প্রযুক্তি Smart Phone: বেশিরভাগ মানুষই ভুল করেন, দামি ফোন হাতে নিয়ে দেখার মধ্যেই রয়েছে ম্যাজিক! আপনার কাছে সঠিক তথ্য আছে কি? Gallery August 4, 2024 Bangla Digital Desk আজকাল প্রায় প্রতিটি হাতেই স্মার্টফোন দেখা যায়। অনেক সময় মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এমন পরিস্থিতিতে এটি চোখের উপরও প্রভাব ফেলে। এটি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিপদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখে মায়োপিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা সীমিতভাবে এবং যুক্তিসঙ্গত দূরত্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এখন প্রশ্ন জাগে মোবাইল ফোনের ক্রমাগত ব্যবহার চোখের জন্য কতটা বিপজ্জনক? আর মোবাইল ব্যবহারের সময় চোখ থেকে কত দূরত্বে রাখা উচিত? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি মেডিক্যাল কলেজ কনৌজের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিভাগের প্রধান ডা. অলোক রঞ্জন জানান, মোবাইল ফোনের ক্রমাগত ব্যবহারের অসুবিধাগুলি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন৷ ডা. অলোক রঞ্জনের মতে, মোবাইল ফোন একটানা ব্যবহার চোখের জন্য ক্ষতিকর। এই বিপদগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া সত্ত্বেও অনেকে তাঁদের মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে চলেছেন। ব্যবহারকারীরা তাঁদের স্মার্টফোনে গেমিং থেকে শুরু করে মুভি স্ট্রিমিং পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে লিপ্ত হন এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রায়ই তাঁদের স্বাস্থ্য উপেক্ষিত হয়। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত আলো চোখ এবং রেটিনার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে কারণ এটি কর্নিয়া এবং লেন্স দ্বারা ফিল্টার করা হয় না। এই অবস্থায়, ক্লান্তি, চুলকানি এবং চোখে শুষ্কতা, ঝাপসা দৃষ্টি এবং মাথাব্যথার মতো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি প্রকাশ্যে এসেছে যে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী তাঁদের স্মার্টফোনগুলি প্রায় ৮ ইঞ্চি দূরত্বে রাখেন, যা চোখের জন্য ক্ষতিকারক। মোবাইল ফোন যত কাছে রাখা হবে, এটি চোখের জন্য তত বেশি ক্ষতি করবে। এমতাবস্থায় মোবাইল ফোনকে মুখ থেকে কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি বা ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রাখতে হবে। ক্রমাগত স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময়, সময়ে সময়ে চোখের পলক ফেলা গুরুত্বপূর্ণ। সময়ে সময়ে চোখের পাতা ফেলা চোখকে আর্দ্র রাখবে, যা চোখের শুষ্কতা এবং জ্বালা রোধ করবে। এছাড়া চোখ পিটপিট করা চোখকে পুনরায় ফোকাস করতেও সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রায় ১০-১২ বার চোখের পাতা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন।