লোকসভায় পরাজয়ের কারণ খুঁজল সিপিআইএম

CPIM: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কটাক্ষই কাল হয়েছে, পার্টি চিঠিতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি CPIM-এর!

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে আবার বিরাট সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নির্বাচনে আবারও শূন্য হাতে ফিরেছে বামেরা। লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যের পিছনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অবদান রয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। বামেদের খারাপ ফলের জন্যও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রয়েছে বলে দাবি সিপিএমের। দলের পার্টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে দলের কর্মীদের একাংশ কটাক্ষ করেছে ডোল বা উৎকোচ বলে।

দলীয় কর্মীদের একাংশের এই আচরণ গরিব মানুষ থেকে দলকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর প্রাথমিক পর্যালোচনার পর প্রকাশিত পার্টি চিঠির ১৪ নম্বর পাতায় এই কথা উল্লেখ করা হয়েছে, “টিএমসি-র জনগণের মধ্যে বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে সমর্থন রয়ে যাওয়ার একটা উপাদান হল লক্ষীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থা। কিছু পাটি ইউনিট ও কর্মীদের মধ্যে ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এইসব উৎকোচ বা ডোল বলে চিহ্নিত করার প্রবণতা রয়েছে, যা গরিব মানুষ থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিভিন্ন রাজ্য সরকারের যে কল্যাণমূলক প্রকল্প নেয়, তার সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।”

আরও পড়ুন: বলতে পারবেন, পৃথিবীর কোন প্রাণী ডিম ও দুধ দুটোই দেয়? অবাক হচ্ছেন! উত্তর জেনে কিন্তু আঁতকে উঠবেন

গত মাসের শুরুতেই লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। সিপিএমের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ভোটে পার্টির বিপর্যয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। আর সেই পর্যালোচনা করতে গিয়েই নিচু তলা থেকে উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। সাংগঠনিক দুর্বলতা, সাংগঠনিক কাঠামো, নেতৃত্বের জনবিচ্ছিন্নতা, বুথস্তরে সংগঠনের বেহাল অবস্থার ছবি উঠে এসেছে আলিমুদ্দিনের কাছে।

লোকসভায় খারাপ ফলের জন‌্য অন‌্যতম কারণ হচ্ছে দুর্বল সংগঠন ও মানুষের মন না পাওয়া। অর্থাৎ, সোশ‌্যাল মিডিয়াতে কিংবা সভা সমাবেশে লোক এলেও নিচুতলার সংগঠন সামলানো ও বুথ আগলানোর লোক যে সেরকম ছিল না, সেটা মেনে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যালোচনা রিপোর্টে মেনে নিয়েছে সিপিএম। এরিয়া কমিটির বড় অংশের নেতারা কাজ করেছেন নাম কা ওয়াস্তে। মাটির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না নেতৃত্বের বড় অংশের, এটাও মেনে নিয়েছে পার্টি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল দলীয় কর্মীদের একাংশের অনিয়ন্ত্রিত স্যোশাল মিডিয়াতে পোস্ট। যে পোস্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন রকমের পোস্ট ছিল। আর এর ফলে রাজনৈতিক ভাবে সিপিএম আরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে মত আলিমুদ্দিনের।