মালদহ: ঝাড়খন্ডে রেল দূর্ঘটনায় চিন্তায় মালদহের তিন পরিবার। দূর্ঘটনাগ্রস্থ ওই ট্রেনেই ছিলেন মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের লক্ষীঘাটের তিন ব্যাক্তি। প্রত্যেকেই মুম্বইয়ে ফল বিক্রি করেন। মুম্বইয়ের ফুটপাতে ফল বিক্রি করে সংসার চলে তিন শ্রমিকের। ট্রেন দূর্ঘটনার খবর মালদহের বাড়িতে পৌঁছাতেই চিন্তিত তিন পরিবারের সদস্যরা।
এদিন ভোরে ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে হাওড়া- মুম্বই মেল দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই ট্রেনে ছিলেন মালদহের একাধিক যাত্রী। তাদের মধ্যে ছয় জন গুরুতর জখম হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জখম ছয় রেল যাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জখম শ্রমিকের আত্মীয় নীলিমা খাতুন বলেন, সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। মোট তিনজন ছিলেন। ভোর নাগাদ জানতে পারি দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আছে শুনেছি, আমরা চিন্তিত।
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের নরহাট্টা পঞ্চায়েতের লক্ষীঘাট গ্রামের তিন শ্রমিক ছিলেন ওই ট্রেন। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য। হাওড়া স্টেশন থেকে সোমবার রাতে ট্রেন ধরে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরিবারে লোকেদের সঙ্গে রাত দশটায় শেষ কথা হয়েছিল। তারপর ঘুমিয়ে পড়ে পরিবারের লোকেরা। মঙ্গলবার ভোর নাগাদ পরিবারের লোকেরা ফোন মারফত জানতে পারে তাদের পরিবারের তিন সদস্য ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে। রুনালা দিদি বলেন, রাত দশটায় শেষ কথা হয়েছিল ছেলের সঙ্গে। তারপর জানতে পারি দুর্ঘটনা হয়েছে। শুনেছি ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আছে ফোনে কথা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বিগ্ন মালদহের তিন শ্রমিকের পরিবার। তিনজনই গুরুতর জখম অবস্থায় দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারো হাতে আবার কারো পায়ে আবার কারো মাথায় গুরুত্ব আঘাত পেয়েছে। পরিবারে লোকেদের সঙ্গে তিন শ্রমিকের যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু তাদের শারীরিক অবস্থা ঠিক কতটা খারাপ তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন তিন শ্রমিকের পরিবার। সুস্থ হয়ে তিন শ্রমিক দ্রুত বাড়ি ফিরে আসুক এই অপেক্ষায় পরিবারগুলি।
হরষিত সিংহ