতেই দু-দিন ব্যাপি বসন্ত উৎসব পালিত হয়। পর্যটক সহ জেলার মানুষেরা এই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন। এই জেলার বসন্ত উৎসবের চেহারাটা অনেকটাই অন্যরকম। এখানে বসন্ত উৎসবে জেলার শিল্প সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়।

ছৌ নাচ, আদিবাসী নৃত্য, ঝুমুর, নাচনি নাচ, বাউল গান সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। শুধুমাত্র দোল নয়, হোলির দিনেও এখানে পালিত হযযল বসন্ত উৎসব। এক কথায় পুরুলিয়ার বসন্ত উৎসবের রূপ একেবারেই ভিন্ন। ‌ কারণ এখানে বসন্তের পলাশ উৎসব পালিত হয়। এমনকি একেবারেই ভেষজ আবির দিয়ে এখানে বেশিরভাগ জায়গায় বসন্ত উৎসব পালিত হয়েছে। ‌

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই দোল চলে গিয়েছে বলে আপনি যদি ভাবেন পুরুলিয়ায় ঘুরতে এসে আর লাভ নেই তবে ভুল করবেন। এই বসন্তকালে পুরুলিয়ার যে রূপ তা থেকে চোখ ফিরিয়ে থাকাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি