মন্দিরের কাছে পিএসি-র ট্রাকের কারণে যানজট! পুলিশের গাড়ির চালান কাটলেন আগ্রার ট্র্যাফিক এসপি, হতবাক জনতা

মন্দিরের কাছে পিএসি-র ট্রাকের কারণে যানজট! পুলিশের গাড়ির চালান কাটলেন আগ্রার ট্র্যাফিক এসপি, হতবাক জনতা

আগ্রা: শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার থেকেই অ্যাকশন মুডে আগ্রার ট্র্যাফিক পুলিশ। মন্দিরের বাইরে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করলেন এসপি ট্র্যাফিক আরিব আহমেদ। ভক্ত সমাগমও ছিল প্রচুর। মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়েছিল পুলিশের একটি গাড়ি। এসপি ট্র্যাফিক এসে প্রথমেই সেই গাড়ির চালান কাটেন। যা দেখে হতবাক হয়ে যান আশপাশের মানুষ।

রাওয়ালি মন্দিরের সামনে পিএসি পুলিশের একটা বড় ট্রাক দাঁড়িয়েছিল। তার কারণেই ব্যাপক যানজট হয়। তা দেখেই সেখানে পৌঁছে যান এসপি ট্র্যাফিক আরিব আহমেদ। প্রথমে এলাকা যানজট মুক্ত করেন। তারপরে যান ট্রাকের কাছে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে সোজা চালান কেটে দেন। এমন কাণ্ডে চমকে যান পুলিশ কর্মীরা।

আরও পড়ুন– বইয়ের নির্বাচিত এক অংশ: ‘দিল্লির এক নবাব’

আরিব আহমেদ বলেন, “আইন সবার জন্য সমান। পুলিশের জন্যও। পিএসি ট্রাকের জন্য জ্যাম হয়েছে। সেটা দেখেও আপনারা ট্রাক সরাননি কেন? এখন চালান কেটে দিলাম। জরিমানা দিয়ে যাবেন।’’ এসপি ট্র্যাফিকের এমন কাজ দেখে হাততালি দিয়ে দিয়ে ওঠেন আশপাশের জনতা।

শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে আগ্রার শিবমন্দিরগুলোতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে কাঁওয়ার যাত্রা চলছে। আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুধু রাজ রাজেশ্বর মন্দিরেই মোতায়েন করা হয়েছে ৫০ জনের বেশি ট্র্যাফিক পুলিশ।

আগ্রা ট্রাফিকের এসপি আরিব আহমেদ বলেন, “শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার যান চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে এটাই বছরের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এই সময় ভারী যানবাহনের রুট বদলে দেওয়া হয়। শহরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। সমস্ত মন্দিরেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেখানে মেলা হয়, সেই মন্দিরগুলি বিশেষ নজরদারির আওতায় রয়েছে। ভক্তরা যাতে সহজে জলাভিষেক করতে পারেন, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন– হরিদ্বারের গঙ্গার সামনে ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান দুই কাঁওয়ার যাত্রীর, তারপরই ছুটে এল আশপাশের লোক, হঠাৎ কী হল?

আহমেদ আরও বলেন, “একজন টিআই-কে মন্দির ইনচার্জ করা হয়েছে। দলের ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন এসআইকে। তাঁরাই মন্দিরের ট্র্যাফিক সামলাচ্ছেন। এই দিনে রাজ রাজেশ্বর মন্দিরে প্রতি বছরই প্রচুর ভিড় হয়। তাই ৫০ জনের বেশি পুলিশকে ট্র্যাফিক সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’