Tag Archives: district durga puja 2024


Durga Puja 2024: ৫৭০ বছরের বনেদি পুজোতেও আরজি করের প্রতিবাদ! চলছে প্রস্তুতি, দেখুন

হুগলি: জেলার অন্যতম প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে একটি হল হুগলির কোন্নগরের ঘোষাল বাড়ির দুর্গাপুজো। বনেদিয়ানার সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ৫৭০ বছরে পদার্পণ করেছে এই পুজো। ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছিল ঘোষাল বাড়ির দুর্গোৎসব।

তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ সরকারের থেকে বিশেষ অনুদানও আসত এই পুজো করার জন্য। বনেদিবাড়ির পুজো হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে আরজি করের ঘটনার প্রভাব পড়েছে তাদের পুজোয়। তবে পুজো বন্ধ নয়, বরং বাড়ির মহিলা ও পুরুষরা মিলে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছেন আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ যার নাম দিয়েছেন ‘অপরাজিতা’।

আরও পড়ুন: রোদের আড়ালেই কি কালো মেঘের সঞ্চার? ফের বৃষ্টি হবে? আবহাওয়ার বড় খবর

হুগলির কোন্নগরের জমিদার হিসাবে সূচনা হয় ঘোষাল পরিবারের। ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় তাঁদের জমিদারি। সেই থেকেই বাড়ির ঠাকুর দালানে আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার আরাধনার সূত্রপাত। এখনও এই পুজোয় আসে ইংল্যান্ড থেকে অনুদান। ঘোষাল বাড়ির ৫৭০ বছরের দূর্গাপুজো বরাবরই শিল্পের পৃষ্ঠপোষক।

পুজোর দিনে ঠাকুর দালানে বসে নাটক,  যাত্রাপালার আসর। আগে একটা সময় দুর্গাপুজোয় এখানে এসে গান গেয়ে গিয়েছিলেন ওস্তাদ বুরদুল খান, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো দিগ্বজ সঙ্গীতশিল্পীরা। এই বছর আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে বাড়ির মহিলা ও পুরুষরা মিলে নাট মন্দিরেই মঞ্চস্থ করবেন এক বিশেষ নাটক ‘অপরাজিতা’। যার প্রস্তুতিও চলছে একেবারে জোরকদমে।

আরও পড়ুন: রোজ খাবারের পাতে শসা খান? শরীরে কী হচ্ছে এর ফলে জানেন? চিকিৎসকের অবাক করা দাবি

পরিবারের বর্তমান বংশধর প্রবীর ঘোষাল জানান, তাঁদের বাড়ির দুর্গাপুজোকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন পরিবারের ৮ থেকে ৮০ সকলে। ইংরেজদের শাসনকালে তাঁদের পুজোর জন্য বিলেত থেকে অনুদান আসত তৎকালীন সময়ে ৭৫০ টাকা। সেই সময় এই টাকার অংক এতটাই বিপুল ছিল যে, পুরো পুজো হয়ে যাবার পরও টাকা শেষ করা যেত না। তাই ঘোড়ার গাড়ি চেপে শ্রীরামপুরের খাজাঞ্চি খানায় আবারও টাকা ফেরত পাঠাতেন বাড়ির লোকজন। সেই প্রথা এখনো চলে আসছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ভাল কিছুর সঙ্গে কিছু ভয়ানক পরিস্থিতির সাক্ষী রয়েছে তাদের দুর্গাপুজো। আগে দশমীতে নৌকায় করে মাঝগঙ্গায় নিয়ে গিয়ে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে প্রতিমা বিসর্জন করা হত। তবে একবছর সেই ঠাকুর বিসর্জন করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হন পরিবারের এক সদস্য। সেই থেকে দশমীর ভাসান তাঁদের বাড়িতে সকাল বেলাতেই হয়ে যায়।

পুজোর বিশেষত্বগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল, এই পুজোয় বাইরের দোকানের কোনও মিষ্টি ব্যবহার করা হয় না। বাড়ির মহিলারা নিজেরাই নাড়ু তৈরি করেন। সেই নাড়ু দিয়েই হয় ঠাকুর প্রসাদ। অষ্টমীর দিনে সন্ধ্যা প্রদীপ জালেন বাড়ির পুরুষরা। দশমীর দিন বাড়ির এও স্ত্রীরা ঠাকুরকে ইলিশ মাছ দিয়ে ভোগ দেন। কনকাঞ্জলি দিয়ে বরণ করে সিঁদুরখেলায় মেতে ওঠেন বাড়ির মহিলারা।

রাহী হালদার

Durga Puja 2024: হংকঙের পুজোমণ্ডপ সাজবে বাংলার পটচিত্রে, ব্যস্ততা তুঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের পটশিল্পী দম্পতির

সৈকত শী, চণ্ডীপুর: বাংলার অন্যতম লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক পটচিত্র এ বার বিদেশের দুর্গাপুজোয় মণ্ডপসজ্জায় ফুটে উঠবে। হংকংয়ে একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ সজ্জিত হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের হবিচক গ্রামের পটশিল্পীদের শিল্পকলায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলায় বেশ কয়েকটি অঞ্চলে চিত্রকরদের বাস। তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখ্যযোগ্য হল চণ্ডীপুর ব্লকের হবিচক গ্রাম। এই গ্রাম পটচিত্রের জন্য বিখ্যাত। এখানকার চিত্রকরেরা জাতীয় ও রাজ্যস্তরে নানা পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। এমনকি বিদেশের মাটিতেও বাংলার লোকসংস্কৃতির ধারক বাহক পটশিল্প এবং পটের গান পরিবেশন করেছে। এবার তাদের শিল্পকলা স্থান পাবে বিদেশের দুর্গামণ্ডপসজ্জার কাজে।

প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় পটশিল্পী বা চিত্রকরদের ডাক পড়ে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ সজ্জার কাজে। মূলত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দুর্গাপূজার মণ্ডপ সজ্জার সঙ্গে যুক্ত থাকেন চণ্ডীপুরের এই এলাকার চিত্রকররা। তবে এবার রাজ্য ও দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের দুর্গাপুজোয় ফুটে উঠবে চিত্রকরদের পটশিল্প। সারা বছর পট আঁকা ও গান বাঁধার পাশাপাশি জলের বোতল থেকে ঘর সজ্জার নানান জিনিস এমনকি পোশাক আশাকেও পটশিল্প ফুটিয়ে তোলে নিজেদের রোজগারের তাগিদে কিংবা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে। সম্প্রতি কয়েক বছর এই পটশিল্পের চাহিদা বেড়েছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ সজ্জায়। শুধু জেলায় নয় রাজ্যে নয় এবার বিদেশেও পটশিল্পের কদর বাড়ছে।

আরও পড়ুন : পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন দুর্গাপুজোয় দেবীর মূর্তি নির্মাণে বিশেষ প্রথা! প্রয়োজন বিশেষ এলাকার মাটি

পটচিত্রের কদর বিদেশের পুজোর সাজে। দক্ষিণ চিন সাগরের উপকূলে হংকংয়ের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর মণ্ডপ এবার সেজে উঠবে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের পটচিত্রে। পুজোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। মণ্ডপ সজ্জা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে গিয়ে তাঁদের মাথায় আসে বাংলার পটচিত্রের কথা। কাজের বরাত পেয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর থানার হবিচক গ্রামের আবেদ চিত্রকর। তাঁর স্ত্রী সায়েরা চিত্রকর পটচিত্র ও পটের গান নিয়ে গতবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বিশ্ব লোকগীতির আসরে হাজির ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে এই কাজে হাত লাগিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে আবেদ চিত্রকর জানান, ‘প্রতিবছর পুজোর সময় পুজো মণ্ডপ সজ্জার জন্য ডাক বা বরাত আসে। এবার বিদেশের একটি পুজো মণ্ডপে কাজ করার সুযোগ মিলেছে। হাতে আঁকা পটশিল্প ফুটে উঠবে হংকং এর বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গাপুজোর মণ্ডপে। সেই কাজ চলছে।’ বর্তমানে দিনরাত এক করে ২০০ টি পাখা ও ১০০ টি কুলোর উপর সপরিবারে মা-দুর্গার পট আঁকছেন তাঁরা। দিন সাতেক আগে কাজের বরাদ পেয়েছেন আবেদ। পাখা ও কুলো জাহাজে এসে নিয়ে যাবেন পুজো উদ্যোক্তারা। বাকি কাজও দ্রুত শেষ করতে হবে। তাই কাজের চাপে এখন দম ফেলার ফুরসৎ নেই চিত্রকর দম্পতির।

Durga Puja 2024: ইটাহারের এই দুর্গাপুজোয় ভোগ রান্না হয় বিনা তেল, নুন আর হলুদে

উত্তর দিনাজপুর: আগের মতো আর জমিদারি প্রথা নেই, কিন্তু এখনও পুরনো প্রথায় ইটাহার চূড়ামন রাজবাড়িতে আরাধনা হয় দেবী দুর্গার। জমিদার মোহিনীমোহন রায়চৌধুরীর বংশধরেরা আজও পুজোর চারটি দিন নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে  পুজো করে থাকেন।

মহানন্দার গ্রাসে জমিদার বাড়ির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই একই জায়গায় নতুন করে বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন জমিদারের বংশধরেরা । জানা যায়, এই জমিদার বাড়িতে ষষ্ঠী থেকে মাকে আহ্বান করা হয়, গ্রামের মহিলারা মাকে বরণ করে নেন । আগে যদিও জোড়া মোষ ও পাঁঠা বলির মাধ্যমে দেবীর বোধন হত মহালয়াতে । পরবর্তীতে এই রীতি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখনও প্রাচীন কিছু রীতি মেনে পুজো হয়। এর মধ্যে একটি হল, এখানে মায়ের পুজোর সমস্ত ভোগ বিনা তেল, নুন ও হলুদে তৈরি করা হয়। তেলের পরিবর্তে ভোগ রান্না হয় গাওয়া ঘি ও সন্দক নুন দিয়ে।

এই জমিদার বাড়িতে মাকে অন্ন ভোগ দেওয়া হয় না। পুজোর চার দিনই মাকে লুচি, বিভিন্ন ধরনের সবজি, শাক ভাজা, পাপড় ও বাড়িতে তৈরি নারকেলের নাড়ু ভোগে দেওয়া হয়। দশমীর দিন ভোগ দেওয়া হয় নাড়ু, ক্ষীর, দই।

পিয়া গুপ্তা

Durga Puja 2024: পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন দুর্গাপুজোয় দেবীর মূর্তি নির্মাণে বিশেষ প্রথা! প্রয়োজন বিশেষ এলাকার মাটি

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: রাজ আমলের কোচবিহারে সূচনা হয়েছিল কোচবিহারের বড় দেবীর পুজোর। সেই পুজো আজকে প্রায় দীর্ঘ ৫০০ বছরের পুরন। এখনও সেই প্রাচীন রীতি ও প্রথা মেনে পুজো করা হচ্ছে বড় দেবীর। কোচবিহারের দেবী বাড়ির মন্দিরে রাজ আমলের প্রথা মেনে মূর্তি নির্মাণ করা হয় বড় দেবীর। আর তারপর সেখানেই পুজো করা হয় দুর্গা পুজোর সময়। দীর্ঘ সময়ের প্রাচীন এই পুজোকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্তের বহু ভক্তবৃন্দ সমাগম ঘটে। তবে এই দেবীর মূর্তি নির্মাণে বিশেষ কিছু প্রথা রয়েছে।

দীর্ঘ সময়ের বংশ-পরম্পরায় বড় দেবীর মূর্তি তৈরি করার কারিগর প্রভাত চিত্রকর জানান, “ময়নাকাঠের শক্তি দণ্ডের উপর ভিত্তি করে দেবীর মূর্তি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। খড়, বাঁশ, সুতো এবং মাটি দিয়েই হয় এই প্রতিমা নির্মাণ। তবে এসবের মধ্যেও রয়েছে রীতি ও নিয়ম। যেমন দেবীর প্রতিমা নির্মাণ বংশ পরম্পরায় তাঁরাই করে আসছেন। দেবীর রূপ পরির্বতন হয় না। ময়নাকাঠের শক্তি দণ্ড ছাড়া দেবীর মূর্তি নির্মাণ হবে না। চামট এলাকার মাটি ছাড়া দেবীর প্রতিমা অসম্পূর্ণ থাকবে। মোট তিন ধরনের মাটি দেওয়া হয় দেবীর প্রতিমায়।”

