খুঁটি পুজোর ছবি

Bankura News: পাহাড়ের নিচে দুর্গাপুজোর শুরুয়াত শুশুনিয়ায়! থিমের চমক প্রকাশ্যে আসবে কবে?

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার পাহাড়ের নিচে দুর্গাপুজোর বাদ্যি বেজে গেল। মনোরম পরিবেশে জলাধারের সামনে ঢাক বাজানোর ছবি দেখে মনে হবে এক অনবদ্য ক্যানভাস। দুর্গাপুজোর আমেজ যেন হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছরই পর্যটক থেকে শুরু করে গ্রামবাসী এবং বাঁকুড়ার বাঙালিরা অপেক্ষা করেন এই দিনটির। শুশুনিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির দুর্গাপুজোর থিমের অপেক্ষা ছাড়াও এই দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজোও দেখার জন্য অপেক্ষা করেন মানুষ। বাঁকুড়ার সেরা পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।

পর পর দু’তিন-বছর জেলার শ্রেষ্ঠ পুজোর তকমা পাওয়া শুশুনিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ১৬তম বর্ষের খুঁটি পুজো হল সোমবার। ২০১৯, ২০২১ এবং ২০২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বিশ্ব-বাংলা সেরা পুজোর সম্মান পায় এই পুজো। একেবারে গ্রামের একটি পুজো, ঠিক কী ভাবে জেলার তাবড় তাবড় পুজোকে আগের মতই টেক্কা দেবে, সেটা দেখতে মুখিয়ে আছেন বাকুড়াবাসী। দুর্গাপুজো বাঙালির আবেগ। বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে সদা বিরাজমান। দিকে দিকে শুরু হয়েছে খুঁটিপুজো উপলক্ষে ঢাকে কাঠি পড়ার। উৎসবপ্রিয় বাঙালির মন মা দুর্গার আবাহনে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।

ছাতনার শুশুনিয়াতে খুঁটিপুজোর মাধ্যমে শুশুনিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ১৬তম বর্ষের পুজো প্রস্তুতির শুভারম্ভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হল।এ বারের বাজেট মাত্র ১০ লক্ষ টাকা। এ বছর চতুর্থীর দিনে পুজোর উদ্বোধন ও দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে বলে জানান পুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা। বাঁকুড়ার সেরা পুজোয় আগেরবারের থিম শিল্পী বিষ্ণুপুরের ছিলেন।

আরও পড়ুন- ইলিশ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন মৎস্যজীবীরা? দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ

বিগত কয়েক বছর ধরেই এই পুজো কমিটি অভিনব থিম ভাবনার মধ্য দিয়ে জেলাবাসীকে সুস্থ সামাজিক বার্তা দিয়ে চলেছে। ২০১৯ সালের থিম ছিল গ্রাম্যজীবন। ২০২১ সালের থিম বৃদ্ধাশ্রম। ২০২২ সালের থিম মাতৃঋণ। ২০২৩ সালে কন্যাভ্রুণ রক্ষা গোটা বাঁকুড়ার নজর কাড়ে এবং এই তিন বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে প্রথম স্থান অধিকার করে।

এ বছরের থিমেও চমক থাকবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এখনই এ বারের থিম প্রকাশ করতে চান না তাঁরা। তবে এ বছর মন্ডপসজ্জা ও থিমের রূপায়নে মানুষের কাছে কল্যাণকর বার্তা পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন শুশুনিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী