আলিপুরদুয়ার: প্রতি বছর বর্ষায় ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর জলে ভাসে আলিপুরদুয়ার জেলা সহ জলপাইগুড়ি জেলার কিছুটা অংশ।রাজ্য বিধানসভায় ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবারে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে বলে আশা করছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
ভুটান পাহাড়ের জল এসে মিশলে ভয়াল রূপ ধারণ করে আলিপুরদুয়ার জেলার বাসরা,কালজানি,সংকোশ, বিরবিটির মত নদীগুলি। এছাড়াও জলপাইগুড়ির ডায়না,জলঢাকা নদী ভয়াবহ রূপ নেয়। ভুটান সীমান্ত এলাকা জয়গাঁ, কালচিনি, কুমারগ্রাম, টোটোপাড়া, বানারহাট, চামুর্চি, নাগরাকাটার বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা যায় বন্যা পরিস্থিতি। ভুটান পাহাড়ে বাঁধ না থাকায় এই সমস্যা দেখা যায় প্রতি বছর। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চল, কৃষিজমি, চা বাগান ও বন্যপ্রাণ।
ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে তার পুরোপুরি হিসেব মেলেনি। এই সমস্যার কথা বিধানসভায় তুলে ধরেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।ভুটানের নদীগুলিকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়? বর্তমানে সেটি বড় প্রশ্ন।যদিও এটি আন্তর্জাতিক বিষয় এবং কেন্দ্রের এক্তিয়ারভুক্ত। তবুও কেন্দ্রের নজরে এই বিষয়টিকে আনতে বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে জানান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
তিনি জানান,”প্রতি বছর ভুটানের জল ঢুকে ধ্বংসলীলা চালায় আলিপুরদুয়ার জেলায় ও ডুয়ার্সের কিছু অংশে। রাজনীতির রঙ ভুলে সকলে এগিয়ে এলেই এই সমস্যা মিটবে।”
আরও পড়ুন- রুপোলি পর্দায় আসছেন সলমনের বোনের পুত্র? আয়ানের ‘পার্টি ফিভার’ ভিডিও শেয়ার করলেন ‘ভাইজান’
ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন নিয়ে রাজ্যসভাতেও শীঘ্রই কথা বলবেন সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক। জেলা বাঁচানো প্রধান লক্ষ্য বলে জানালেন তিনি।
অনন্যা দে