কোচবিহার মদনমোহনবাড়ির দেওড়ি অমর কুমার ঘোষ জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের বলরামপুরের চামটা এলাকার মাটি ছাড়া দেবীর মূর্তিতে মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয় না। এই মাটি আনতে আগে সেখানে বিশেষ পুজো করে তারপর আনতে হয়। সেই প্রথা দীর্ঘ রাজ আমল থেকেই চলে আসছে। এছাড়া দেবীর পুজোর মধ্যেও রয়েছে বিশেষ কিছু বিষয়। যেই বিষয়গুলি এই দেবীর পুজোকে আর পাঁচটা দুর্গা পুজোর চাইতে আলাদা করে তোলে। তাই তো বহু মানুষের ভিড় জমে এই বড় দেবীর পুজোয় প্রতি বছর।”

আরও পড়ুন : চলছে আশ্বিন মাস! এই খাবারগুলি খেলেই রোগে দেউলিয়া হয়ে যাবেন! জানুন পঞ্জিকার মত

জেলা কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পুজো উপলক্ষে প্রায় সারা বছর ধরেই অপেক্ষা করতে থাকে কোচবিহারের মানুষেরা। দীর্ঘ রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো দূরদূরান্তের বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করে। তাইতো কোচবিহারের এই পুজোয় শুধুমাত্র কোচবিহারবাসী নয়, বাইরেরও বহু মানুষেরা ঘুরতে আসেন।

Durga Puja 2024: দেবী দুর্গা এখানে ‌রাজবংশী কন্যা রূপেই পূজিতা! জাঁকজমকের পরিবর্তে আন্তরিকতা ও আভিজাত্যই মুখ্য

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: গা ভরা অলংকার, চমকপ্রদ সাজসজ্জায় নয় এখানকার দেবী প্রতিমা যেন ঘরের মেয়ে। সজ্জায় ঠিক যেন গ্রামের মাঠে ঘাটে গোয়ালে কাজ করা এক গৃহবধূ। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির আমগুড়িতে এমনই অভিনব রূপে দেবী দুর্গা পূজিত হয়ে আসছেন বহু বছর ধরে। এ বছরও অন্যথা হবে না। উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনজাতি রাজবংশী। আর সেই রূপই ফুটে ওঠে জলপাইগুড়ির বসুনিয়া পরিবারের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোর দেবী প্রতিমায়।

রাজবংশী জনজাতির আদলেই তৈরি হয়, এখানকার উমা। এলাকার আর পাঁচটা রাজবংশী বাড়ির মতোই তৈরি হয় উমার মণ্ডপ। অসাধারণ নয়, একেবারে সাধারণ রূপেই পূজিতা হন দেবী দুর্গা। প্রাচীন ঐতিহ্য পালিত হয় বসুনিয়া বাড়ির দুর্গাপূজা উৎসবে। বর্তমানে বসুনিয়া বাড়ি বংশধর সুনীল কুমার বসুনিয়া এই দুর্গাপুজো করে থাকেন। জানা যায়, এই দুর্গাপূজা, ১৮১০ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বসুনিয়া বাড়িতে।

তৎকালীন সময়ে রাজরোষে কোচবিহার রাজসভা থেকে বিতাড়িত হয়ে ফালাকাটা হয়ে জলপাইগুড়ি আমগুড়ির অন্তর্গত চাপগড় বসবাস শুরু করতে থাকে ধনবর বসুনিয়া। আমগুড়ি তখন ছিল গভীর জঙ্গল বাঘ ভাল্লুকের। সেই সময় ব্যবসা-বাণিজ্য ভালকরার জন্য বসুনিয়া পরিবার দুর্গাপূজা শুরু করে। এ পুজোও যেন টক্কর দেয় কোচবিহার রাজবাড়ির দুর্গা পুজোকেও।

আরও পড়ুন : ২ ইঞ্চি আদা! ২ কাপ জল! তাড়িয়ে দেয় মেদের স্তর, গাটের ব্যথা, ঋতুস্রাবের ব্যথাকে! এভাবে খেতে হবে দিনের এই সময়ে

এ বছর এই পুজো ২১৪ বছরে পদার্পণ করবে। জন্মাষ্টমীর পর নন্দ উ‍তসবে কাদাখেলার মধ্য দিয়েই সূচনা হয়ে গিয়েছে এ বছরের পুজোর প্রস্তুতি। এবারের পুজো প্রসঙ্গে বসুনিয়া পরিবারের সদস্য সুশীলকুমার বসুনিয়া বলেন, যে সময় এই পুজোর যাত্রা শুরু সেই সময় এই অঞ্চলে কোনও মৃৎশিল্পী ছিল না, গ্রামের মানুষ নিজে হাতেই গড়ে নিতেন মা দুর্গার মূর্তি। আজ আর সেই জাঁকজমক নেই, তবে আজও মায়ের মুখ তৈরি হয় রাজবংশী গৃহবধূর আদলেই। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষের ভিড় জমে ঘরের মেয়ে উমাকে দেখতে।

Durga Puja 2024: বাঁকুড়ার ডোকরায় সাজছে এবার বালুরঘাট! বিরাট আয়োজন এই পুজো মণ্ডপে

দক্ষিণ দিনাজপুর: দুর্গা পুজো কে সামনে রেখে বালুরঘাট শহরের সৃজনী সংঘ বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্প দিয়ে তাদের মন্ডপকে সাজিয়ে তুলছে। মন্ডপ সজ্জার কাজ শুরু হয়েছে মাস খানেক আগে। বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্পের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন স্থানীয় শিল্পীরাই। সৃজনী সংঘ তাদের নিজস্ব পুজোর মাঠে এবার বাঁকুড়ার একটি গ্রাম্য উৎসবকে ফুটিয়ে তুলতে চাইছে ডোকরা শিল্পের মাধ্যমে।

মোট ৭০ টি মডেল ব্যবহার করা হবে। গরুর গাড়ি, পালকি, সানাই বাদক থেকে শুরু করে একটি উৎসব বাড়িতে যা যা জিনিস ব্যবহার করা হয় সেই বিষয়গুলিকেই ফুটিয়ে তোলা হবে মন্ডপের সামনে। মেদিনীপুর থেকে ১২ জন শিল্পী বালুরঘাটে এসেছেন মাসখানেক আগে। দিন রাত এক করে তাঁরা মন্ডপ সাজিয়ে তুলছেন।

আরও পড়ুন: জেলার এই পুজোয় থাকছে চমক! কয়েকশো কিলোমিটারের বেশি লম্বা ফিতে দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ, কবে উদ্বোধন করবেন মমতা

জানা গেছে, ডোকরা শিল্প দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন ভাবনা। এর আগে কখনও ডোকরা শিল্পের সঙ্গে জেলার মানুষের সরাসরি যোগাযোগ হয়নি। সেজন্যই সৃজনী সংঘ তাদের মন্ডপ সজ্জার ক্ষেত্রে এই শিল্পকেই ব্যবহার করতে চলেছে এবার। নতুন এই বিষয় ও ভাবনাকে এবং বাঁকুড়ার সংস্কৃতিকে দেখতে দর্শকরা ভিড় জমাবেন পুজো মন্ডপে এমনটাই আশা ক্লাব কর্তাদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুস্মিতা গোস্বামী

Durga Puja 2024: সিদ্ধেশ্বরী রূপে পূজিতা দেবী দুর্গা, ২০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরে ভক্ত সমাগম দুর্গাপুজোয়

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: জেলায় রাজ আমল এবং তার থেকেও পুরনো বহু প্রাচীন মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। আর এই মন্দির গুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এমনই এক প্রাচীন মন্দিরের নাম সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। আর এই মন্দিরের নাম থেকেই গ্রামের নাম হয়েছে সিদ্ধেশ্বরী। জেলা কোচবিহারের বাণেশ্বর এলাকার বাণেশ্বর শিব মন্দিরের পাশ দিয়েই রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে আসার রাস্তা। এই মন্দিরে দেবী দুর্গাকে সিদ্ধেশ্বরী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। তাই দুর্গা পুজোর সময় এখানেও দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়।

সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত ধীরেশ্বর দেবশর্মা জানান, ‘‘মন্দিরের সূচনা লগ্ন থেকেই দেবী দুর্গাকে সিদ্ধেশ্বরী রূপে পুজো করা হচ্ছে এখানে। তবে এই মন্দিরের একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে। মন্দিরের সূচনা লগ্ন থেকে এই মন্দিরে কোনওদিন প্রতিমা পুজো হয়নি। শুরুর সময় থেকেই ঘটের মধ্যে দুর্গার পুজো করা হয়ে থাকে এখানে। তবে ঘটের মধ্যে করা হলেও, পুজোয় জাঁকজমক থাকে অনেকটাই। গোটা গ্রামের মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পুজোয় যোগদান করে থাকেন। যদিও বর্তমান সময়ে এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব পালন করে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।’’

আরও পড়ুন : ছাতা তুলে ধরলেন ‘একদিনের রাজা’! ভাদ্র সংক্রান্তিতে পুরুলিয়ায় পালিত মানভূমের প্রাচীন রীতি

এলাকার দুই স্থানীয় বাসিন্দ কার্তিক বর্মন ও চারুবালা রায় জানান, ‘‘ রাজ আমল থেকেও পুরনো এই মন্দির। এই মন্দিরের স্থাপনের বিষয় নিয়ে এখনোও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধু জানতে পারা যায় এই মন্দির বাংলার ১২৮৪ সালে প্রথমবার মেরামতি করা হয়েছিল। তাই মনে করা হয় এই মন্দির সেই সময়ের আগেও এখানে ছিল। বর্তমান সময়ে এই মন্দিরে দুর্গাপুজোর সময় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। স্থানীয় মানুষেরা যেমন এই পুজোয় আসেন, তেমনই দূর-দূরান্তের মানুষও এই মন্দিরের পুজো দেখতে ভিড় জমান এখানে। পুজোর দিনে এখানে প্রচুর খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।”

জেলা কোচবিহারের এই অতি প্রাচীন মন্দির জেলার বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। তাই এবার দুর্গা পুজোর ছুটিতে প্রাচীন দুর্গা পুজো এবং ইতিহাসের খোঁজে এই সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের ঘুরতে আসতে পারেন। একেবারে অন্যরকম এক অনুভূতির সাক্ষী থাকতে পারবেন এই মন্দিরে এলেই।

Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় বিশাল চমক, অযোধ্যার রামমন্দির এবার হুগলিতে

হুগলি: মা আসছেন। দুর্গাপুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। চারিদিকে চলছে জোর প্রস্তুতি, সাজো সাজো রব। জোরকদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ, দেবীকে বরণ করে নিতে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই।

কলকাতার পাশাপাশি পিছিয়ে নেই জেলা-ও। হুগলির বলাগড়ে এবার নজর রয়েছে সকলের। দুর্গাপুজোয় বিরাট-বিরাট মণ্ডপ তৈরি করছে পুজো কমিটিগুলি। নজর কড়েছে জিরাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। প্রতিবছরই মণ্ডপসজ্জায় থাকে তাদের বিশেষ চমক। এ’বছরও তার ব্যাতিক্রম ঘটছে না। এ’বছর তাদের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী বর্ষ। থিম অযোধ্যার রামমন্দির।

ইতিমধ্যেই মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।  পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপ তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ, ফোম, ভেষজ রং, পাট। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জাতেও থাকছে বিশেষ চমক। শব্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমুহূর্তে রং পরিবর্তন হবে মণ্ডপের।  চারপাশ জুড়ে থাকবে নারায়ণ, রাম, সীতা ও হনুমানের মূর্তি। প্রায় এক মাস ধরে চলছে এই মণ্ডপ তৈরির কাজ। তৃতীয়ার মধ্যে মণ্ডপের কাজ সমাপ্ত করতে হবে, তাই এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা।

শিল্পী তপন কুমার পাত্র বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির যতটা জমি জুড়ে, এখানে ততটা জায়গা পাওয়া যায়নি। কিছুটা কাটছাঁট করেই এই মণ্ডপ নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ মণ্ডপে ফাইবারের কাজ করা হবে । মণ্ডপের  চারপাশ জুড়ে থাকবে রামের মূর্তি এবং মণ্ডপের ভিতরে ২৫ ফুট বাই ২৫ ফুট-এর একটি ঝাড় তৈরি করা হবে।

পুজো কমিটির সেক্রেটারি নীলাদ্রি মণ্ডল বলেন, ভারতবর্ষে সবথেকে চর্চিত মন্দির হল রামমন্দির। গ্রামের বহু মানুষ আছেন, যাঁরা রামমন্দির দেখার স্বপ্ন দেখলেও, সেখানে পৌঁছতে পারবেন না। তাই আমরা রামমন্দিরের অনুকরণে পূজা মন্ডপ তৈরি করছি। পুজোর বাজেট প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। প্রতিমাতেও কোন বদল ঘটবে না। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সনাতনী মাত্রিমূর্তি পূজিত হবে মণ্ডপে।

রাহী হালদার

Durga Puja 2024: কনকাঞ্জলিও দেন পুরুষরা! এই বনেদি বাড়িতে ৪০০ বছরের দুর্গাপুজো হয় পটচিত্রে

রাহী হালদার, হুগলি: চুঁচুড়ার পালবাড়ির দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম বনেদি বাড়ির পুুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই ঐতিহ্যবাহী বাড়ির দুর্গাপূজার বয়স প্রায় ৪০০ বছরের কাছাকাছি। তবে অন্যান্য বনেদি বাড়ির মতো এখানে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে মায়ের পুজো করা হয় না। বরং, পালবাড়ির এই পুজোতে পটচিত্রের মাধ্যমে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়, যা বাংলার সংস্কৃতির এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে এখনও পালিত হয়ে আসছে।

পালবাড়ির কুলদেবতা হলেন রাধামাধব গোপাল জীউ। এই দেবতা এবং দেবমূর্তি পালবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন বংশের পূর্বপুরুষ সেবক রামপালের সময়ে। কিংবদন্তি অনুযায়ী, কোনও এক সাধু সেবক রামপালকে কুলদেবতা হিসেবে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি উপহার দেন। তবে সেবক রামপালের তৎকালীন আর্থিক সংকটের কারণে তিনি এই দেবমূর্তিগুলি ঘরে বন্দি করে রাখেন। পরে একদিন স্বপ্নাদেশে তাকে কুলদেবতার পুজো করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাধাকৃষ্ণের পুজো শুরু হয় এবং সেবক রামপাল ধীরে ধীরে বিপুল ধন-সম্পদের অধিকারী হন। সেই সময় থেকেই পালবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রচলন শুরু হয়। কিন্তু অন্যান্য বনেদি বাড়ির পূজার মতো এখানে কখনোই মূর্তি আনা হয় না। মায়ের পূজা হয় পটচিত্রের মাধ্যমে, যা পাল পরিবারের ঐতিহ্যবাহী আচার।

আরও পড়ুন : ২ বছর বয়সেই মুখস্থ কবিতা থেকে শুরু করে ফুল-ফল-পশুপাখির নাম! তাক লাগাচ্ছে খুদে

পালবাড়ির দুর্গাপুজোর কিছু বিশেষ নিয়মাবলি রয়েছে, যা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে আজও মেনে চলা হয়। পুজোর দিনগুলোতে পাল পরিবারের সকলে, যেখানেই থাকুন না কেন, একত্রিত হয়ে মায়ের পুজোয় অংশ নেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন বাড়ির সমস্ত সদস্য একত্রে খাওয়া-দাওয়া এবং উৎসবে মেতে ওঠেন। এই পুজোর আচার-অনুষ্ঠান বিশেষভাবে পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। মাকে নৈবেদ্য সাজানো থেকে শুরু করে কনকাঞ্জলি দেওয়া এবং পুজোর শেষ আচার-বিসর্জন পর্যন্ত সবকিছুই পাল পরিবারের পুরুষরা করেন। তবে এই বিসর্জন অনন্য, কারণ এখানে মূর্তি নেই, যা বিসর্জন দেওয়া হবে। পুজো শেষে কুলদেবতা রাধামাধব তাঁদের মন্দিরে ফিরে যান এবং পটচিত্রটি পুজোর সমাপ্তির পরে যথাযথভাবে সংরক্ষিত হয়। আজকের দিনে, পালবাড়ির এই পটচিত্রের মাধ্যমে মা দুর্গার পূজা শুধু একটি পুজো নয়, এটি বাংলার প্রাচীন বনেদি পরিবারের সংস্কৃতি, আচার এবং ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন।

Siliguri News: দুর্গাপুজোর ফ্যাশন জুয়েলারির মধ্য দিয়ে আরজি কর কান্ডের বিচার চাইলেন শিলিগুড়ির শিল্পী

শিলিগুড়ি: দুর্গাপুজোর থিম হোক বা পুজো, এই সময় আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে অনেক পুজোমণ্ডপেই যে প্রতিবাদ ফুটে উঠবে তা আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল। সেই মতো দুর্গাপুজোর আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ পথ বেছে নিয়েছেন একাধিক শিল্পী থেকে শুরু করে পুজো উদ্যোক্তারা। তবে দুর্গাপুজোর ফ্যাশন জুয়েলারিতেও অভিনব প্রয়াস শিলিগুড়ির শিল্পী পৌলমী মুন্সীর।  অলংকারেও মূর্ত হল আরজি কর  বিচারের দাবি।

পৌলমীর কথায়, “এই ঘটনা সম্পর্কে সকলেই অবগত। আমি যেহেতু ফ্যাশন জুয়েলারি তৈরি করি। তাই আমার প্রতিবাদ আমি আমার জুয়েলারির মধ্যে দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। ” শিল্পীর হাতের কাজ এত নিখুঁত যে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। বহুদিন ধরেনি পৌলমী এই ফ্যাশন জুয়েলারির ব্যবসা করছেন। তিনি মূলত মাটি, কাঠের সংযোজন করে সেগুলি দিয়ে নানা ধরনের জুয়েলারি বানিয়েছেন এবারের পুজো কালেকশন হিসেবে।

আরও পড়ুন- টাক মাথাতেও উপচে পড়বে কালো চুল! তেলের বদলে মাখুন বিরিয়ানির এই জিনিস…

তবে আর জি কর কান্ডের প্রতিচ্ছবি হিসেবে মায়ের বিচারের আশায় তিনি যেই জুয়েলারিটি বানিয়েছেন সেটা সত্যি অনবদ্য। কালো রঙা সুতোর মধ্যে যে পেনডেন্টটা ঝুলছে সেখানে কালো কাপড় বাঁধা ওই অন্ধ বিচার ব্যবস্থাকে যেমন তিনি দেখিয়েছেন ঠিক তেমনি বিভিন্ন পেপার কাটিং বিচার চাই লেখা রয়েছে। আবার অরিজিৎ সিংয়ের সেই গান ‘ আর কবে? ‘ সেটাও তাঁর জুয়েলারির মধ্যে রয়েছে।

আরও পড়ুন- রক্ষকই ভক্ষক! প্রশাসনই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কী বলছেন নির্যাতিতার বাবা-মা!

পৌলমীর কথায়, “প্রতি শিল্পীর প্রতিবাদ করার নিজস্ব ভাষা রয়েছে, অরিজিৎ যেমন গান বেঁধে নিজের প্রতিবাদ জারি করেছেন। কেউ বা নাটক করে তাদের প্রতিবাদ করেছে। আর আমি যেহেতু জুয়েলারি আর্টিস্ট। তাই আমি আমার প্রতিবাদটা আমার জুয়েলারির মধ্যে দিয়েই করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই জুয়েলারি বিক্রি হবে কিনা জানি না। তবে আমি এটি তৈরি করেছি এই ভেবেই যে আরজি কর কান্ডের নির্যাতিতার বিচার কবে হবে তো জানা নেই। সকলে যখন দুর্গাপুজো আসার দিন গুনছে, ঠিক তেমনই দুর্গা মায়ের বিচারটাও কিন্তু এখনও আসা বাকি।”

অনির্বাণ রায়